ছত্রিশ বছরের বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর বিশ্বাস ভাঙেননি জ্যাকি শ্রফ। —ফাইল চিত্র
১৯৮৭ সালের ৫ জুন বলিউড অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ বিয়ে করেন তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা আয়েশাকে। তবে সম্পর্কে থাকাকালীন সব কিছু খুব মসৃণ ছিল, এমনটা নয়। জ্যাকির হবু শাশুড়ি অর্থাৎ আয়েশার মা তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক মেনে নেননি। আসলে ‘জগুদাদা’ জ্যাকির ইমেজ শাশুড়িকে তাঁর প্রতি বিরূপ করেছিল। তিনি পরিচিতদের কাছ থেকেও কিছু উল্টোপাল্টা কথা শুনেছিলেন মেয়ের প্রেমিক সম্পর্কে। সব মিলিয়ে জ্যাকিকে পছন্দ ছিল না আয়েশার মায়ের।
তখন খারাপ লাগলেও এখন ব্যাপারটা অন্য ভাবেই দেখেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তিনি নিজেও এখন মেয়ের বাবা। তাঁর মনে হয়, কন্যাসন্তানের সুখ, শান্তি, নিরাপত্তার কথা ভেবেই অমত হয়েছিলেন আয়েশার মা। জ্যাকি নিজে যদি আয়েশার মায়ের জায়গায় থাকতেন, তিনিও আপত্তিই করতেন বলে জানান। সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালবাসাটাই সব নয়, দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটাও সেখানে খুব জরুরি— এখন এমনই মনে করেন জ্যাকি। বিষয়টা দেখেন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে। তাঁর স্পষ্ট কথা, “আয়েশার মায়ের জায়গায় আমি থাকলেও এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতাম না। প্রথমে কিছু কাজ জোগাড় করতে হবে। স্ত্রী, সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার মতো সমর্থ হতে হবে। জরুরি চিকিৎসার জন্য টাকা জমানো, বাড়ি ভাড়ার টাকা জমানো— এ সবও করতে হবে, তার পর তো বিয়ের ভাবনা।”
জ্যাকির মতে, বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুরো পরিকল্পনা করে নেওয়া ভাল। বিয়ের পর কী হতে হতে পারে, সেটাও ভাবতে হবে। সে দিক থেকে ভাবলে আয়েশার মা ঠিকই ছিলেন, জানান অভিনেতা।
আয়েশা নিজেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “যখন জ্যাকির সঙ্গে প্রেম করা শুরু করি, মা একদমই মেনে নেননি। একে তো ওর ‘জগুদাদা’ ইমেজ ছিল, তার উপর মায়ের কানভারী করেছিলেন কেউ কেউ। জ্যাকি বখে যাওয়া ছেলে, মাকে বুঝিয়েছিলেন অনেকেই!” আয়েশা জানান, মিথ্যা বলে জ্যাকির সঙ্গে দেখা করতে যেতে হত তাঁকে। এক দিন অবশ্য মাকে বলেন তিনি, “জ্যাকি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি না হতে পারে, কিন্তু ওর মতো হৃদয় কারও নেই। ও নিশ্চয়ই আমাকে সুখী করবে।”
আয়েশার মা জানতে চেয়েছিলেন, জ্যাকির সঙ্গে বিয়ে হলে কোথায় থাকতে হবে তাঁর কন্যাকে? কারণ জ্যাকি তখন থাকতেন মুম্বইয়ের বস্তি এলাকায়। যদিও মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়েছিল। ছত্রিশ বছরের বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর বিশ্বাস ভাঙেননি জ্যাকি। সুখী দাম্পত্য তাঁদের। জ্যাকি-আয়েশার পুত্র এবং কন্যা টাইগার এবং কৃষ্ণাও নিজেদের জগতে সফল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy