ভয়কে জয় করার চাবি বাবার হাতেই
পাহাড়চূড়ায় ছেলেকে নিয়ে হাজির হৃতিক রোশন। এবং সটান নির্দেশ— ঝাঁপ দাও, সব ঠিক হয়ে যাবে! ছেলে হৃদানকে ভয়কে জয় করার শিক্ষা দিতে এ পথেই হেঁটেছিলেন হৃতিক রোশন।
উদ্বেগ যখন ব্যস্ত জীবনের নিত্যসঙ্গী, ভয় কাটাতে ভয়ের মুখোমুখি হওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। অভিনেতা নিজেও সেই পন্থা অবলম্বন করেন। শৈশবে কথা জড়িয়ে যেত তাঁর, নাচতে পারতেন না। আর এখন? স্রেফ মনের জোরে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেছেন। ছেলে হৃদান আর রেহানকেও সেই একই শিক্ষা দেন।
পুরনো একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। তাতে হৃদানকে দিচ্ছেন জীবনের পাঠ। বাঞ্জি জাম্পিং অর্থাৎ পাহাড় থেকে শূন্যে ঝাঁপ দেওয়া উদ্বেগ দূর করার অব্যর্থ উপায় বলে মনে করেন হৃতিক। ভিডিয়োয় দেখা যায়, প্রশিক্ষকের ভূমিকায় ছেলেদের সাহস জোগাচ্ছেন নিজেই। পাহাড়চূড়া থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে হৃদান যখন ভয়ে সিঁটিয়ে, বাবা তাকে বলছেন ‘‘ধীরে ধীরে, সময় নাও। তোমার তো আঘাত লাগবে না। সেটা মনকে বোঝাও। কেবল মস্তিষ্ককে বলো, তুমি পড়ে যাওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করতে চলেছ। সেটুকুই। ৫ সেকেন্ডেরও কম।’’ হৃতিকের মতে, এ ভাবে মস্তিষ্ক একটা অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যাবে। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে নিজের নতুন ধারণাও হবে। এর পরে হৃদান যখন লাফ দিতে প্রস্তুত, বাবাকে তার প্রশ্ন, ‘‘আমি পারব তো?’’ হৃত্বিকের উত্তর, ‘‘অবশ্যই।’’
ভিডিয়োর সঙ্গে অনুরাগীদের উদ্দেশে হৃতিক লিখেছেন, ‘আমি যখন ভয় পাই, কিংবা হৃদান আর রেহান ভয় পায়, আমরা সেটা নিয়ে ভাবি। ভেবে ভেবে ভয়কে হারিয়ে দিই। এটা তার এক উদাহরণ। আমাদের ভয় শেষে অসাধারণ আনন্দ আসে। এ ভাবেই সব কিছু জয় করা যায় বলে আমার বিশ্বাস। সে এক দিন ছিল বটে!’ ছেলেদের সাহস বাড়াতে হৃতিকের এই চেষ্টা মন ছুঁয়েছে ভক্তদেরও। অভিনেতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘বাবা হিসেবে আপনি অসাধারণ।’
বেশ কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০০০ সালের ডিসেম্বরে সুজান খানকে বিয়ে করেছিলেন হৃতিক। তাঁদেরই ভালবাসার ফসল দুই ছেলে রেহান আর হৃদান। ২০১৪ সালে হৃতিক-সুজানের বিবাহবিচ্ছেদ। বর্তমানে, গায়িকা-অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন হৃতিক। সদ্য ইউরোপ সফর সেরে ফিরেছেন জুটিতে। তার পরেই ছেলেদের সঙ্গে এমন দুর্দান্ত এক মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy