মিমি চক্রবর্তী
শনিবার নেটমাধ্যমে অনুরাগীদের সামনে নিজেকেই নিজে বিশ্লেষণ করলেন মিমি চক্রবর্তী। আলো-আঁধারিতে ঢাকা এই মিমি যেন অভিনেত্রীর কাছেও অচেনা। নিজেকে নতুন করে চিনতে বসে তাই কি তাঁকে ঘিরে ধরেছে এক রাশ দ্বিধা?
কাছের এবং দূরের মানুষদের চোখে মিমি প্রচণ্ড ইতিবাচক। সে কথা অভিনেত্রীও জানেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি সামলে চলতে পারেন। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়েও নেন। তাই ভাল-খারাপ সব সময়েই মিমি-র মুখে সবাই হাসি দেখেছে। ইনস্টাগ্রামে সবার সেই চেনা মিমি-কে তুলে ধরার পরেই নিজেকে নিয়ে সাংসদ-তারকার সংশয়, আগামী দিনেও কি একই ভাবে ইতিবাচক থাকতে পারবেন তিনি? সবাইকে হাসিমুখে আপন করে নিতে পারবেন? যদি না পারেন, তখন কী হবে?
কেন নিজেকে নিয়ে এই ধরনের ভাবনা জন্ম নিল মিমির মনে? আবার কোনও খারাপ ঘটনা ঘটল অভিনেত্রীর জীবনে?
সে উত্তরও মিমি নিজেই দিয়েছেন। নিজের ছবির সঙ্গে সবিস্তারে জানিয়েছেন, একের পর এক পারিবারিক সমস্যায় জেরবার তিনি। সন্তানসম প্রিয় পোষ্য চিকুর মৃত্যু দিয়ে অঘটনের সূত্রপাত। সম্প্রতি, তাঁর ঠাকুমা গত হয়েছেন। মিমি-র বাবা সদ্য করোনা থেকে ভুগে উঠলেন। সেই রেশ ভাল করে কাটার আগেই জাল কোভিড প্রতিষেধক নিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বার তাঁর পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ পোষ্য সদস্য জুনিয়র চিকু আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। যদিও যথাসময়ে চিকিৎসার ফলে, আপাতত সে সুস্থ।
একের পর এক ঝড় সামলে ওঠার ক্লান্তি মিমি-র কথায় স্পষ্ট। অভিনেত্রী নিজে স্বীকার করেছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে লড়তে প্রতি মুহূর্তে তিনি আলোর দিশা খুঁজছেন। একই সঙ্গে তিনি জানেন, এই ঝড়ও এক দিন থেমে যাবে। সবাই, সব কিছু আবার আগের মতো স্বাভাবিক হবে। তিনি তাই তাঁর মতো করেই এগিয়ে যাবেন। ঠিক যে ভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে পা ফেলে তিনি ইনস্টাগ্রামের ছবিতে মুখোমুখি হয়েছেন নদীর বিপরীত স্রোতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy