রোহিত শেট্টি
প্র: আপনি ছোট পর্দা নিয়ে ব্যস্ত। এ দিকে বড় পর্দায় ‘সূর্যবংশী’ কবে মুক্তি পাবে তার ঠিক নেই। কতটা চিন্তিত ছবিটি নিয়ে?
উ: চিন্তা করেও কোনও উপায় বার করতে পারব না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকলের ভ্যাকসিন হয়ে যাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় আমরা সকলেই। তাই থিয়েটার কবে খুলবে কেউ জানে না, যে কারণে শুধুমাত্র অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার নেই।
প্র: ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’-র এই নতুন সিজ়ন অন্যান্য বারের চেয়ে কতটা আলাদা?
উ: সাত বছর ধরে ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’ করছি। আমার কাছে সবচেয়ে কঠিন সিজ়ন এটাই। কারণ এ বারে স্টান্টের লেভেল আরও অনেক বেশি কঠিন। তার উপরে অতিমারি সামলে শুট করতে হয়েছিল। অনেক বছর পরে কেপটাউনে শুট করলাম। তবে সবাই খুব খুশিও।
প্র: বায়ো-বাবলে শুট করা কতটা কঠিন ছিল?
উ: খুবই কঠিন। প্রোটোকল মেনে শুট করা সহজ নয়। ৪৫ দিনের শুটিং শিডিউলে হয় আমরা শুটিং করছিলাম, নয়তো হোটেলের ঘরে বসে ছিলাম। প্রচণ্ড ধৈর্য না থাকলে এ ভাবে শুটিং, টাস্ক করা সম্ভব নয়।
প্র: আপনি অনেক সময়েই ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট করেন। পরিবার এ ব্যাপারে কোনও আপত্তি করে না?
উ: আমার বাবা স্টান্ট করতেন। স্টান্ট আমাদের পারিবারিক পেশা। সেটা করলে কেউ কোনও দিন আপত্তি করবেই না। অ্যাকশন দৃশ্যের সময়ে দুটো জিনিস মাথায় রাখতাম, সময় এবং নিরাপত্তা। কারণ দুটোর মধ্যে যে কোনও একটা গোলমাল হলে সব পণ্ড হবে।
প্র: কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভয়?
উ: প্রিয়জনকে হারানোর। অতিমারির ফলে সেই ভয় আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরেছে।
প্র: কাকে গুরু হিসেবে মানেন?
উ: অজয় দেবগণের বাবা বীরু দেবগণের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এ ছাড়া নিজের অভিজ্ঞতা, আর দর্শককের ভালবাসা আমাকে উৎসাহ দেয়।
প্র: আপনার আর একটি ছবি ‘সাকার্স’ও তো মুক্তির জন্য প্রস্তুত?
উ: না, ‘সাকার্স’-এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। মজার ছবি। সকলে হইহই করে দেখতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy