Have a look at rivalry between salman khan and john abraham dgtl
দেড় দশকের শত্রুতা, একে অপরকে সহ্যই করতে পারেন না এক সময়ের এই দুই বন্ধু
'বড্ড বেশি ইমোশনাল'-- সলমন খান সম্পর্কে এই প্রবাদ ইন্ডাস্ট্রিতে বড়ই পুরনো। বন্ধুত্ব করতে হলে মন দিয়ে করেন আর কারও সঙ্গে যদি একবার বেধে যায় ঝামেলা, তবে তার রেশ থাকে আজীবন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল সলমন খান এবং জন আব্রাহামের মধ্যে। দু'জনের অগাধ বন্ধুত্বে যে চিড় ধরল, সেই রেশ এখনও অব্যাহত।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০৯:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
'বড্ড বেশি ইমোশনাল'-- সলমন খান সম্পর্কে এই প্রবাদ ইন্ডাস্ট্রিতে বড়ই পুরনো। বন্ধুত্ব করতে হলে মন দিয়ে করেন আর কারও সঙ্গে যদি একবার বেধে যায় ঝামেলা, তবে তার রেশ থাকে আজীবন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল সলমন খান এবং জন আব্রাহামের মধ্যে। দু'জনের অগাধ বন্ধুত্বে যে চিড় ধরল, সেই রেশ এখনও অব্যাহত।
০২১৫
একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে দু'জনের চেনাজানা আগে থেকেই ছিল। দেখা হলে সৌজন্য বিনিময় বা সাধারণ হাই, হ্যালো। তবে বন্ধুত্ব বলতে যা বোঝায় তা শুরু হয় ২০০৬ সালে, 'বাবুল' ছবির সেটে।
০৩১৫
দু'জনেই ফিটনেস ফ্রিক। দু'জনের শার্টলেস লুক দেখতে ভক্তরা পাগল। ওই ছবির শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই সলমনের বেশ মনে ধরে জনকে। দু'জনের চিন্তাভাবনাতেও ছিল বিস্তর মিল। জনও বাড়িয়ে দেন বন্ধুত্বের হাত।
০৪১৫
সে সময় সলমন 'রকস্টার' নামক এক আন্তর্জাতিক ট্যুরে যাচ্ছিলেন। জনকেও তিনি অনুরোধ করেন সেই ট্যুরে তাঁর শরিক হতে। তারকাখচিত ট্যুর। রাজি হয়ে গেলেন জনও।
০৫১৫
একসঙ্গে দু'জনে পারফর্মও করলেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। ঠিক এমন সময়েই পয়সাকড়ি নিয়ে জনের সঙ্গে বিবাদ বাধে ভাইজানের। ওই শো-র জন্য জন আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক দাবি করলে সলমন বারণ করেন। কিন্তু জন সে কথায় কর্ণপাত করেননি।
০৬১৫
এ খানেই শেষ নয়। যে রকস্টার শো-র এত দিন প্রধান আকর্ষণ ছিলেন সলমন। সে খানে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেতে থাকেন জন। কানাঘুষো শোনা যায়, সলমনের থেকেও নাকি সে বার দর্শক পছন্দ করেছেন জনকে।
০৭১৫
কথাটা কানে যায় সলমনের। খারাপ লাগে তাঁর। তিনি ভেবেছিলেন, যেহেতু জনকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন তাই স্বাভাবিক ভাবেই সারা ট্যুরে জন তাঁর সঙ্গেই সময় কাটাবেন। কিন্তু হয়েছিল ঠিক উল্টো। ভাল করেই স্টারডম উপভোগ করছিলেন জন। থাকছিলেন নিজের শর্তেই। আর তাতেই খারাপ লাগা দ্বিগুণ হয় সলমনের।
০৮১৫
সেখান থেকেই সম্পর্কে চিড় শুরু। কথা ছিল ফিরে এসে 'বাবুল' ছবির দ্বিতীয় অংশ শুট করবেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের দু'জনের সম্পর্ক এমন খারাপ জায়গায় পৌঁছয় যে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও অমিতাভ বচ্চনের মধ্যস্থতায় দু'জনে বাকি শুটিং শেষ করেন। কিন্তু বরফ গলে না।
০৯১৫
এ দিকে 'বাবুল' বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ভাইজান জনসমক্ষে বলেছিলেন, বাবুলের দ্বিতীয় অংশ খুব একটা মনোগ্রাহী নয়। তাই হিট হয়নি। আর দ্বিতীয় পর্বে জন-এরই রোল বেশি ছিল। তাই ভাইজানের ইঙ্গিত যে কার প্রতি ছিল, তা বোঝাই যায়।
১০১৫
ঠিক এই সময়েই সলমনের জীবনে আসেন ক্যাটরিনা। জনের উপর তিনিও রুষ্ট ছিলেন। কারণ, ক্যাটরিনার হিন্দি উচ্চারণ খারাপ থাকার কারণে ক্যাটরিনার সঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করতে চাননি জন। দু'দিন শুটিং শুরু হয়ে গেলেও সেই ছবিতে থেকে বাদ পড়েন ক্যাট।
১১১৫
আরও রেগে যান ভাইজান। ঠিক সময়ে এর বদলা নিতে বলেন ক্যাটকে। এরও কিছু বছর পর, তখন ক্যাটরিনার বেশ নাম হয়েছে। তাঁর কাছে একটি ছবির অফার যায়। ছবির নাম 'নিউইয়র্ক'। সহ অভিনেতা জন।
১২১৫
সিনেমাটি করবেন কী না সে বিষয়ে যখন ক্যাটরিনা দোটানায়, ঠিক সেই সময়েই সলমন তাঁকে ছবিটি করতে বলেন। যে জন তাঁর সঙ্গে একদা ছবি করতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই আবার কাজ করা যে পরোক্ষে ক্যাটরিনার জয়, সে কথা ক্যাটকে বুঝিয়েছিলেন সলমন।
১৩১৫
সিনেমাটি বক্স অফিসে চূড়ান্ত হিট হয়। কিন্তু সলমনের বিশ্বাস ভাঙে আরও একবার। জন এবং ক্যাটরিনার প্রেম নিয়ে সে সময় সরগরম মিডিয়া। প্রকাশ্যে আসে জন-ক্যাটরিনার এসএমএস আদানপ্রদান এবং কললিস্টের লম্বা ফিরিস্তি।
১৪১৫
ক্ষোভে পাগল হয়ে যান সলমন। সে সময় সলমনের সঙ্গেই লিভইন করতেন ক্যাট। তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র নিজের বাড়ি থেকে বের করে দেন সলমন। ব্রেক আপ হয়ে যায় তাঁদের।
১৫১৫
তার পর অনেক বছর কেটে গিয়েছে। সম্পর্কে থাকার কথা জন বা ক্যাট কেউই স্বীকার করেননি। তবে সলমন এবং জনের সম্পর্কের তিক্ততা আজও অটুট।