Hema Malini rejected marriage proposal of Raaj Kumar dgtl
Hema Malini. Raaj Kumar
শ্যুটিংয়েই মুগ্ধ রাজকুমার বিয়ের প্রস্তাব দেন হেমাকে, পত্রপাঠ ফিরিয়ে দেন ড্রিমগার্ল
মুম্বই পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর থেকে কুলভূষণ পণ্ডিত হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে রাজকুমার নামেই চেনে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:১৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
মুম্বই পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর থেকে কুলভূষণ পণ্ডিত হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে রাজকুমার নামেই চেনে।
০২১৭
৪ দশকের ফিল্মি কেরিয়ারে অস্কার মনোনীত ‘মাদার ইন্ডিয়া’-সহ ৭০টি ফিল্মে কাজ করেছেন তিনি।
০৩১৭
সে সময়ের সুপারস্টার রাজকুমারের সঙ্গে কাজ করার জন্য একপায়ে খাড়া ছিলেন ছোট-বড় সমস্ত নায়িকাই।
০৪১৭
বরং কোন নায়িকাকে তিনি ফিল্মে নেবেন আর কাকে নেবেন না তা স্থির করতেন রাজকুমার নিজেই।
০৫১৭
কখনও কোনও নায়িকার নাক পছন্দ হত না তো কখনও কোনও নায়িকার চুলে তেলের গন্ধ ভাল লাগত না তাঁর।
০৬১৭
এমন নানা কারণে অনেকের সঙ্গেই তিনি অভিনয় করতে চাইতেন না। নাকচ করতে ওস্তাদ ছিলেন যিনি, সেই তাঁর প্রস্তাবই একবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এক নবাগত নায়িকা।
০৭১৭
সে সময় ইন্ডাস্ট্রির ওই নবাগত নায়িকা ছিলেন হেমা মালিনি। তাঁর সাহস দেখে অবাক হয়েছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রি।
০৮১৭
১৯৭১ সালের ফিল্ম ‘লাল পাথর’। ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন রাজকুমার। ফিল্মের পরিচালক চেয়েছিলেন রাজকুমারের বিপরীতে কাজ করুন বৈজয়ন্তীমালা।
০৯১৭
এ নিয়ে কথাবার্তাও এগিয়েছিল খানিকটা। তার মাঝেই আচমকা বেঁকে বসেন রাজকুমার। বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে জুটি বাঁধতে রাজি ছিলেন না তিনি। বদলে অন্য এক নায়িকার কথা জানান।
১০১৭
রাজকুমারের পছন্দের সেই নায়িকা ছিলেন হেমা মালিনি। বৈজয়ন্তীমালা তখন সুপারস্টার। দর্শকমহলে জনপ্রিয় মুখ। তাঁর পরিবর্তে কোনও উঠতি নায়িকা! রাজকুমারের এহেন সিদ্ধান্তে হতবাক হন পরিচালক।
১১১৭
শেষে রাজকুমারের কথামতো হেমাকেই নেওয়া হয়। ফিল্মটি করতে হেমাকে প্রচুর সাহায্যও করেন রাজকুমার।
১২১৭
শ্যুটিংয়ের সময় হেমাকে এতটাই ভাল লেগে গিয়েছিল যে ছবি মুক্তি পাওয়ার পরই তাঁকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন রাজকুমার।
১৩১৭
এর মাত্র কয়েক বছর আগেই ১৯৬৮ সালে বলি ডেবিউ করেছিলেন হেমা। তাঁর সৌন্দর্য্য এবং অভিনয় দিয়ে তিনি দর্শকদের মনে ‘ড্রিমগার্ল’ হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন। এ সময় কেরিয়ারের বাইরে আর কিছুই ভাবতে চাননি তিনি।
১৪১৭
তাই অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী রাজকুমার তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরই হেমা তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
১৫১৭
রাজকুমারের ভক্ত বলে পরিচিত হেমা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভাললাগা আর ভালবাসা তাঁর কাছে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি রাজকুমারের অভিনয়ের ভক্ত, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে নিয়ে এগনোর কথা ভাবেননি।
১৬১৭
হেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়াটা পরবর্তীতে রাজকুমারকে ধর্মেন্দ্রর শত্রু করে দিয়েছিল। হেমার সঙ্গে যখন ধর্মেন্দ্রর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হল ইন্ডাস্ট্রিতে কারণে অকারণে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেন রাজকুমার।
১৭১৭
কখনও ধর্মেন্দ্রকে ‘পালোয়ান’ তো কখনও তাঁকে ‘মদ্যপ’ বলে বিতর্ক তৈরি করতেন। ধর্মেন্দ্র যদিও এগুলোকে হালকা ভাবেই নিতেই।