‘হিয়ান’ জুটি।
শেষ নাহি যার শেষ কথা কে বলবে? ভালবাসা অফুরন্ত। দ্বিতীয় পর্বেও তাই শেষ মুহূর্তগুলো আশ্লেষ মাখানো। চলে যাওয়ার আগেও দর্শকদের কাছে ‘হিয়ান’ জুটির একটাই বার্তা, যত দুর্যোগ ঘনাক, তোলপাড় হয়ে যাক বিশ্ব, তবু ‘ভালবাসি ভালবাসি...’।
শুক্রবারের সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণত সাদা-কালো থ্রো-ব্যাক পিকচারের দিন। যার ফ্রেমের প্রতি ইঞ্চি রঙিন স্মৃতির প্রলেপে। ‘ইয়ান’-এর তেমন কিছু ছবিই আজ সকাল থেকে ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল। ভাইরাল দুটো কারণে। এক, ‘হিয়ান’ জুটি ছবির মধ্যমণি। দুই, এসওপি জলাঞ্জলি দিয়ে ‘ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড’ করলেন উজান-হিয়া! কখনও প্রেমের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে খু-উ-ব কাছে টেনে নিয়েছেন একজন আরেক জনকে।
কী চিন্তা থেকে এমন দৃশ্যের আয়োজন? স্বতঃস্ফূর্ত কৌতূহল ছিল পরিচালক সীমান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরিচালকের দাবি, চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে এই ধরনের দৃশ্যের নির্দেশ এসেছিল ইপি-র কাছে। তিনি সীমান্তকে জানান। সেই মতোই শুট।
যতই শেষ হয়ে যাক ধারাবাহিক, অতিমারির আবহে শন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনামিকা চক্রবর্তীর এত কাছাকাছি আসা কি ঠিক হয়েছে? পরিচালকের মত, দুই অভিনেতাই রাজি ছিলেন। ফলে, শুট হয়েছে সেভাবেই।
আরও পড়ুন- জন্মদিনের কেক, অর্পিতা আর ‘হাতযশ’
আনলক পর্বে যখনই শুট শুরু হয়েছে তখন থেকেই অভিনেতারা জানিয়েছিলেন, দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ততা হারাচ্ছে অভিনয়। তার ছাপ পড়ছে দৃশ্যে। যতই চিট করে শট ক্যামেরাবন্দি করা হোক, কোথাও যেন স্বাভাবিক ছন্দে বাধা পড়ছে। দর্শকদেরও অভিযোগ, অনেক দৃশ্যই কেমন যেন ‘কেঠো’! অনুভূতিহীন।
তার উপর আচমকা ‘এখানে আকাশ নীল’-এর সমাপ্তি ঘোষণায় প্রবল দর্শক-অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে। তাই কি এই মধুরেণ সমাপয়েতের আয়োজন? চ্যানেল কর্তৃপক্ষ মুখ না খোলায় জানা যায়নি তা। তবে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে কার্যনির্বাহী সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন, ‘‘বিষয়টি একেবারেই বোধগম্য হচ্ছে না। যাঁরা বৈঠক করে এসওপি বা নির্দেশাবলি বানালেন তাঁরাই যদি ভাঙেন, কার কী বলার আছে? আমরা আর্টিস্টরা তো সবার শেষে!’’
আরও পড়ুন: ফের ‘রবীন্দ্র আমেজ’-এ অর্জুন, মিমির বদলে সফরসঙ্গী দর্শনা
ফোনে পাওয়া যায়নি ‘হিয়া’ অনামিকা চক্রবর্তীকে। আনন্দবাজার ডিজিটালের প্রশ্নের উত্তর দিলেন ‘উজান’ শন বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তি, ‘‘এই ধরনের শট ডিমান্ড করেছিল চিত্রনাট্য এবং চ্যানেল। ফলে, আমরা রাজি হয়েছি।’’ এত ঝুঁকির খুব প্রয়োজন ছিল? ‘উজান’ চরিত্রের মতোই দৃঢ় উত্তর শনের, যতটা ঘনিষ্ঠ দেখানো হয়েছে ক্যামেরার সামনে ততটাও শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হননি তাঁরা। দাবি, ‘‘প্রচুর চিট শট নিয়ে এই ধরনের শট দেখানো যায়। কাছাকাছি না এসেও। সেটাই করা হয়েছে। এসওপি-র কোনও নির্দেশ অমান্য করা হয়নি।’’
যত ক্ষোভ ছিল দর্শক-মনে, ধুয়ে মুছে সাফ ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy