পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ৭২ ঘণ্টা পার। ইতিমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। এই আবহেই নতুন কাশ্মীর গড়ার ডাক দিলেন সেখানকার ভূমিকন্যা অভিনেত্রী হিনা খান!
ঘটনাটি যে দিন ঘটে, তখন কাশ্মীরে ছিলেন হিনা। কারণ, সেখানেই তাঁর বাড়ি। ক'টা দিন পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন সেখানে। তখনই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৫ জন পর্যটক-সহ ২৬ জনের। ওই ঘটনার পরই হিনা জানিয়েছিলেন, তিনি লজ্জিত। এই ঘটনার পর কাশ্মীরের মুসলিমরা তীব্র প্রতিবাদে পথে নামেন। তাঁরা যে এই ধরনের উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে, সে কথা বার বার বলেছেন। এমনকি, কয়েক জনের কুকর্মের জন্য কাশ্মীরিদের ভুল না বোঝার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বার হিনার দাবি, ফিরিয়ে আনা হোক হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। পাশপাশি, তিনি মুসলিম হয়ে হিন্দু ভাইবোনেদের কাছে ক্ষমা চান।
আরও পড়ুন:
হিনার কথায়, “ভারতের জন্য অন্ধকার দিন। চোখে জল নিয়ে জানাচ্ছি, বাস্তবকে এড়ানো যায় না। মগজধোলাই হওয়া সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করেছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁরা অমানবিক ও অমানুষ। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড় করিয়ে একজন মুসলিমকে যদি তাঁর ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং তার পরও কোনও না কোনও ভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়, সেই বীভৎসতা আমার কল্পনাতীত। আমরা হৃদয় সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি আমার সমস্ত হিন্দু ভাইবোন এবং আমার সহনাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি চাই, আমার হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইবোনদের ফিরিয়ে আনা হোক। কারণ, নতুন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ করতে পারছি। তাঁরা ভারতে অখণ্ডতা রক্ষা করতে তৎপর।’’
হিনা আরও বলেন, ‘‘কিছু মুসলিমের কুকীর্তির জন্য আমি এতটাই লজ্জিত যে, আমার সহনাগরিকদের কাছে অনুরোধ করতে বাধ্য হচ্ছি, আমাদের সকলকে গুলিয়ে ফেলবেন না দয়া করে। এই কঠিন সময়ে আমরা যদি একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে ব্যস্ত থাকি, তা হলে আমাদের আসল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।’’ এই ঘটনা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে বলেই জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে আমার যন্ত্রণাটা বড় কথা নয়। এটি তাঁদের সকলের ব্যথা, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। এটি প্রতিটি ভারতীয়ের ব্যথা। আমি তাঁদের শক্তি এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। যাঁদের হারিয়েছি, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এই সময় দাঁড়িয়ে আমাদের খাটো করে কথা বলা উচিত নয়। আমি এর নিন্দা করি। যারা এ কাজ করেছে, তাদের আমি ঘৃণা করি।’’
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
‘পাকিস্তানকে ভালবাসি, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি’, মোদীর সঙ্গে ৩৫ মিনিটের ফোনালাপ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ট্রাম্প
-
‘ওই জঘন্য গোষ্ঠীকে দেশ থেকে সরান’, পাক প্রতিনিধিদলকে পরামর্শ আমেরিকার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা
-
কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ঘরে ফেরেন জ্যৈষ্ঠের অষ্টমীতে, ক্ষীর ভবানীর পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা
-
‘সিঁদুর’ অভিযানের পর কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ অবশেষে প্রত্যাহার! নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের
-
কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার, এর পর আর কেউ মধ্যস্থতার সময় পাবে না, দাবি পাক সেনাকর্তার