‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর সাফল্যের পর গুলি লাগে রাকেশের অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন হৃতিক। —ফাইল চিত্র।
বলিউডের ‘গ্রিক গড’ বলা হয় তাঁকে। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হৃতিক রোশনের। প্রথম ছবিতেই মারকাটারি সাফল্য। বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন হৃতিকের প্রথম ছবি। কিন্তু এই সাফল্যের পিছনে যিনি ছিলেন তিনি হৃতিকের বাবা। পরিচালক রাকেশ রোশন। সে বছর ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে প্রায় সব ক’টি বিভাগেই জয়ী হন তাঁরা। রাতারাতি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যুবতীদের চোখের ঘুম কেড়ে নেন হৃতিক। এমন সাফল্যের স্বাদ পেয়েই অভিনয় ছেড়ে দিতে চেয়েছিলে তিনি। নিজেকে আয়না দেখতে ঘৃণা হচ্ছিল তাঁর। আসলে নেপথ্যে ছিল নির্মম বাস্তব।
২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল হৃতিকের ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। যেখানে হৃতিকের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা পটেল। হৃতিক-আমিশার সেই ছবি ঝড় তুলেছিল দেশ জুড়ে। ওই বছরই সুজানকে বিয়ে করেছিলেন হৃতিক। সেই বছর রোশন পরিবারের উপর ঝড় বয়ে যায়। ছবির এমন সাফল্য চক্ষুশূল হয় অনেকেরই। আচমকা কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে রাকেশ রোশনকে উদ্দেশ্য করে গুলি মারেন। বুকে ও পাঁজরে গুলি খান অভিনেতার বাবা। হৃত্বিক বলেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ অবস্থা বাবা আমাকে ফোন করে খোঁজ নেন আমি ঠিক আছি তো! সেই সময় জিমে ব্যস্ত আমি। শুনেই বাবার কাছে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে একচুল নড়তে বারণ করলেন আমাকে।’’
অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই দুই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করেন রাকেশ রোশন। পুলিশের কাছে নিয়ে যান সেখানে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর।
এই ঘটনার পরই হৃত্বিক ভাবেন অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেবেন। তবে পারেননি কেননা সেই সময় তিনি ‘মিশন কাশ্মীর’ ছবির শুটিং-এ ব্যস্ত ছিলেন। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা তাঁকে এই পদক্ষেপ করার থেকে বিরতি রাখে। হৃতিকের কথায়, ‘‘আমার নিজেকে দেখে ঘৃণা হত আমার পরিবারে এমন দুঃসময়ে আমি নাচের দৃশ্যে শুটিং করছি। পরিবারের স্বার্থেই অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’ পরে নিজেই উপলব্ধি করেন, ছেড়ে চলে আসা সোজা, কিন্তু কঠিন রাস্তায় হেঁটে যাওয়াটা সোজা নয়। তাই দ্বিতীয়টাই করলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy