সোনালির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন ‘জননী’র পরিচালক বিষ্ণু পালচৌধুরী। ফাইল চিত্র।
একে একে চেনা মানুষগুলো চলে যাচ্ছেন। সোনালির খবরটা সকালেই পেয়েছি। আমি এই মুহূর্তে ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে ভর্তি। এই অবস্থায় সোনালির শেষযাত্রায় উপস্থিত হতে পারলাম না বলে আরও খারাপ লাগছে।
‘জননী’ ধারাবাহিক সোনালিকে সেই সময় দর্শকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। ধারাবাহিকে ও ছোটবউয়ের চরিত্রে অভিনয় করত। বড় চরিত্র, কিন্তু ও দায়িত্ব সহকারে চরিত্রটাকে উতরে দিয়েছিল।
তখন আমাদের শুটিং হত টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োতে। সোনালিকে কোনও দিন গম্ভীর মুখে ফ্লোরে আসতে দেখিনি। সব সময় খোলামেলা মিশুকে স্বভাব। যার জন্য ইউনিটের সদস্যরা ওকে নিয়ে খুবই খুশি থাকতেন। ওর বিরুদ্ধে কাউকে কখনও কোনও অভিযোগ করতে শুনিনি।
‘জননী’তে সোনালির কাস্টিংটাও খুব অদ্ভুত ভাবে হয়েছিল। ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে সোনালির কাজ দেখে আমার ওকে খুব পছন্দ হয়। তাই ‘জননী’র জন্য ওর কথা মনে আসে। তৎক্ষণাৎ আমি শঙ্করের (চক্রবর্তী) সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার পর সময় মতো একদিন সোনালি এসে আমার সঙ্গে দেখা করে। এসেই বলেছিল, ‘‘বিষ্ণুদা, তোমার সঙ্গে তো আমার আলাপ নেই।’’ আমি তখন ওকে বলেছিলাম যে, "আলাপ নেই তো কী হয়েছে! এই তো আলাপ হয়ে গেল।" তবে চরিত্রটা যে বেশ বড় এবং রোজ শুটিং, সে কথাও ওকে বলেছিলাম। সোনালি এক কথায় আমাকে বলেছিল, ‘‘দাদা তুমি দেখিয়ে দিলেই পারব।’’ তার পর প্রায় এক বছর অত্যন্ত পরিশ্রম করে চরিত্রটাকে বাস্তবায়িত করেছিল। আজও ওই চরিত্রকে দর্শক মনে রেখেছেন।
আরও একটা বিষয় আনন্দবাজার অনলাইনের পাঠকদের জানাতে চাই। ‘জননী’র অনেক আগে দূরদর্শেনর জন্য আমার একটা টেলিফিল্মে সোনালি অভিনয় করেছিল। সুবোধ ঘোষের গল্প অবলম্বনে ‘শ্মশানচাঁপা’। সোনালি ছাড়াও ওই টেলিফিল্মে ছিলেন মনু মুখোপাধ্যায় এবং অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনালি নেই ভেবেই আজকে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy