আদৃত রায়।
ঝুলিতে ‘নূরজাহান’, ‘প্রেম আমার ২’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘পরিণীতা’র মতো ছবি। তাঁর মেন্টর পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তার পরেও কেন ছোট পর্দায় অভিনয়ে আদৃত রায়?
প্রশ্ন: জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে আপনি নায়ক। কেমন লাগছে ছোট পর্দায় কাজ করে?
আদৃত: শুধু প্রোমোই শ্যুট হয়েছে। এখনও মেগার শ্যুট শুরু হয়নি। ছোট-বড় পর্দার বহু জনপ্রিয় শিল্পী এই ধারাবাহিকে কাজ করছেন। একদম নতুন অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে ভাল লাগছে।
প্রশ্ন: প্রোমো থেকে কেমন ফিডব্যাক পেলেন?
আদৃত: খুব ভাল। এতটাও ভাল সাড়া দেবেন দর্শক, আশা করিনি। এমনিতেই জি বাংলা প্রোমোয় খুব সুন্দর করে এক ছাদের নীচে অনেক জনপ্রিয় শিল্পীকে দেখিয়েছেন। ফলে আশা করছি, মেগাতেও সেই ইতিবাচক ছায়া পড়বে।
প্রশ্ন: আপনার চরিত্রটা নিয়ে বলবেন?
আদৃত: আমি সিড ওরফে সিদ্ধার্থ। ‘মনোহরা’ বাড়ির ছোট ছেলে। আমাদের পৈত্রিক ব্যবসা মিষ্টির দোকান। তার কর্পোরেট দিকগুলো একা হাতে সামলাই। প্রচণ্ড ওয়ার্কোহলিক। একটু একগুঁয়ে, জেদি। আমার সঙ্গে পরে প্রেম হবে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘মিঠাই’-এর। ওই ভূমিকায় অভিনয় করছেন ‘কনে বউ’ খ্যাত সৌমিতৃষা।
প্রশ্ন: চরিত্রের কোন দিক আকর্ষণ করল, যার জোরে অভিনয়ে রাজি হলেন?
আদৃত: ছোট পর্দা নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ নেই কোনও দিনই। একটাই চাওয়া, কনসেপ্ট আধুনিক হতে হবে। আমি যেন আমার যুগোপযোগী চরিত্র পাই। সিদ্ধার্থ তেমনই একটি চরিত্র। তাই চিত্রনাট্য শোনার পর হ্যাঁ বলতে দেরি করিনি।
আগামী বছর দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে আদৃতের
প্রশ্ন: আপনি নিউ কামার্স। বিপরীতে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এটা প্লাস না মাইনাস পয়েন্ট?
আদৃত: ছোট পর্দাই হোক বা বড় পর্দা, অভিনয়ের সময় সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না। সবাই শুধু নিজেকে নিংড়ে দিতে চান। একসঙ্গে কাজ করতে করতে র্যাপো বা সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় নিজে থেকেই। শুধু সৌমিতৃষা নন, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, কৌশিক চক্রবর্তীর মতো বাঘা বাঘা শিল্পী সহযোগিতা করবেন। কাজটাও ভাল হবে আমার।
প্রশ্ন: বাস্তবে আপনি সিদ্ধার্থের মতো?
আদৃত: আমিও অন্তর্মুখী। কিন্তু সিডের মতো অতটা অভদ্রও নই। আমি কিন্তু সবার সঙ্গে ভাল করে মিশে, কথা বলে কাজ করতে পছন্দ করি। (একটু হেসে) প্রোমোর মতো করেও কাউকে মুখের উপর বলি না, ‘আই হেট সুইটস’।
প্রশ্ন: ছোট পর্দার সঙ্গে বড় পর্দার কাজ অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন?
আদৃত: শুধু ছোট বা বড় পর্দা কেন, সুযোগ পেলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও কাজ করব। আজকের দিনে এক জন অভিনেতার এই নিয়ে বাছবিচার করা সাজে না। কে বলতে পারে কোন মাধ্যম আপনাকে জনপ্রিয়তা এনে দেবে! তা ছাড়া, আগামী বছরেই আমার দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে।
ছোট পর্দায় কাজ করার সুযোগ ছাড়তে নারাজ আদৃত
প্রশ্ন: কোন কোন ছবি?
আদৃত: অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়, অমিত দাসের পরিচালনায় ‘আমি দিদি নম্বর ১’। এই ছবির প্রযোজকও অভিমন্যু। আর একটি ছবির পরিচালকও তিনিই। ছবির নাম ‘লকডাউন’।
প্রশ্ন: ‘মেন্টর’ রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনও ছবি করছেন না?
আদৃত: এখনই কিছু করছি না। তবে ভাল কাজ থাকলে রাজদা নিজেই ডেকে নেবেন, এটা শিওর।
প্রশ্ন: ‘ছোট পর্দার অভিনেতা’র তকমা গায়ে লাগলে বড় পর্দায় ডাক পাবেন?
আদৃত: যুগ বদলে গিয়েছে। ছোট, বড়, ওয়েবের নায়ক, নায়িকা, চরিত্রাভিনেতারা নিজেদের নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে রাখেননি। সবাই সব কিছু করছেন। সেফ আলি খান ওয়েবেও অভিনয় করেন আবার হিন্দি ছবিতেও। এখন অভিনেতাদের মূল লক্ষ্য দিনের শেষে নিজের সেরাটা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেটা যে মাধ্যমেই হোক না কেন। আমিও সেটাই চাই। তাই সব মাধ্যমে আগামী দিনে আমায় দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: বডি হাগিং টপ, শর্ট স্কার্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন জ্বালালেন মিমি!
প্রশ্ন: বাস্তবে আপনার জীবনে ‘মিঠাই’-এর মতো কেউ আছেন?
আদৃতা: (অল্প হেসে) এর উত্তর না হয় পরে দেব। আপাতত আমি ফোকাসড কাজ নিয়ে।
প্রশ্ন: অনেকেই বলছেন, দর্শক হলমুখী নন। বড় পর্দায় ভাটার টান। তাই বড় পর্দার অভিনেতারা চলে আসছেন ছোট পর্দায়?
আদৃত: আমি অন্তত তেমন ভাবছি না। বড় পর্দার কাজ এখন ১৫ দিনে শেষ হয়ে যায়। সেখানে ছোট পর্দা রোজ আপনাকে দর্শকের অন্দরমহলে পৌঁছে দেবে। এমন সুযোগ ছাড়ে কেউ?
আরও পড়ুন: বলিউডের মাদক মামলায় সন্দেহজনক ভূমিকা, সাসপেন্ড এনসিবির দুই আধিকারিক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy