পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
খ্যাতির সঙ্গে কু-খ্যাতিও আসে। খ্যাতনামীদের জীবনচর্যা এটাই বলে। নাট্যকার, অভিনেতা, ছবির পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ও তার ব্যতিক্রম নন। জীবনপথে চলতে চলতে তিনিও বহু বাঁক দেখেছেন। মুখোমুখি হয়েছেন নানা গুঞ্জনের। সে সব সামলেও তিনি সৃষ্টিশীল! কী করে? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে এমন কৌতূহলেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।
কী বললেন 'হার্বার্ট'-এর পরিচালক?
খুব সহজ করে সেই রহস্য উন্মোচন করেছেন মঞ্চ-পর্দার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সুমনের কথায়, ‘‘আমার জীবন যাপনের একটি দর্শন আছে। সেই দর্শন সম্পর্ক-পেশা-শিল্প, পরিজন, পরিবার সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই যাপন আমায় সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো ভুলও হয়। তবু ভুল হতে হতেই তো মানুষ শেখে!’’
এ প্রসঙ্গে নাট্য পরিচালক উদাহরণ দেন লেনিন এবং ব্রেখটের। সুমনের মতে, তাঁরাও বলেছেন নির্ভুল মানেই বুদ্ধিমান- এই ধারণা ঠিক নয়। বরং প্রকৃত বুদ্ধিমান তিনি, যিনি নিজের ভুল দ্রুত সংশোধন করে নেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চারণ করেন বাংলা প্রবাদও। তাঁর দাবি, ন্যাড়া বেলতলায় একাধিক বার যেতেই পারে। হয়তো তাকে একাধিক বার ফিরে আসতেও হবে। কিন্তু এর মাধ্যমেই সে ঠেকে শেখে।
কিন্তু কী তাঁর সঙ্কটমোচনের পথ? ব্যক্তিজীবনের জটিল পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ান কীসের জোরে?
সেই মন্ত্রগুপ্তিও সুমন ফাঁস করেছেন এই আড্ডাতেই। তাঁর দাবি, তিনি যখন কাজে ডুবে, তখন সমস্যারাও কোথায় যেন পাখা মেলে উড়ে যায়! সেই মুহূর্তে তিনি আর তাঁর কাজ এক দিকে, অন্য দিকে বাকি গোটা দুনিয়া। নাট্যকারের মতে, এটা সম্ভবত কমবেশি সব শিল্পীর সঙ্গেই হয়। তিনি এই নিমগ্নতাকেই আঁকড়ে পেরিয়ে যান সঙ্কট-সমুদ্র। তাই যত বড় সঙ্কট তত বড় কাজ বেছে নেন সুমন। তাতেই তাঁর মুক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy