কাশ্মীর ফাইলস্ প্রসঙ্গে ক্ষমা ইজ়রায়েলের। ফাইল চিত্র।
ইফি-র মঞ্চে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবি নিয়ে যে বির্তক শুরু হয়েছিল, তাঁর আঁচ ভারত-ইজ়রায়েলের সম্পর্কে পড়ার আগেই তৎপর হল ই়়জ়রায়েল। সে দেশের পরিচালক লাপিড নাদাভ ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবিটিকে ‘অশ্লীল’, ‘প্রচারধর্মী’ বলে মন্তব্য করে বসেন। যা বেকায়দায় ফেলে দেশের শাসকদলকে। কারণ এই ছবির প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। সেই ছবির সমালোচনার খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ইজ়রায়েলি পরিচালকের এই মন্তব্যে ভারতের কাছে ক্ষমা চাইলেন সে দেশের রাষ্ট্রদূত নায়োর গিলন। তিনি টুইট করে ভারতের কাছে ক্ষমা চান। শুধু তা-ই নয়, নিজের দেশের পরিচালককে তীব্র ভর্ৎসনা করেন।
নায়োর একটি খোলা চিঠি লেখেন ভারতের উদ্দেশে। তিনি লাপিদ নাদাভের উদ্দেশে লেখেন, ‘‘আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। ইজ়রায়েল নিয়ে আপনার যা নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলুন না মন খুলে। কিন্তু অন্য দেশকে নিয়ে এ রকম নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করবেন না।’’
নায়োর গিলন একাধিক টুইট করে কড়া ভাষায় নিজের দেশের পরিচালকের সমালোচনা করেন। শুধু তা-ই নয়, ভারত ও ইজ়রায়েলর সম্পর্কের উপর যাতে পরিচালকের মন্তব্যের কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নায়োর লেখেন, ‘‘যে দেশের সংস্কৃতিতে অতিথিকে ভগবানের মতো সম্মান করা হয়, সেখানে গিয়ে সে দেশের অপমান করা অন্যায়। ইফি প্যানেলের চেয়ারপার্সন হয়ে তাঁর অমার্যদা করেছেন নাদাভ। আমি চলচ্চিত্রবোদ্ধা নই। তবে, যে কোনও ঐতিহাসিক বিষয়ে মন্তব্য করলে সে বিষয়ে পড়াশোনা করে বলাটাই সমীচীন।’’
ইজ়রায়েলি পরিচালকের বিতর্কিত মন্তব্যের পর অনুপম খের বলেছিলেন, ‘‘যদি হিটলারের ‘হলকাস্ট’ সঠিক ধরা হয়, তা হলে ঘরছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হয়ে সওয়াল তোলা অপরাধ নয়। ওঁর এই মন্তব্য দুভার্গ্যজনক। এই পরিস্থিতির শিকার যাঁরা, সে রকম লক্ষ লক্ষ মানুষকে ব্যথিত করেছেন এ হেন মন্তব্য করে। আমি চাইব, কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যের জন্য যেন আর কোনও সাধারণ মানুষকে ভুগতে না হয়।’’
খানিকটা সেই রেশ টেনেই নায়োর টুইটে লেখেন, ‘‘আমি নিজে হলোকাস্টের শিকার। কাশ্মীর নিয়ে কোনও মন্তব্য করার আগে জেনেবুঝে করা উচিত।’’
সব শেষে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত ও ইজ়রায়েলের সম্পর্ক খুব দৃঢ়। আপনার এই মন্তব্যের পরও তা অটুট থাকবে। আমি আমন্ত্রকারীদের সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২১ মার্চ মুক্তি পায় এই ছবি। বিতর্কিত পটভূমির কারণে, মুক্তির আগেই আইনি সমস্যায় পড়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’। বেশ কয়েকটি বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন নির্মাতারা। যদিও এই ছবির বক্স অফিস সাফল্য বেশ ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy