সাত পাকে বাঁধা: উজান-হিয়া। নিজস্ব চিত্র।
কারও চোখে জল আবার কেউ বা আনন্দে আটখানা। বিয়ে হচ্ছে হিয়া-উজানের। আহা! এই দিনটা দেখার জন্যই যে এত প্রতীক্ষা। ফেসবুক জুড়ে মিমের বন্যা, ট্রোলের আস্তরণ সরিয়ে নেটাগরিকদের মনের আকাশ এখন শুধু ‘নীল’ নয়। তাতে লেগেছে বাহারি রঙের ছোঁয়া। এত ভালবাসা, এত আবেগ আগে কোনওদিন দেখেছেন কিনা মনে পড়ে না হিয়া অর্থাৎ অনামিকা চক্রবর্তীর। সকাল থেকেই ‘হিয়া’ ভীষণ ব্যস্ত। চলছে শুট, বিয়ে বলে কথা! এরই মধ্যে লাঞ্চ টাইমে খানিক সময় বের করেই গল্প জুড়লেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।
মনেতে রং, সেট জুড়ে আজ শুধুই সানাইয়ের সুর
গলার স্বরেই উচ্ছ্বাস স্পষ্ট। কে বলবে এই ক’দিন আগেও তাঁর ‘হিয়া’-র জার্নি চালিয়ে যাওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা! করোনা-কন্টেনমেন্ট জোনের চক্করে পড়ে অনামিকা হারাতে বসেছিলেন তাঁর ‘সেকেন্ড হোম’-কে আর দর্শক হারাতে বসেছিল তাদের অন্যতম প্রিয় জুটিকে। সে কী রাগ তাঁদের! মনে পড়ে? ট্রেন্ডিং হয়েছিল #উই ওয়ান্ট অনামিকা ব্যাক ইন। আজ যদিও সবই অতীত।
“মনে হচ্ছে অবশেষে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এটা তো আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এখান থেকেই হিয়ার জার্নি শুরু করেছি আর এখান থেকেই হিয়ার জার্নি শেষ করব”, এক নিঃশ্বাসেই কথাগুলো বলে গেলেন অনামিকা।
দিনের শেষে হিয়া-উজানকে আলাদা করা যায় না
অনামিকা কনটেনমেন্ট জোনে আটকা পড়ার আগে হিয়ার চরিত্র যে ভাবে আঁকা হচ্ছিল, তিনি ফেরার। পরে তাতে যে বেশ খানিক পরিবর্তন ঘটেছে, তা তো সকলেই জানেন। প্লট বুননের জন্য আনা হয়েছে এক নতুন চরিত্রকে। দেওয়া হয়েছে ত্রিমুখী প্রেমের গন্ধ। অথচ মাঝখানে কন্টেনমেন্ট জোনের এই পর্যায়টা না এলে হয়তো গল্প চলত অন্য ভাবে। তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে ‘হিয়া’ কি খানিক হলেও চলে গিয়েছিলেন ব্যাকফুটে? অনামিকা কী মনে করেন? “এটা তো হতেই পারে। সব ধারাবাহিকেই এমনটা দেখেছি তো আমরা। আর তা ছাড়া হিয়া-উজানের জীবনে এ রকম ঝড়-ঝাপটা লেগেই থাকে। তবেই না প্রেম জমে! তারা কখনও দূরে চলে যায় আবার কখনও কাছে আসে। এখন তো একেবারে বিয়ে করে নিচ্ছে”, হাসতে হাসতে বললেন তিনি।
দর্শকই আচরণে বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রমিতা ওর জায়গায় সেরা
তবে হিয়া-উজনের রিল লাইফ ‘অশান্তিতে’ সবচেয়ে বেশি যার উপর দিয়ে ঝড় বয়েছে, তিনি প্রমিতা। অভিনয় করতে এসেছিলেন ‘ঝিনুকের’ চরিত্রে। অথচ নেটাগরিকরা ঝিনুক এবং প্রমিতার মধ্যে ফারাকটাই করতে পারেননি। স্টার জলসার ফেসবুক পেজে, প্রমিতার ইনস্টাগ্রামে তাঁকে দেগে দেওয়া হয়েছিল ‘হোম ব্রেকার’ হিসেবে। মজার ব্যাপার, প্রমিতার রিয়্যাল লাইফ বয়ফ্রেন্ডের পেজেও উড়ে এসেছিল ‘সাবধানবাণী’। “দাদা, ও ভাল না। ওর থেকে সাবধানে থেকো। ” আর এখানেই বোধ হয় কোনও চরিত্রের সার্থকতা। অনামিকাও বলছিলেন, “দর্শক যদি প্রমিতাকে ট্রোল করে থাকেন, তা হলে এটা তো মানতেই হবে ও ওর বেস্টটা দিচ্ছে। মানে সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, হিয়া উজানের মধ্যে ও তৃতীয় ব্যক্তি। একজন অভিনেতা হিসেবে এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” ভক্তদের উদ্দেশ্যে বললেন হিয়া, “এগুলো কিন্তু ঠিক নয়। জানি, উজান-হিয়াকে ভালবাসো তোমরা। কিন্তু অন্য কাউকে অপমান করে? একদম ঠিক না। দেখো আবারও ওরা একসঙ্গে।“
হিয়া-উজনের রিল লাইফ ‘অশান্তিতে’ সবচেয়ে বেশি যার উপর দিয়ে ঝড় বয়েছে, তিনি প্রমিতা।
অনামিকা-প্র্মিতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক
অনসেট আজ থেকে ওরা ‘সতীন’। যদিও গড়পড়তা সুয়োরানি-দুয়োরানি কনসেপ্ট ঢোকেনি এখানে। সতীনে-সতীনে মারামারিও নেই আপাতত। বাস্তবে ওঁদের দু’জনের সম্পর্ক কেমন? রাখঢাক করে ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর খুব একটা দিতে দেখা যায় না অনামিকাকে। বললেন, “এটাই ওর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। সত্যি কথা বলতে, সে ভাবে আলাপ নেই। কার্ একসঙ্গে খুব একটা সিন হয়নি আমাদের। তবে আলাপ করার ইচ্ছে রয়েছে।” একটু থেমে বললেন, “তবে বেশ ভাল অভিনেত্রী ও। তার প্রমাণ ফেসবুকে ওই সব কমেন্ট। মানুষ একেবারে সত্যি ভেবে নিয়েছিল সব।"
অনামিকার প্রেম
হিয়ার উজান আছে, আর অনামিকার? তাঁর রিয়েল লাইফে প্রেমিকটি কে? অনামিকা চুপ। আবার জিজ্ঞেস করতেই বললেন, “কেউ নেই। আমি সিঙ্গল।" সত্যিই কি তাই? তাঁর ইনস্টাস্টোরিতে শেয়ার করা দুঃখের কোটেশনগুলো কাউকে উদ্দেশ্য করে নয় তবে? যদিও ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন বলে, প্রেমিক রয়েছে, তবে বেশ কিছু দিন ধরে প্রেমে নাকি হাল্কা ছেদ পড়েছে। অনামিকার ফ্যানেরা বলছেন, “মোটেই না, ছেদ পড়লে অনস্ক্রিন অমন রোম্যান্স করতেই পারত না হিয়া দিদি। ভাঙা মনে কি আর বিয়ের অভিনয় করা যায়?” কে জানে!
কথা বলতে বলতেই শট দেওয়ার ডাক পড়ল তাঁর। মিসেস হওয়ার পথে পা বাড়ালেন ‘হিয়া’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy