স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
তিনি নিজেও এক মেয়ের মা। যথেষ্ট পরিণত। তুখোড় অভিনেত্রী। প্রচণ্ড সাহসিনী। তবু কোথাও কি মেয়েবেলা তাঁকে ছেড়েও ছাড়েনি? সম্ভবত এই কারণেই এখনও মায়ের অভাব প্রতি পদে অনুভব করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। মায়ের শাঁখা-পলা, গয়নায় সাজেন। চরিত্র চাইলে মায়ের মতো পায়ে চওড়া করে আলতা পরেন। শাড়ি পরার ধরনেও মা গোপা মুখোপাধ্যায়ের হুবহু ছাপ। অভিনয়ও করেন মাকে অনুকরণ করে। বুধবার রাতে একটি টুইটে সে কথা স্বীকারও করেছেন স্বস্তিকা, ‘টলিউডের সব চরিত্রেই মাকে কপিপেস্ট করি।’
হঠাৎ মায়ের কথা তুললেন কেন? স্বস্তিকার আগামী ওয়েব সিরিজ কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মোহমায়া’, যেখানে একাধিক নারীর গল্প বলা হবে। তাদেরই এক জন তিনি। চরিত্রের দাবিতে অভিনেত্রীর পরনে খড়কে ডুরের তাঁতের শাড়ি। হাতে মোটা শাঁখা, পলা। পায়ে চওড়া করে আলতা। আঙুলে মোটা আঙট। ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা। কপালে সিকি সাইজের সিঁদুর টিপ। সব মিলিয়ে আরও এক বার স্বস্তিকা ঘরোয়া বাঙালিনী।
অভিনেত্রীর দাবি, এই সাজ তিনি তাঁর মায়ের থেকে শিখেছেন। এই ধরনের চরিত্র পেলেই মায়ের শাঁখা, পলা পরেন তিনি। নতুন ওয়েব সিরিজেও তাই-ই। টুইটে তাঁর বিভিন্ন ভঙ্গির ‘লুক’-ও শেয়ার করেছেন।
অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে চান স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
২০১৫-য় অভিনেত্রী হারিয়েছেন তাঁর মা গোপা মুখোপাধ্যায়কে। তার পরেও ফোন থেকে মুছতে পারেননি মায়ের নম্বর। ইদানিং তাঁকে বেশি দেখা যাচ্ছে নারীপ্রধান চরিত্রে। এবং প্রতিটি চরিত্র ভীষণ জীবন্ত অভিনেত্রীর অভিনয়গুণে। যদিও স্বস্তিকা পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর মাকে, ‘চরিত্র অনুযায়ী কখনও কিশোরী, কখনও মাঝবয়সী, কখনও পড়ন্ত বেলার সাদা চুলের মা ঘুরে ফিরে ধরা দেন আমার মধ্যে। মায়ের কথা বলার ধরন, হাঁটার ভঙ্গি, অফুরন্ত এনার্জি ফুটিয়ে তুলি। এ ভাবেই মাকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছি। এ ভাবেই আমি মায়ের মধ্যে থেকে যাব, আজীবন।’
আরও পড়ুন: প্যান্ট ফাটল বরমাল্য পরাতে গিয়ে, পাজামায় সাত পাক ঘুরলেন আদিত্য নারায়ণ
এই সিরিজের শ্যুটিংয়ে স্বস্তিকার সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে আর এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে। সেই ছবিও স্বস্তিকা শেয়ার করেছেন। ‘মোহমায়া’ দিয়ে প্রযোজনার দুনিয়ায় প্রথম পা রাখলেন চিত্রনাট্যকার সাহানা দত্ত। সংস্থার নাম ‘মিসিং স্ক্রিউ’।
আরও পড়ুন: প্রৌঢ় শিক্ষকের হাতে যৌন হেনস্থার পর গণিতে আতঙ্ক তৈরি হয় এই বলি অভিনেত্রীর
টুইটে স্বস্তিকা আরও জানিয়েছেন, ‘মোহমায়া’ তাঁর আরও একটি স্বপ্ন পূরণ করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। অবশেষে সফল তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy