(বাঁ দিকে) সানি দেওল। ইমতিয়াজ় আলি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘গদর ২’-এর বক্স অফিস সাফল্যের সৌজন্যে চলতি বছরে আলোচনায় ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির ব্যবসা করেছে সানির এই ছবি। প্রায় দু’দশক আগে তৈরি হয়েছিল ‘গদর’। সেই ছবিও রমরমিয়ে ব্যবসা করেছিল বক্স অফিসে। শুধু বাণিজ্যিক সাফল্যই নয়, নলকূপ হাতে সানিও জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকের মনে। ‘গদর ২’ ছবিতে অবশ্য নলকূপ নয়, সানি হাতে তুলে নিয়েছিলেন পেল্লায় এক চাকা। পর্দায় তাঁর ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ অবতার দেখতে ফের প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শক। বাস্তবের সানি অবশ্য এত রগচটা নন। তা সত্ত্বেও তাঁর ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন পরিচালক ইমতিয়াজ় আলি। কেন জানেন?
‘জব উই মেট’, ‘লভ আজ কাল’, ‘রকস্টার’, ‘তামাশা’-র মতো ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ইমতিয়াজ় পরিচালক হিসাবে পথচলা শুরু করেছিলেন ‘সোচা না থা’ ছবির মাধ্যমে। সেই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভয় দেওল ও আয়েশা টাকিয়া। ইমতিয়াজ় জানান, ওই ছবি নিয়ে কথাবার্তা চলাকালীনই নাকি সানির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সানি জানতে পেরেছিলেন, অভয় আমার ছবির জন্য সায় দিয়েছেন। তিনি তখন আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, কী ছবি বানাচ্ছি আমি। সানিই তখন আমাকে বলেন, ‘আগে আমি দেখব কী ছবি হচ্ছে, আমি সায় দিলে তবেই হবে। আমি প্রযোজনা করব ছবির’। আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম।’’ ইমতিয়াজ় জানান, সানির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তাঁর বন্ধুরা নাকি তাঁকে সাবধানও করেছিলেন। ইমতিয়াজ়ের কথায়, ‘‘আমার বন্ধুরা আমাকে বলছিল, ‘তিনি যদি তোকে থাপ্পড় মেরে দেন!’ আমার তো শুনে দুশ্চিন্তা হয়ে গিয়েছিল।’’
এখন ক্যামেরার সামনে তাঁকে অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের দেখালেও এক সময় বেশ রগচটা ছিলেন সানি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে নিজের রাগ নাকি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না তিনি। এমনকি, গাড়িতে ধাতব রড, হকি স্টিক নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। সানির কথায়, ‘‘আমি জীবনের প্রচুর ঝামেলা, মারামারি করেছি। তখন তো আমরা প্রায় গ্যাংয়ের মতো!’’ নিজেদের উদ্দাম যৌবনের গল্প বলতে গিয়ে সানি আরও বলেন, ‘‘এক বার একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্যালারির দর্শক জানতে পারে যে, আমি ধর্মেন্দ্রর ছেলে। তাঁরা আমাকে র্যাগ করা শুরু করে দিয়েছিল। আমার দিকে ওরা সিগারেট পর্যন্ত ছুড়ছিল। আমার মাথাগরম হয়ে গিয়েছিল তখন। সর্দারের রক্ত তো! আমিও হকি স্টিক ঘোরাতে শুরু করেছি তখন। কে মার খাচ্ছে, কার কোথায় লাগছে, আমার তখন নজরই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy