ইরফান খান ও সুতপা শিকদার। সংগৃহীত।
ক্যানসারের সঙ্গে তখন পুরোদমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইরফান খান। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে কখনও মুহূর্তের জন্য দুর্বল হননি তিনি। তার মধ্যেও ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছিলেন বলি অভিনেতা। সেই সময় একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পরিবারকে একত্র করে তুলেছিল তার এই জটিল অসুখ! স্ত্রী-সন্তানদের তাঁকে দেখভাল করার অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন ইরফান।
জীবনের সব থেকে কঠিন পরিস্থিতিতে সর্ব ক্ষণের সঙ্গী ছিলেন সুতপা শিকদার। বার বার সে কথা স্পষ্ট করেছিলেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছিলেন, ভীষণ যত্ন করতেন স্ত্রী। ইরফান বাঁচতে চেয়েছিলেন, কারণ স্ত্রীর সঙ্গে আরও জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, “আমি যদি বাঁচতে পারি, স্ত্রীর জন্যই বেঁচে থাকতে চাই।”
পুত্র বাবিল খান ও আয়ান খান-কে সেই পরিস্থিতিতে পরিণত হতে দেখেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, কনিষ্ঠ সন্তানের জন্য সেই সময়টা আরও কঠিন ছিল। কারণ সে তখন নিতান্তই কিশোর। বাবিল যদিও তখন কৈশোর জীবন পার করে ফেলেছেন।
হাসি-কান্নায় তাঁদের দিন কাটছিল। পরিবারের সদস্যেরা একসঙ্গে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৎপর হয়েছিলেন। অভিনেতার কথায়, “চড়াই-উতরাই ছিল, কিন্তু সেই দিনগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হয়তো অনিশ্চয়তার কারণেই খুশির মুহূর্তগুলো জোরালো হয়ে উঠেছিল।”
৩৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৫০টির অধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ঝুলিতে অসংখ্য পুরস্কার। চলচ্চিত্র সমালোচক, সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞ তাকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী বলে গণ্য করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy