মুখোমুখি ঝিল্লি-দোস্তজী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এই শুক্রবার একসঙ্গে দুই নবাগত পরিচালকের অভিষেক হতে চলেছে বাংলা ছবিতে। দু’জনের ছবি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছে। শুধু তাই নয়, সম্মানিতও হয়েছে। এই ছবি দুটির নামের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পরিচিত কলকাতার সিনেপ্রেমী মানুষরা। একটি ‘ঝিল্লি’ ও অন্যটি ‘দোস্তজী’। পরিচালক গৌতম ঘোষের ছেলে ঈশান ঘোষের ছবি ‘ঝিল্লি’। অন্য দিকে পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘দোস্তজী’। ‘ঝিল্লি’ ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক ছবির বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয়। অন্য দিকে ‘দোস্তজী’ বিদেশে একাধিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছে। জাপানের ‘নারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ এই ছবির প্রিমিয়ার হয়। তার পর এই দুই ছবি অবশেষে সর্বসাধারণের জন্য মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ নভেম্বর। ‘ঝিল্লি’র নিবেদক এসভিএফ। ‘দোস্তজী’ নিবেদন করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দু’জনেই নবাগত, তবে ঈশানের ছবির নিবেদক বাংলার সবচেয়ে বড় প্রযোজনা সংস্থা। ঈশানের মতে, তাঁর ছবি এসভিএফ রিলিজ করছে যার ফলে ছবিটা নিয়ে সুরক্ষিত বোধ করেছেন গৌতম-পুত্র। অন্য দিকে ‘দোস্তজী’র পরিচালকের মতে, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও কাছে যাননি ছবি নিয়ে, তার পরে যে ভাবে ছবির প্রচার হয়েছে তাতে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রসেনজিতের প্রতি। এই দুই নবাগতর আসন্ন ১১ তারিখ নিয়ে কী অনুভূতি? প্রসূন বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে ১১ তারিখ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে আমার। তার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়াই হল আমার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। আমার নিজের ভাষার মানুষ দেখবে ছবিটা। তাই একটু বুক ঢিপঢিপ করছে। তবে ছবিটা নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, এটা বলতে পারি।’’একটু হলেও নার্ভাস প্রসূন। তবে ঈশানের গলায় অন্য সুর। পরিচালক বললেন, ‘‘এত প্রতিকূলতা ও কম সামর্থ্য নিয়ে এই ছবিটা বানিয়েছি। অবশেষে দর্শক দেখবেন ভেবেই ভাল লাগছে।’’
কিন্তু দু’জনের কেউই কি কোনও প্রতিযোগিতা অনুভব করছেন? ঈশানের কথায়, ‘‘না, কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আসলে সমান্তরাল ছবির জন্য এটা খুব ভাল সময়। আমাদের ছবি যে দিন মুক্তি পাচ্ছে, আরও বেশ কয়েকটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আমাদের উচিত গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে কাজ করা।’’
একটি ছবির নিবেদক ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় নামগুলির মধ্যে অন্যতম— প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অন্য ছবির পিছনে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় হাউজগুলির মধ্য অন্যতম এসভিএফ-এর ছাতা। ফেস্টিভ্যাল চত্বরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুই ছবি যখন একই দিনে রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাই প্রতিযোগিতার কথা স্বাভাবিক ভাবেই আসে। কোন ছবি ক’টা কোথায় হল পেল, ক’টা শো পেল, প্রথম সপ্তাহান্তের বক্স অফিসের আয় কেমন হল— এ সব নিয়ে কৌতূহল থাকবেই। তবে দুই পরিচালকের মধ্যে সম্পর্ক যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ, তা বোঝাই যাচ্ছে। প্রসূন যেমন বললেন,‘‘ঈশান ভাল বন্ধু। খুব সাহসী ছবি বানিয়েছে। তাই আমার শুভেচ্ছা রইল।’’ তাই রেষারেষিতে নেই, বরং ইন্ডাস্ট্রির দুই তরুণ পরিচালক আপাতত নিজেদের ছবি নিয়ে দর্শকের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy