রুদ্রনীল ঘোষ এবং রাজ চক্রবর্তী।
বলিউডের সলমন খান। টলিউডের রুদ্রনীল ঘোষ। দু’জনের জন্মদিন এলে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠবেই!
বৃহস্পতিবার, অভিনেতা-রাজনীতিবিদের জন্মদিনে বিয়ের গপ্পো শুরু হয়েছে রানা সরকারের পোস্ট দিয়ে। একটি ভিডিয়ো ঝলক পোস্ট করেছেন প্রযোজক। সেখানে শোনা গিয়েছে রুদ্রনীলের কণ্ঠ, ‘‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিয়ে করে নিচ্ছি।’’ কোন বছরের সেপ্টেম্বরে বিয়ে করছেন, তা অবশ্য তিনি জানাননি! রানা রুদ্রনীলের বিয়ের বিষয়টি উস্কে দিতেই দায়িত্বের সঙ্গে তাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অভিনেতার আর এর বন্ধু, পরিচালক এবং বিরোধী পক্ষের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনিও একটি ছোট্ট ঝলক পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে রাজের মা লীলা চক্রবর্তী উদ্বিগ্ন রুদ্রনীলের বিয়ে নিয়ে!
রাজ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল এবং চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত পেশার সূত্রেই ভাল বন্ধু। সারা বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রত্যেকের বাড়িতে আড্ডা জমে। খানাপিনার আয়োজনও থাকে। করোনা সংক্রমণের আগে সেই আড্ডা বসেছিল রাজের বাড়িতে। আমন্ত্রিত ছিলেন রুদ্রনীল। রাজ-শুভশ্রী, রাজের মা এবং অভিনেতা চার মাথা এক হয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখনই লীলা চক্রবর্তী বলে ওঠেন, ‘‘সবাই বিয়ে করে ফেলল! এই ছেলেটা আর বিয়ে করল না।’’
‘হাওয়া বদল’ টের পেয়েই মোবাইল ক্যামেরা চালু করেছেন রাজ। এ দিকে, রুদ্রনীল তাঁর ‘মাসিমা’কে থামাতে মুখ চেপে ধরেছেন! কিন্তু ‘মাসিমা’ যে এত সহজে দমার পাত্রী নন। রুদ্রনীলকে ছেড়ে সটান আক্রমণ শানিয়েছেন নিজের ছেলের দিকে। প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘‘তোরা সবাই মিলে ছেলেটার বিয়ে দিতে পারছিস না!’’ এবং একই সঙ্গে তুলোধনা করেছেন রাজকে— ‘‘তুই নেতা মানুষ! এক জন পাত্রী জোগাড় করতে পারছিস না?’’
লীলা চক্রবর্তীর কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েছেন স্বয়ং ‘পাত্র’ এবং শুভশ্রী। রুদ্রনীল মজা করে জানতেও চেয়েছেন, রাজ কি তাঁর বিধানসভা থেকে পাত্রী জোগাড় করে দেবেন? নাকি হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নামবেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে রুদ্রনীল ঘোষের জন্য পাত্রী চাই’, বলে? শুভশ্রীর ঝটিতি জবাব, ‘‘রাজ এটা বলেও মিছিল করতে পারে, ‘রুদ্রনীলের বউ চাই, বউ দাও’!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy