Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

‘আমি ভাগ্যবান, কমেডির বাইরেও দর্শক আমাকে গ্রহণ করেছেন’

প্রথমেই নিজের চরিত্র আর পরিচালক কী ভাবে সেটা দেখছেন, সেটা বুঝে ফেলার চেষ্টা করি।

সুনীল গ্রোভার

সুনীল গ্রোভার

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ০৭:২৪
Share: Save:

প্র: দর্শককে নিরন্তর বিনোদন জোগান। আপনার কাছে এনটারটেনমেন্টের সংজ্ঞা কী?

উ: গাজরের হালুয়া আর রসগোল্লা (হাসি)! আমি মানুষজনকে পর্যবেক্ষণ করতে খুব ভালবাসি। সেটাই আমার কাছে এক রকমের এনটারটেনমেন্ট।

প্র: বিভিন্ন ধরনের চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে এখন আপনাকে...

উ: হ্যাঁ। প্রথমেই নিজের চরিত্র আর পরিচালক কী ভাবে সেটা দেখছেন, সেটা বুঝে ফেলার চেষ্টা করি। ‘সানফ্লাওয়ার’-এর চরিত্রটা যেমন প্রথম বার শুনেই খুব ভাল লেগেছিল।

প্র: ‘তাণ্ডব’ সিরিজেও আপনি নিজের ইমেজ ভাঙতে চেয়েছিলেন। কী রকম সাড়া পেলেন?

উ: আমি ভাগ্যবান, কমেডির বাইরেও দর্শক আমাকে গ্রহণ করেছেন। পরিচালক আলি আব্বাস জ়াফরের সঙ্গে ‘ভারত’ ছবিতে কাজ করেছিলাম। তার পরেই ‘তাণ্ডব’-এর কাজটা আসে। তবে সিরিজ়টা করার আগে কিন্তু আমি পরিচালককে প্রশ্ন করেছিলাম যে, দর্শককে যতটা ভয় দেখাতে চাইছি, সেটা যদি না পারি? তাঁরা আমাকে কমেডিয়ান হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত। তার সম্পূর্ণ বিপরীত একটা ইমেজেও যে দর্শক আমাকে পছন্দ করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। অন্যকে হাসাতে ভালবাসি, তাই কমেডি আমার প্রথম প্রেম। কিন্তু অন্য ভাবেও নিজেকে এক্সপ্লোর করতে চাই। এখনকার দর্শকের চাহিদা বোঝাও খুব কঠিন।

প্র: নিজের নামে কমেডি শো করার কথা ভেবেছেন কখনও?

উ: এখনই তেমন কোনও চিন্তাভাবনা নেই। এই মুহূর্তে অভিনয়ের জায়গাটা খুবই উপভোগ করছি। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে এত ভাল ভাল কাজ হচ্ছে যে, একজন অভিনেতার পক্ষে এটা দারুণ সময়।

প্র: আপনার মতে, ভাল থ্রিলারের অন্যতম উপাদান কী?

উ: থ্রিলার টানটান হওয়া দরকার। গল্পের রহস্যটা আন্দাজ করে ফেললেই সমস্যা। দর্শককে চমকে দেওয়ার উপাদান থাকতে হবে।

প্র: সোশ্যাল মিডিয়াকে কতটা গুরুত্ব দেন আপনি?

উ: দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম। নিজের প্রতিভা জাহির করার জন্য কাউকে অনুরোধ করার দরকার হয় না। তবে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার্স নিয়ে বড্ড মাথা ঘামান। ফলোয়ারের সংখ্যা কমে গেলে তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে যায়! সেই সংখ্যা জনপ্রিয়তা বোঝাতে পারে, কিন্তু সেটা তো কারও যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারে না!

প্র: কলকাতা বলতেই আপনার কী মনে আসে?

উ: মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া। কলকাতায় গেলে মাটির ভাঁড়ে চা খাব না, এটা হয় না। আর বাংলা ভাষাটাও আমার প্রিয়। এখানকার মানুষ এত মিষ্টি করে কথা বলেন, আর কোথাও শুনিনি। একদিন আমিও বাংলা ভাষা শিখবই (হাসি)!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy