শরমন
প্র: বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত থাকার কারণে আপনারা এমনিতে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য বিশেষ সময় পান না। এখন নিশ্চয়ই সেই অভিযোগ আর নেই!
উ: (হেসে) সত্যি কথা বলতে, একেবারেই না। স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে তো বটেই, নিজের সঙ্গেও সময় কাটাচ্ছি। যতটা বোর হব ভেবেছিলাম, একেবারেই হচ্ছি না। বই পড়া, সিনেমা দেখা... কখন যে সময় কেটে যাচ্ছে। এখন শুধুই পরিস্থিতি ভাল হওয়ার প্রার্থনা। তবে মুম্বইয়ের জন্য নিয়ম আরও আঁটসাঁট হবে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। আর যাঁরা এই লকডাউন পর্বে কষ্টে আছেন, ঠিক মতো বাড়ি ফিরতে পারছেন না, তাঁদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
প্র: ওয়েব সিরিজ় ‘বারিশ টু’-এ অনুজ (শরমনের চরিত্র) একজন স্বামীর ভূমিকায়। সফল বিয়ের মন্ত্র কি আদৌ কিছু আছে?
উ: ভালবাসার পাশাপাশি একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা খুব জরুরি। আর দু’জনে পরস্পরকে যদি ভাল বন্ধু মনে করেন, তা হলে সমস্ত কিছু ভাগ করে নেওয়াটা সহজ হয়ে যায়। ‘ম্যারেজ’ ট্যাগটা অনেক সময়ে খুব জটিল হয়ে দাঁড়ায় জীবনে, বোঝা মনে হয়। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্র পালন করতে গিয়ে অনেক সময়ে বন্ধুত্বটাই হারিয়ে যায়। সেটা করতে দিলে চলবে না।
প্র: আপনি তো এর পরে ‘ফৌজি কলিং’ করছেন...
উ: হ্যাঁ। চরিত্রটা খুব ইন্টারেস্টিং। ইন্ডিয়ান আর্মিতে যাঁরা কাজ করেন, সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ করে তাঁদের পরিবার। দেশের সেবা করতে গিয়ে পরিবারের খেয়ালই রাখা হয় না তাঁদের। আমার চরিত্রটা সে রকমই একটা পরিবার থেকে উঠে আসা একটি ছেলের।
প্র: সিরিয়াস থেকে কমেডি... সব চরিত্রেই আপনি সাবলীল। কিন্তু আপনার নিজের প্রিয় বা স্বপ্নের চরিত্র কী?
উ: আমার সবচেয়ে ভাল লাগে এমন চরিত্রে অভিনয় করতে, যে কানে শুনতে পায় না। উমেশ শুক্লর ‘আঁখ মে চোলি’তে আমি অবশ্য সে রকম একটা চরিত্রেই অভিনয় করছি। দশ বছর আগে মঞ্চে একটা নাটক করেছিলাম। তিন বছর ধরে ৫৫০ শো হয়েছিল সেটার। সেখানেও আমি এ রকম একটা চরিত্রে ছিলাম। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল যে, কোনও দিন সুযোগ পেলে বড় পর্দাতেও এ রকম চরিত্রে অভিনয় করব।
প্র: ‘রং দে বাসন্তী’, ‘লাইফ ইন আ... মেট্রো’, ‘থ্রি ইডিয়টস’... আপনার করা চরিত্র মানুষ এখনও মনে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু পুরস্কারের ঝুলি সে ভাবে সমৃদ্ধ নয়। কখনও কি মনে হয় যে, আপনার আরও বেশি প্রাপ্য ছিল?
উ: আমি যা পেয়েছি, তার জন্য ঈশ্বরের কাছে বরাবর কৃতজ্ঞ। থিয়েটার থেকে শুরু করে বড় পর্দা... এই সফরটা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু মানুষের অকুণ্ঠ ভালবাসা না পেলে এখানে এসে পৌঁছতে পারতাম না। যত ভালবাসা আসুক, মাথা পেতে নেব। সেটাই সেরা প্রাপ্তি। আর আমি যত দিন চাই, তত দিন যেন অভিনয়টা করে যেতে পারি। এর চেয়ে বেশি আমার কিছু আর চাওয়ার নেই।
প্র: আপনার হাতে এখন কী কী কাজ আছে?
উ: ‘বারিশ টু’, ‘আঁখ মে চোলি’, ‘ফৌজি কলিং’, ‘টম ডিক হ্যারি টু’ তো আছেই। এ ছাড়া আব্বাস-মস্তানের ‘পেন্টহাউস’ করছি। সেটা অবশ্য নেটফ্লিক্সের জন্য।
প্র: নেটফ্লিক্সের কথা যখন উঠলই, ওটিটি-রাজে দাঁড়িয়ে এক সময়ে কোথাও কি বড় পর্দা কোণঠাসা হবে বলে আপনার মনে হয়?
উ: সত্যি বলতে, প্ল্যাটফর্মটা ম্যাটার করে না। মঞ্চ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, ডিজিটাল শো বা সিনেমা... যা-ই হোক, ভাল কনটেন্ট হলে দর্শক দেখবেন। আর কাজ করে আনন্দ পেলে অভিনেতারা করবেনও। এটাই সার কথা। তবে হ্যাঁ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তুলনামূলক ভাবে অনেক নতুন এবং ইট ইজ় হিয়ার টু স্টে।
প্র: আপনার উইকিপিডিয়া ঘাঁটলে পাওয়া যায়, ‘শরমন জোশি ইজ় আ সেক্সি ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড থিয়েটার অ্যাক্টর’...
উ: সেক্সি? (উচ্চস্বরে হেসে) আরে বাহ! এটাকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই নিলাম। এটা বোধহয় ‘হেট স্টোরি থ্রি’র জন্য। খেটেছিলাম তার জন্য। সিক্স প্যাক বানিয়েছিলাম। যাক, এই ট্যাগটা তার মানে আমার অর্জিত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy