ইন্দ্রাণীর কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছিলেন টোটা।
ক’দিন ধরেই দাসানি ১ স্টুডিয়োতে মনখারাপ। রোহিত সেন গুরুতর অসুস্থ। একটি করে দিন যাচ্ছে, অসুস্থতা বাড়ছে। মন্দিরে ঈশ্বরের কাছে চোখের জলে ভিজছে শ্রীময়ী। শুক্রবার সম্ভবত রোহিতের মৃত্যুদৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হবে। কলাকুশলী থেকে অভিনেতা, প্রতিটি দৃশ্য জীবন্ত করতে গিয়ে সেই অবসাদে অবসন্ন। পাশাপাশি আরও একটি খবর কানে এসেছে ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’-র দলের। ১৫ ডিসেম্বর নাকি শেষ শ্যুট। সম্ভবত ১৯ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে আড়াই বছর ধরে চলতে থাকা স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক। এমন আবহে স্টুডিয়ো ফ্লোরে টাটকা অক্সিজেন ছড়িয়ে দিলেন ইন্দ্রাণী হালদার ওরফে ‘শ্রীময়ী’ স্বয়ং। তাঁর উৎসাহেই বুধবার সন্ধেয় উজ্জ্বল অভিনেতা থেকে কলাকুশলী, সব্বাই।
কী ভাবে? বুধবার বিকেলে সেটে সবাইকে চমকে দিয়ে ‘পরম সুন্দরী’ গানের তালে নেচে উঠেছেন ইন্দ্রাণী। শ্রীময়ী গিয়ে মন্দিরে কান্নাকাটি করবে, এমন দৃশ্যের মহড়া চলছিল সেই সময়। স্বাভাবিক ভাবেই বাকিরা অভিনেত্রীর কাণ্ড-কারখানায় একটু থমকে গিয়েছিলেন। পরে সব ভুলে তাঁরাও মেতেছেন আনন্দে। ইন্দ্রাণী নিজে নেচেছেন। বাকিদেরও নাচিয়েছেন। সেট থেকে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিয়ো ঝলকে আরও দেখা গিয়েছে, ইন্দ্রাণীর পাশেই বসে টোটা রায়চৌধুরী ওরফে ‘রোহিত সেন’। তিনিও নিজের অসুস্থতা ভুলে হেসে ফেলেছেন। পর্দার ‘শ্রীময়ী’ তত ক্ষণে খাটের উপরে উঠে নেচেকুদে একসা। রোহিতকে জড়িয়ে ধরে তাঁকেও আনন্দে সামিল করে নিয়েছেন অনায়াসে। হাসতে হাসতে শেষে টোটার জোড়হাতে আত্মসমর্পণ, ‘‘এ বার তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও!’’
উল্লাসের কারণ জানতে আনন্দবাজার অনলাইন টোটা এবং ইন্দ্রাণী উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ধারাবাহিক শেষ হওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে নাচ নিয়ে ইন্দ্রাণীর বক্তব্য, ‘‘প্রতি দিন মনখারাপের দৃশ্য অভিনয় করতে হচ্ছে আমাদের। সেটজুড়ে কান্নাকাটি, মনখারাপ। সবাই প্রচণ্ড অবসাদে ভুগছিলেন। আমি বরাবরই আনন্দ করে কাজ করার পক্ষপাতী। সবার এত মনখারাপ দেখে আমারও ক্লান্তি লাগছিল।’’ অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর এই টোটকা কাজে এসেছে। নিমেষে কাজের জায়গা প্রাণবন্ত।
পুরো ব্যাপারটি উপভোগ করেছেন টোটার মতো সিরিয়াস অভিনেতাও। ইন্দ্রাণীর কাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে হাসির ছোঁয়া তাঁর কথায়, ‘‘গুরুগম্ভীর দৃশ্যে অভিনয়ের আগে ইন্দ্রাণীর হঠাৎ নাচ দেখে আমিও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম। তার পর দেখলাম সবাই প্রাণ খুলে আনন্দ করছে। ওই অবস্থায় গম্ভীর থাকাই দায়!’’ ফলে, সবার সঙ্গে না নাচলেও হাসিতে যোগ দিয়েছিলেন ‘রোহিত’। তাঁরও হয়তো মনে হয়েছিল, ‘‘হেসে নাও, দু’দিন বই তো নয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy