শিলাজিৎ মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
বাংলা তিথি অনুযায়ী সপ্তাহের পয়লা দিন, সোমবার জন্মদিন ছিল তাঁর। ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী, ষষ্ঠী তাঁর জীবনের বিশেষ দিন। প্রতি দিনের মতো এ দিনও বেলা করে ঘুম ভেঙেছে তাঁর। পার্থক্য একটাই, অনুরাগীরা ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে শিলাজিৎ মজুমদারের ঘুম ভাঙিয়েছেন। গত রাতে জন্মদিনের পার্টি করে শুতে রাত? যোগাযোগ করে গায়কের কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তখনও তাঁর কথায়, গলায় ঘুম মাখামাখি। এই অবস্থাতেই বললেন, “আর পাঁচটা দিন আর জন্মদিন আমার কাছে এক।” এটা কি বর্তমান পরিস্থিতির কারণে? জবাব এল, “আজ নয়, বরাবরই তাই।”
তবু আজ তাঁর জন্য পায়েস। প্রত্যেক দিনের মতো এ দিনও গায়কের মা ছেলেকে ফোনে “সাবধানে থাকিস। ভাল থাকিস, সুস্থ থাকিস”, বলে আশীর্বাদ জানাবেন। আর? গায়কের কথায়, “টুকটাক কিছু অনুষ্ঠান হবে শুনেছি। কয়েক জন মিলে একটি ক্যাফেতে আড্ডা, গানবাজনার আয়োজন করেছেন। যাব সেখানে।” ইচ্ছে হলে নিজেও হয়তো গাইবেন খান দুয়েক গান। খাওয়া দাওয়া? “সকালে বাড়ি থেকে সামান্য কিছু খেয়ে বেরোব হয়তো। বাকিটা বাইরেই খাব”, বললেন ‘জলফড়িং’ শিলাজিৎ। কণ্ঠস্বরে তখনও হালকা আলস্য। তার পরেই যেন মনে পড়ল তাঁর, ইচ্ছে, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে জোড়াবাগান যাবেন। তা হলে সেখানেও হয়তো কিছু না কিছু খাবেন। পুরনো পাড়া মনে রেখেছে জোড়াবাগানের ছেলেকে? গায়ক জানিয়েছেন, পুরনো মানুষদের সঙ্গে দেখা হলে কথা হয়।
উপহারের ঝুলি কিন্তু ফাঁকা থাকে না। কাছের মানুষেরা এ দিন তাঁকে কিছু না কিছু দেবেনই। অনেকেই জন্মদিনে অতীত ফিরে দেখতে ভালবাসেন। শিলাজিৎ কি তাঁদের দলে? এ বার যেন চেনা গায়ক ধরা দিলেন। কণ্ঠ থেকে নিরাসক্তির সুর সরিয়ে বললেন, “কোনও দিন পিছন ফিরে দেখি না। তাই গান বা অভিনয় করে ভুলে যাই সে সব। মনে রাখি না।” একটু থেমে যোগ করলেন, “ভেবেছিলাম, বয়স বাড়লে শান্তি পাব। বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে দেখতে মানুষ সম্বন্ধে বিরক্তি ধরে যাচ্ছে। নিজেকে মানুষ বলে ভাবতেও! কেমন একটা ঘোরের মধ্যে যেন বেঁচে আছি। বেঁচে থাকার ঘোর।” তা হলে কি শিলাজিৎ ‘বৃদ্ধ’ হলেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy