উৎসবের দিনগুলোয় মাটিতে নেমে আসেন রুপোলি পর্দার তারকারাও। তাঁদের আলোয় মিশে যায় মাটির পৃথিবীর আনন্দ। দুর্গাপুজোয় অন্যথা হয়নি। ব্যতিক্রমী নয় কালীপুজোও। শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার, পার্নো মিত্র, ঋতাভরি চক্রবর্তী হয়ে টেলি তারকা শ্রীমা ভট্টাচার্য, শ্রুতি দাস-- সবাই আজ গয়নায়, শাড়িতে সুন্দরী। আতশবাজি সরিয়ে প্রদীপের আলোয় উজ্জ্বল।
ব্যক্তিগত জীবনে যতই ঝড় উঠুক, আলোর উৎসব থেকে দূরে সরে থাকতে পারেননি শ্রাবন্তী। লাল-কমলা শিফনের জমকালো লেহেঙ্গা-চোলি। তাতে সলমা-জরির ঝিলিক। আপাদমস্তক কুন্দনের গয়নায় মোড়া। খোলা চুলে, মিষ্টি হাসিতে, চোখের ইশারায় শ্রাবন্তী যেন শ্রাবস্তীর কারুকার্য। ফুলের রঙ্গোলি আর প্রদীপের আলোয় তাঁর দীপাবলি উদযাপন।
আজ একটু অন্য রকম পায়েল সরকারও। তিনিও সুন্দরী ফিকে পার্পেল রঙা লেহেঙ্গায়। আকাশের তারার ঝিকিমিকি তাঁর সারা পোশাকে। খোলা চুলে, কাঁধ ছোঁয়া কানের দুলে, হাতের চুড়িতে উচ্ছ্বল অভিনেত্রী। সোশ্যাল পেজে অনুরাগীদের জানিয়েছেন, ‘আলোর উৎসবে মেতে উঠুক সারা শহর। কেটে যাক অতিমারির ছায়া। আতসবাজিকে দূরে রেখে সকলে ভাল ভাবে পুজো কাটান। সকলকে শুভ দীপাবলির প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকলে ভাল ভাবে পুজো কাটান ও আনন্দে থাকুন'।
হাতে মাটির থালা। তাতে বাসন্তী গাঁদা, মাটির প্রদীপ। উজ্জ্বল রানি রঙা লেহেঙ্গা আর জড়োয়ার ভারী গয়নায় নিজেকে সাজিয়েছেন পার্নো মিত্র। একই সঙ্গে মনে করিয়েছেন, এ বছরের উৎসব আলোর। শব্দের নয়, দূষণের নয়। মাস্ক ছাড়া দীপাবলি উদযাপন কেউ যেন না করেন।
আরও পড়ুন: এ বছর আমার দীপাবলিতে শুধুই আলোর রোশনাই
ব্যতিক্রমী ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি বেছে নিয়েছেন চিরন্তনী লাল পাড় সাদা বেনারসী। সঙ্গে সোনার আর মুক্তোয় গাঁথা গয়না। তিনিও কালো দূর করতে আলোর শক্তিতে বিশ্বাসী। সঙ্গে আন্তরিক প্রার্থনা, ‘মা কালীর ঐশ্বরিক আশীর্বাদ সর্বদা আপনার সঙ্গে থাকুক। শুভ কালী পুজো'।