উপহার হিসেবে জাহ্নবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় রসগোল্লার হাঁড়ি। দেখেই আহ্লাদে আটখানা নায়িকা! আবদার, ‘‘বাড়ি নিয়ে যাই? সবাই মিলে বসে আনন্দ করে খাব।’’
‘দাদাগিরি’তে জাহ্নবী।
‘মম’ ছবির প্রচারে একদা ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এসেছিলেন বনি কপূর-শ্রীদেবী। সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন তাঁদের বড় মেয়ে জাহ্নবী। ১৫ মে রবিবার জি বাংলার প্রশ্নোত্তরের শো-এর জৌলুস জাহ্নবী কপূর। আনন্দবাজার অনলাইনকে শো-এর পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লখনৌতে আগামী ছবির শ্যুটে ব্যস্ত শ্রীদেবী-কন্যা। সেখান থেকে এক দিনের ছুটি নিয়ে কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন নায়িকা। মায়ের মতোই শিফন-সুন্দরী তিনিও। পরনের সবুজ শিফনে সাদা ফুল। মানানসই হাতাকাটা ব্লাউজ। খোলা চুল, কানে চাঁদ বালি। জাহ্নবী যেন শ্রীদেবীর গন্ধমাখা!
আগামী রবিবার রাত সাড়ে ৯টার বিশেষ পর্ব জনপ্রিয় ইউটিউবারদের নিয়ে। বং গাই, তালপাতার সেপাই, জ্যোতি-সহ একাধিক ইউটিউবার অংশ নেবেন খেলায়। সেখানেই একটি রাউন্ডে খেলতে দেখা যাবে জাহ্নবীকেও। হঠাৎ ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে বলিউড নায়িকা! বিশেষ কোনও কারণ? পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শুভঙ্করের কথায়, ‘‘সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনি কপূরের ভীষণ প্রিয়। আগের বার সস্ত্রীক এসেছিলেন। এ বার এলেন তাঁদের মেয়ে।’’ মঞ্চে জাহ্নবীর সঙ্গেও নাচের ছন্দে পা মেলাতে দেখা যাবে ‘দাদা’কে। বড় পর্দায় সৌরভের অভিষেক কি বনির হাত ধরেই হবে? পরিচালকের দাবি, সে রকম সম্ভাবনা এখনও নেই।
‘দাদাগিরি’তে এসে আর কী কী করলেন জাহ্নবী? বাংলায় বললেন কোনও কথা?
পরিচালক জানিয়েছেন, খুবই মিশুকে বলিউড তারকা। তারকাসুলভ হাবভাব কম। সবার সঙ্গে মিলেমিশে সময় কাটিয়ে গিয়েছেন। বাংলা খুবই অল্প বুঝতে পারেন। তাই তাঁর অংশে সৌরভ হিন্দিতে কথা বলেছেন। বদলে জাহ্নবী দাদাকে বাংলায় বলেছেন, ‘‘তাড়াতাড়ি কর!’’ শুনে হাসতে হাসতে সঞ্চালকের রসিকতা, এই কথাটা সবাই বলতে পারে। উপহার হিসেবে তারকার হাতে তুলে দেওয়া হয় রসগোল্লার হাঁড়ি। দেখেই আহ্লাদে আটখানা নায়িকা! রসগোল্লার মতোই মিষ্টি হেসে আবদার, ‘‘বাড়ি নিয়ে যাই? সবাই মিলে বসে আনন্দ করে খাব।’’
খেলার পাশাপাশি জাহ্নবীকে বাংলা গান শুনিয়েছেন প্রতিযোগীরা। কেউ কেউ পারফর্ম করেছেন তাঁর অভিনীত ছবির গানে। দেখেশুনে ভারী খুশি তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শ্রীদেবীর কোনও স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর মেয়ে? শুভঙ্করের বক্তব্য, ‘‘কেবল এই একটি বিষয়েই আপত্তি ছিল জাহ্নবীর। অকপটে জানিয়েছেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে, ‘‘এখনও মায়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তাই মায়ের ঘুরে যাওয়া মঞ্চে তাঁকে নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হলে নিজেকে সামলাতে পারব না।’’ নায়িকার অনুরোধ, সবাই এক সঙ্গে মিলে অনেক আনন্দ করলেন, এই স্মৃতি নিয়েই ফিরতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy