অভিমন্যু এবং 'টেকো'-তে ঋত্বিক।
টাক নিয়েও যে ছবি বানানো যায় সেটা কীভাবে মাথায় এল?
আমার এক বন্ধুর মুখে ব্রণ হয়েছিল, যথারীতি সে বাজারের জনপ্রিয় ক্রিম মাখে। কিন্তু কিছুতেই পিম্পল যায়নি। আরও আছে...এই চুল পড়া নিয়ে আমার এক বন্ধুর বিবাহিত জীবনে অশান্তি শুরু হয়। সেখান থেকেই কনসেপ্টটা মাথায় আসে। আর এ ভাবে গল্পের জন্যই ক্রমশ গল্প এগোতে থাকে। রচনা হয় ‘টেকো’-র।
কিছু দিন আগেই এই টাক নিয়ে আরও দু’টি বলিউডি ছবি মুক্তি পেয়েছে— ‘উজরা চমন’ এবং ‘বালা’। এদের মধ্যে ‘বালা’ আবার বক্স অফিসে হিট। কোথাও না কোথাও গিয়ে একটা তুলনা তো আসবেই।
দর্শক যদি ইতিমধ্যেই ‘টেকো’ ট্রেলারটা দেখে থাকেন তাহলে আন্দাজ করতেই পেরেছেন, ‘টেকো’র কনসেপ্ট কিন্তু বাকি দু’টি ছবির থেকে একেবারেই আলাদা। মিল বলতে তিনটি ছবিরই মূল বিষয় টাক। কিন্তু বাকি গল্প, প্লট সবটাই ভিন্ন। সুতরাং কোনওভাবেই একটা অন্যটার দ্বারা অনুপ্রাণিত এ কথা বলা যায় না।
নভেম্বরেই টাক নিয়ে তিন-তিনটে ছবি। ব্যাপারটা ‘টেকো’র জন্য কতটা ভাল বা খারাপ?
যে দু’টো হিন্দি ছবি রয়েছে ‘বালা’ এবং ‘উজরা চমন’, সেই দুই ছবির মধ্যে প্রথম দিন থেকেই রেষারেষি। রেষারেষি এই কারণেই বলছি, অনেকেই জানেন ‘উজরা চমন’ দাবি করেছিল, ‘বালা’-র কনসেপ্ট তাদের থেকে নেওয়া। অন্যদিকে ‘উজরা চমন’ নিজেও কন্নড় একটি সিনেমার রিমেক। ‘বালা’ একটি গান নিয়েও কোর্টে মামলা হয়েছিল। এক কথায় বলা যায়, পুরোটাই একটা ‘কপি’র ব্যাপার। না, তার মানে এটা বলছি না যে ‘টেকো’র থেকে কেউ কপি করেছেন বা ‘টেকো’ ওই দুই ছবি থেকে কিছু কপি করেছে... যা-ই হোক, আমার মনে হয় বাংলার মানুষ বাঙালি টাককেই প্রাধান্য দেবে বেশি।
আরও পড়ুন-পরনে ওয়ান পিস, সমুদ্রে আগুন ধরালেন সালমা হায়েক
কতটা আশাবাদী?
খুবই আশাবাদী। এবার পুজোতেই চারটে বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছিল। এবং একই সঙ্গে বাজারে এসেছিল বিগ বাজেট বলিউড ছবি ‘ওয়ার’। ‘ওয়ার’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলা ছবিগুলোও কিন্তু বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছিল। তাই আমার মনে হয় না ওই দুই ছবির সাফল্যতে ‘টেকো’র ভয়ের কোনও কারণ রয়েছে বলে।
ঋত্বিক চক্রবর্তী
ঋত্বিক চক্রবর্তীকে মুখ্য চরিত্রে নেওয়ার পিছনে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে কি?
(হাসি) ঋত্বিকদা যখন প্রথম স্ক্রিপ্টটা পড়েছিল ওর প্রথম কথাটাই ছিল,‘‘আমি জানি তুই আমায় কেন ডেকেছিস’’। আমি জিজ্ঞাসা করতেই বলেছিল, ‘‘আমার চুল কম বলে।’’ সত্যি বলতে কি ঋত্বিকদা এই সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেতা। আমাদের জেনারেশনে অনেক হিরো রয়েছেন। ঋত্বিকদা হিরো নয়। ও নিজেই একটা চরিত্র। সে জন্যই ওকে নেওয়া।
‘টেকো’-র ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর ট্রেন্ডিং ১-এ ছিল। ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা পরিচালকেরাও টিম টেকো-র হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছিলেন। কেমন ছিল সেই অনুভূতি?
অসাধারণ অনুভূতি। এমন অনেক পরিচালকও টুইট করেছিলেন যাঁরা হয়তো সচরাচর সব ছবিকে ভাল বলেন না। এটাই প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন-সুস্থ নুসরত জাহান, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ছাড়া হল হাসপাতাল থেকে
এবার একটু ব্যক্তিগত প্রশ্নে আসা যাক। মানালি দে আর অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের লাভস্টোরি তো প্রায় সকলেরই জানা। ওকে কাস্ট করে আগামী দিনে কোনও ছবি করার প্ল্যান রয়েছে কি?
(হাসি) আমার কাছে অনেক নায়িকা রয়েছেন কাস্ট করার মতো। মানালির কাছেও অনেক পরিচালক রয়েছেন যাঁরা ওকে কাস্ট করছেন বিভিন্ন চরিত্রে। তাই বাড়ির জিনিসটা বাইরে না আনাটাই মঙ্গল। তবে যদি কোনও দিন এ রকম হয় যে মানালি ছাড়া চরিত্রটা হবে না তবে নিশ্চয় মানালিকেই কাস্ট করব।
দর্শক কেন দেখবে ‘টেকো’?
টাক জিনিসটা সবার কাছেই খুব স্পর্শকাতর একটি বিষয়। এই যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকেই প্রতারিত হন সে নিয়েই বার্তা দেয় এই ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy