ফাইল চিত্র।
খতিয়ে দেখলে প্রায় গোটা বিশ্ব জয় করতে চলেছে অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’। বাংলা থেকে ভারত, টরন্টো থেকে দুবাই, আবুধাবি, শারজা-- ছবির দৌলতে সর্বত্র অনায়াস গতিবিধি পর্দার ‘অপরাজিত রায়’ ওরফে জীতু কমলের। 'ব্যর্থ' শুধু নিজের শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে। ভাল ছবির ‘তীর্থক্ষেত্র’ নন্দনেই পরাজিত ‘অপরাজিত রায়’।
আক্ষেপ হয় জীতুর?
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এই বিষয়টি নিয়েও প্রথম মুখ খুললেন অভিনেতা। স্বীকার করলেন, ‘‘একটু কষ্ট তো হয়েইছে। ছোট থেকে বড়, নানা বয়সে এখানে এসেছি। ভাল ভাল ছবি দেখেছি। সেখানেই অনীকদার এই ছবিটি মুক্তি পেল না। দেখানো হলে অবশ্যই ভাল লাগত।’’
দর্শক সহায় জীতুর। জীতুর সেই কষ্ট তাঁরাই মুছে দিয়েছেন। কী ভাবে? শহর এবং শহরতলির যে ক'টি প্রেক্ষাগৃহে ‘অপরাজিত’ মুক্তি পেয়েছে, সব ক’টিতেই দর্শকের লম্বা লাইন। হলে ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলেছে। সে সব দেখতে দেখতেই মন ভরে গিয়েছে। প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের সঙ্গেও সে কথা আলোচনা করেছেন অভিনেতা।
জীতুর আরও দাবি, নন্দন কর্তৃপক্ষ যেটা ঠিক মনে করেছেন, সেটাই করেছেন তাঁরা। তিনি অভিনেতা। এ সব তাঁর বিচার্য বিষয় নয়। ‘দর্শক’ জীতু কমল অবশ্যই চাইবেন, নন্দনে ছবিটি দেখানো হোক। কিন্তু ‘অভিনেতা’ জীতুর মতে, তাঁর কাজ অভিনয় করা। সেটাই তিনি করেছেন। এবং সবার থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন। এতেই তিনি তৃপ্ত।
বদলে তিনি এই দায়িত্ব ছবির পরিচালক এবং প্রযোজকের কাঁধেই তুলে দিয়েছেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘এ সব ওঁরা ভাল বুঝবেন। কাকে বলতে হবে? কখন বলতে হবে? সে সব অনীকদা, ফিরদৌসলদা যা ভাল বুঝেছেন, সেটাই করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy