তাপসী
প্র: ‘থাপ্পড়’-এর ট্রেলার বেরোনোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে। চরিত্রের সঙ্গে আপনার কতটা মিল?
উ: যখন ‘বেবি’, ‘নাম শাবানা’র মতো ছবিতে কাজ করেছিলাম, তখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ছোটবেলায় মারকুটে ছিলাম কি না। আমি বলেছিলাম, স্কুল-কলেজে কাউকে থাপ্পড় পর্যন্ত মারিনি। অনুভব স্যরের (সিংহ) সঙ্গে যখন ‘মুল্ক’ করেছিলাম, তখন থেকেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের উপরে একটি ছবি করব, মাথায় ঘুরছিল। কিন্তু কোনও গল্প বা প্লট মাথায় ছিল না। স্যর যখন ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর শুটিং করছিলেন, তখন শুধু ওয়ান-লাইনার আইডিয়া ওঁর মাথায় ছিল। ছবি মুক্তির পরে পরেই ‘থাপ্পড়’-এর কাজে লেগে যান অনুভব স্যর।
প্র: মেয়েদের কোনটা করা উচিত, আর কোনটা নয়, তা নিয়ে ছোটবেলা থেকে আপনাকে কখনও কিছু বলা হয়েছে?
উ: মা তো ছোটবেলায় আমাকে শেখাতেন, ‘মেয়েরা চুপ করে থাকলে সংসারে শান্তি থাকে।’ পাল্টা প্রশ্ন করতেও মা বারণ করতেন। তবে মায়ের ওই কথাগুলো মানিনি। মানলে আজ এখানে পৌঁছতে পারতাম না। আমি উল্টে প্রশ্ন করতাম, চুপ করে থাকব কেন? পরিবারে আমি ডার্ক হর্স ছিলাম।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে আপনার ধৈর্য বেড়েছে না কমেছে?
উ: আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। আগে আমি অল্পতেই রেগে যেতাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক পরিণত হয়েছি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার আলাদা কোনও সাপোর্ট সিস্টেম ছিল না।
প্র: কোন কোন কারণে তাপসী রেগে যান?
উ: যাঁরা নিজেদের কাজ ঠিক করে করেন না, তাঁদের উপরে খুব রেগে যাই। কোনও কাজকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
প্র: এখনও এ দেশে বিয়েতে মেয়েদেরই বেশি আপস করতে হয়। বিয়ে সম্পর্কে আপনার ভাবনা কী?
উ: যে সম্পর্কে সম্মান নেই, সেখানে ভালবাসাও থাকে না। আমার মতে সম্পর্কের ভিত সম্মান। ভালবাসা একবার গেলে আবার আসে। কিন্তু হারানো সম্মান ফেরত আসে না।
প্র: নারীবাদ কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
উ: আমার প্রতিভার বিচারে যেন আমাকে কাজ দেওয়া হয়। আমার লিঙ্গ পরিচিতির জন্য যেন আমার কাছ থেকে কাজ বা অন্য কিছু ছিনিয়ে নেওয়া না হয়।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর কথা কেন কেউ সামনে এসে বলছেন না?
উ: দর্শকের সত্তর শতাংশ এখনও অবধি নায়ককে দেখতেই হলে যান। এই কারণে পুরুষপ্রধান যে ছবিগুলি তৈরি হয়, সেগুলো বেশি ব্যবসা করে। অবশ্য আমি যে সব সফল নারীকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করেছি, তার মুনাফা আমাকে দেওয়া হয়েছে।
প্র: ‘রশ্মি রকেট’ এবং ‘শাবাশ মিঠু’ পরপর দুটো স্পোর্টস বায়োপিকে কাজ করছেন...
উ: ‘রশ্মি রকেট’-এ স্প্রিন্টারের চরিত্র করছি। তার জন্য ট্রেনিং চলছে। ডায়েট, ফিজ়িকাল ট্রেনিং, জিম, ওয়র্কআউট সবই করছি। তিন মাস এখন এই রুটিন। এর পরে ‘শাবাশ মিঠু’র শুটিং শুরু করব। ছবির প্রথম পোস্টার দেখে মিতালি (রাজ) খুব খুশি হয়েছিলেন। আশা করি, ওঁকে নিরাশ করব না।
প্র: কঙ্গনা রানাউত এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি আপনাকে নিয়ে কিছু না কিছু মন্তব্য করেই থাকেন...
উ: এ সব ভেবে ব্লাড প্রেশার বাড়াই না। আমার গুটিকয়েক কাছের মানুষ আছেন। তাঁদের ছাড়া আমি কাউকে ধারেকাছে ঘেঁষতে দিই না। তির্যক মন্তব্য করে আমাকে রাগিয়ে দেওয়া অতটা সহজ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy