Interesting Facts About Blockbuster Hindi Film Trishul dgtl
boyywood
অমিতাভ-শশী-সঞ্জীবকুমার, তিন মহাতারকার থেকেও বেশি পারিশ্রমিক নেন ‘ত্রিশূল’-এর পরিচালক!
ছবি তৈরির আগেই ভাবা হয়ে গিয়েছিল এর নাম। যশ চোপড়া ‘ত্রিশূল’ নামটি দিয়ে সেলিম-জাভেদকে বলেন, একটি চিত্রনাট্য লিখতে। কিন্তু চিত্রনাট্য শোনার পর তিনি বলেন, এখানে এমন কিছুই নেই, যার সঙ্গে ‘ত্রিশূল’ নামটিকে যুক্ত করা যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০৯:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
বলিউডের ব্লক বাস্টার ছবি ‘ত্রিশূল’ নিয়ে জড়িয়ে আছে এমন সব তথ্য, যা জানলে চমকে যেতে হয়। আসুন, দেখে নিই সে রকমই কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
০২১২
এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সেলিম-জাভেদ জুটি। সঞ্জীবকুমার, অমিতাভ বচ্চন, শশী কপূর, রাখি, হেমা নালিনী, পুনম ঢিলোঁ অভিনীত ছবির অন্যতম সম্পদ এর চিত্রনাট্য।
০৩১২
১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ত্রিশূল’। সে বছর বক্স অফিসে সাফল্যের নিরিখে সবথেকে সফল ছবি ছিল ‘মুকাদ্দর কা সিকন্দর’। দ্বিতীয় স্থানে ‘ত্রিশূল’ এবং তৃতীয় স্থান ‘ডন’। অর্থাৎ সে বছর ছিল বিগ বি-র কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সময়।
০৪১২
ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং শশী কপূরের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীবকুমার। কিন্তু বাস্তবে তিনি শশী কপূরের থেকে বয়সে কয়েক মাসের ছোট ছিলেন। যদিও পর্দায় তাঁদের অভিনয়ে কোনও প্রভাব ফেলেনি বাস্তবের বয়স।
০৫১২
ছবিতে সঞ্জীবকুমারের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পুনম ঢিলোঁ। এটা ছিল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ছবি।
০৬১২
ছবিতে যশ চোপড়ার সহকারী পরিচালক ছিলেন রাজীব রায়। পরে তিনি নিজেই বলিউডের প্রথম সারির পরিচালক হয়ে ওঠেন। তাঁর সফল ছবির মধ্যে অন্যতম ‘মোহরা’, ‘ত্রিদেব’, ‘যুদ্ধ’, ‘বিশ্বাত্মা’ এবং ‘গুপ্ত’।
০৭১২
ছবি তৈরির আগেই ভাবা হয়ে গিয়েছিল এর নাম। যশ চোপড়া ‘ত্রিশূল’ নামটি দিয়ে সেলিম-জাভেদকে বলেন, একটি চিত্রনাট্য লিখতে। কিন্তু চিত্রনাট্য শোনার পর তিনি বলেন, এখানে এমন কিছুই নেই, যার সঙ্গে ‘ত্রিশূল’ নামটিকে যুক্ত করা যায়।
০৮১২
উত্তরে সেলিম-জাভেদ তাঁকে বোঝান, এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় আছেন অমিতাভ-সঞ্জীবকুমার-শশী কপূরের মতো শক্তিশালী তিন অভিনেতা। তাই ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে নামকরণের বৈসাদৃশ্য নেই।
০৯১২
ছবির প্রযযোজক ছিলেন রাজীব রাইয়ের বাবা গুলশন রাই। তিনি পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ছবির তিন নায়কের তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন পরিচালক যশ চোপড়া।
১০১২
ছবির নির্মাণ যখন ৭৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে, তখন সেটি দেখতে বসলেন প্রযোজক, পরিচালক এবং দুই চিত্রনাট্যকার। তাঁদের মনে হল, ছবিতে আরও কিছু দরকার। এমন কিছু সংযোজন প্রয়োজন, যা ছবিকে সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাবে।
১১১২
মুম্বইয়ের এক নামী হোটেলের ঘর এক মাসের জন্য বুক করে নিলেন সেলিম-জাভেদ। সেখানে পরিচালক যশ চোপড়ার সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘ আলোচনা হত। কথা হত, যে এই ছবিতে আর কী সংযোজন করা যায়, যাতে সাফল্য অধরা না থাকে।
১২১২
এর পর ছবিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সংযুক্ত করা হয়। যেখানে অ্যাম্বুল্যান্সে করে জমি খালি করাতে যান অমিতাভ বচ্চন। তখন শুটিং প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পর ফের শুটিং শুরু করে একটি দৃশ্য যোগ করা হয়। দর্শকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় হয় সেই দৃশ্য এবং ছবিটিও।