ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী ‘মহাগুরু’। হাতে চ্যানেল। পাশ ফিরে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন তিনি। গায়ে গেরুয়া রঙের পোশাক। সকলের প্রশ্ন, সত্যিই অসুস্থ মিঠুন? সত্যতা জানা যায়নি। চর্চায় আরও একটি খবর। গুরুতর না হলেও মিঠুন নাকি সত্যিই সামান্য অসুস্থ।
মিঠুনের অসুস্থতার খবরে শোরগোল।
ফের অসুস্থ হয়েছেন মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী? এমনই একটি খবর শনিবার সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সঙ্গে ছবিও ‘শেয়ার’ করে নেওয়া হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী ‘মহাগুরু’। হাতে চ্যানেল। পাশ ফিরে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন তিনি। গায়ে গেরুয়া রঙের পোশাক।
নেটমাধ্যমে এই ছবি দিয়েছেন বিজেপির নেতা সঞ্জয় সিংহ। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ঈশ্বরের কাছে দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’ ঝড়ের বেগে এই খবর ভাইরাল। মিঠুন-অনুরাগীরা বিপর্যস্ত। শুক্রবার মাধবী মুখোপাধ্যায়ের অসুস্থতার খবরে এমনিতেই বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় মনখারাপের ছায়া। তার পরেই মিঠুনের অসুস্থতার খবরে আতঙ্কিত অভিনয় দুনিয়ার এক অংশ। অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সোশ্যালে পোস্টটি ভাগ করে বর্ষীয়াণ অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। ঘটনাচক্রে, মিঠুন এখন বিজেপিতে। ফলে বিজেপির নেতা যে ছবি দিয়েছেন, তাকেও অবিশ্বাস করার কারণ দেখছেন না কেউ। কিন্তু তার পরেও সকলের প্রশ্ন, সত্যিই অসুস্থ মিঠুন?
সেই প্রশ্নের সঙ্গেই অনেকের দাবি, খবরটি ভুয়ো। যে কারণে পরে জয়জিৎ মুছে দেন তাঁর পোস্টটিও। সত্যাসত্য জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি নেতা সঞ্জয়ের সঙ্গে। তাঁর ফোন বন্ধ। তবে কথা বলেছেন গেরুয়া শিবিরের রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পাল।
রাজুর কথায়, তিনিও পোস্টটি দেখেছেন। সকাল থেকে শুনছেন, অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী। খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেননি বলে সে ভাবে খোঁজখবর নেননি। বিষয়টি নিয়ে তাই তিনিও সন্দিগ্ধ। একই কথা বলেছেন অগ্নিমিত্রাও। তাঁর দাবি, ‘‘এই ছবিটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার। মিঠুনদার এই ছবি এখনকার না আগের, সত্যিই জানি না। ফলে কোনও মন্তব্য করব না।’’ তবে এই প্রসঙ্গেই চর্চায় আরও একটি খবর। গুরুতর না হলেও মিঠুন নাকি সামান্য অসুস্থ। দিন দুই আগেই শোনা গিয়েছিল, চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকায় যেতে পারেন। যদিও সেই খবরেরও সত্যতা এখনও কেউ স্বীকার করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy