গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
‘কৃষ্ণ’ আমার ভীষণ প্রিয়
‘‘কৃষ্ণের আমি প্রচণ্ড ভক্ত বা ফ্যান যাই বলুন না কেন। মা তাই প্রতি বছর বাড়িতে যখন ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী করেন, আমি তাতে অংশ নিই। ঠাকুর সাজাই। মা উপোস করতে দেন না বলে ফল, মিষ্টি খেয়ে যতটা সংযমে থাকা যায় থাকি। কীর্তন হয়। সেই কীর্তনে অংশ নিই’’, জন্মাষ্টমীর কথা উঠতেই খুশি শ্রাবন্তী।
তবে এ বছর কাজ থেকে ছুটি মেলেনি। শ্রাবন্তী সারাদিন ব্যস্ত স্টার জলসার ‘সুপারস্টার পরিবার’ রিয়্যলিটি শো-এর শুটে। তাই এ বছর বাড়ির পুজোয় থাকতে পারবেন না। সদ্য জিম খুলেছে স্বামী রোশন সিংহের। স্যানিটাইজ করতে তিনিও বেজায় ব্যস্ত। শ্বশুরবাড়িতে তাই তিনিও যেতে পারছেন না।তবে শ্রাবন্তী-রোশনের অনুপস্থিতি পুষিয়ে দেবে ঝিনুক। পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে দিদা-দাদু, মাসি-মেসো তুতো ভাইবোনদের সঙ্গে জমিয়ে মজা করবে বলে আগেই ঠিক করে রেখেছে। ‘‘ছোটবেলায় মা তো ওকে এই দিনে গোপালের মতো করেই সাজাত। বলত, বাড়িতে জ্যান্ত গোপাল এসেছে’’,জানালেন অভিনেত্রী।
‘গোপাল’ জন্মদিনে কী খাবেন? নাড়ুগোপাল তো, তাই মা নিজের হাতে নাড়ু বানান। তালের বড়া, তাল ক্ষীর, মিষ্টি, ফল, খিচুড়ি— মা অনেক কিছু রাঁধেন। আগামী কাল সমস্ত গুছিয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসবেন মা-বাবা। ভোগ কোনও ভাবেই মিস করার নয়’’, শ্রাবন্তী উত্তেজিত।
এবার আর রুপোর খেলনা দেওয়া হবে না ‘গোপাল’-কে
সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ভীষণ ঠাকুর ভক্ত। বাড়িতে সবপুজোই হয়। আত্মীয় পরিজন মিলে বাড়ি গমগমে। এমনকি জন্মাষ্টমীতেও। সুদীপার ছাদের ঠাকুরঘরে জোড়া গোপালের অবস্থান। একটি বড় ছেলে আকাশের নামে। অন্যটি ছোট ছেলে আদিদেবের নামে।
এ বছরেও কি জন্মাষ্টমী জমজমাট অগ্নিদেব-সুদীপার বাড়িতে? ‘‘না’’,হতাশ গলায় জানালেন সুদীপা। করোনা ম্লান করেছে উৎসবের আবহ।
আলপনায় মন ঋতাভরীর
নিশ্চয়ই নিয়ম-নীতি মানবেন? ‘‘অনেক কাটছাঁট করে’’,জানালেন সুদীপা। যেমন? ভাল তাল পাওয়া যায়নি বলে এ বছর গোপাল তালক্ষীর পাবেন না। তালের বড়া দেওয়া হয় অন্য দিন। তবে ক্ষীরের মালপোয়া, লুচি, সুজি দিয়ে সাদা মোহনভোগ, পাঁচ রকম ভাজা হবে বিকেলে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দেবতাদের ক্ষীরের মিষ্টি ছাড়া এমনি সন্দেশ দেওয়ার রীতি নেই। টাটকা মিষ্টি আসবে বিকেল বা সন্ধের সময়।
নিয়মনিষ্ঠা সবই মানা হবে, বাড়ি অতিথিহীন
‘গোত্র’র সেই দৃশ্য মনে আছে? মুক্তি দেবীর বাড়ির জন্মাষ্টমীর ধুমধাম? পর্দার সেই দৃশ্যের বাস্তব রূপ প্রতি বছর দেখা যায় পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। কী ভাবে পালিত হয় শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন? ‘‘আমাদের বাড়ির গৃহদেবতা গোবিন্দ দেব। মন্দিরের বিগ্রহের মতোই পুরোহিত এসে সকালে আর রাতে দু’বেলা পুজো করেন। ফলে, জন্মাষ্টমী প্রতি বছর খুব বড় করে উদযাপিত হয়। আমার শাশুড়ি মা-ই সমস্ত জোগাড় করেন। ঠিক মুক্তি দেবীর মতোই। আমি ফল কেটে দিই। প্রচুর আত্মীয় আসেন। সে একদম হইহই ব্যাপার’’,জানালেন শিবপ্রসাদের পরিচালক স্ত্রী জিনিয়া।
‘গোত্র’র সেই দৃশ্য মনে আছে? মুক্তি দেবীর বাড়ির জন্মাষ্টমীর ধুমধাম?
তারপরেই সামান্য বিষণ্ণ তিনি, এ বছর আর সে সব হওয়ার উপায় নেই। ঠিক হয়েছে, সবার বাড়িতে প্রসাদ পাঠানো হবে বাক্স করে।
মুখোপাধ্যায় বাড়িতে এ দিনের মূল আকর্ষণ সিন্নি। সেটা হবেই। প্রতি বছরের মতোই দেওয়া হবে মালপোয়া, তালের বড়া, নানা রকমের মিষ্টি। অন্ন ভোগ না হলেও প্রতি বছর পায়েস নিবেদন করা হয়। এ বছর সেটিও হচ্ছে না। বদলে থাকবে লুচি-আলুর দম। যদিও সে সব দেবতাকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হবে না। নতুন জামা পরে ফুলের বেদিতে রুপোর গয়নায় সেজে বসবেন গোবিন্দ দেব। এ বারের বাড়তি সংযোজন পরিচালক জুটির অন্যতম নন্দিতা রায়ের গোপালের বিগ্রহ। শিবপ্রসাদের বাড়িতে নিত্যপুজো হয় বলে তিনি নিজের ‘গোপাল’কে পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁর মায়ের হেফাজতে।
পরিচালক দম্পতির কথায়, করোনা আবহে বাড়ির একমাত্র আমন্ত্রিত নন্দিতাদি। সব কিছুই হবে এ বছর অতিথি ছাড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy