সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ অন্বেষার প্রেগনেন্সির ছবিতে।
ধন্যি মেয়ে বটে! বিয়ে হল না। তার আগেই এক ছেলে, এক মেয়ের মা অন্বেষা হাজরা। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ অন্বেষার প্রেগনেন্সির ছবিতে। ছবি বলছে, গর্ভবতী অন্বেষা দারুণ খুশি। এক গা গয়না পরে সাধ খেতে বসেছে! সবাই ঘিরে রয়েছে অন্বেষাকে।
ব্যাপারটা কী? ফোনে ধরতেই আরও মারাত্মক খবর শোনালেন চুনি, “একটি ছেলে তো আছেই। এ বার মেয়ে হচ্ছে!ভুত দিম্মা পান্না, টাইম মেশিনে চেপে ৪০ বছর এগিয়ে গিয়ে দেখে এসেছেন, আমার আর ‘নির্ভীক’-এর এক ছেলে হয়েছে। এবার মেয়ের পালা!
পুরোটাই চিত্রনাট্য অনুযায়ী? অন্বেষা বললেন, ‘‘হ্যাঁ, চুনি পান্না শেষ হয়ে যাচ্ছে ১১ অক্টোবর। তার আগে চুনির ভবিষ্যত জেনে যাবেন দর্শক। এক ছেলের পর পান্না আসবে মেয়ে হয়ে চুনির কোলে। পান্না বলেই ছিল, হাড়ে দুব্বো না গজান পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি নেই।’’ তার পরেই খুশির আমেজ, শুট করতে গিয়ে নাকি দারুণ মজা করেছেন অন্বেষা। পেটে বালিশ ঢুকিয়ে শট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বলিউড ত্যাগ করলেন সানা, কেন তা জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়
মেগা শেষ মনখারাপ ‘চুনি’ গত সপ্তাহেই ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন। গোলাপের গায়ে ব্যান্ডেড লাগানো ছবি! পাশে ক্যাপশন, সব ব্যথা দেখানোর নয়! ওই ছবি নিয়েও নেটাগরিকদের ফিসফাস ছিল, নির্ঘাৎ প্রেম ভেঙেছে। তাই না অমন ফুলের গায়ে ব্যান্ডেড জড়ানো! তাই কি? কৌতূহল জেনে অবাক অন্বেষাও, নেটাগরিকদেরও বলিহারি, এই পোস্ট নিয়ে এত চালাচালি! সামনে আনলেন আসল খবর, ‘‘মন অবশ্যই ভেঙেছে। তবে প্রেমে নয়। মেগা ‘চুনি পান্না’ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক সঙ্গে কাজ করতে করতে সবাই একটি পরিবার হয়ে যাই। এক সঙ্গে কাজ, থাকা, খাওয়া, ওঠা বসা। মান-অভিমানও থাকে। সেই পরিবার যখন ভাঙে মনটাও ভাঙে।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে এসভিএফ প্রযোজিত হরর-কমেডি শো ‘চুনি পান্না’ শুরু হয়েছিল স্টার জলসায়। ‘চুনি’ বরাবরই দস্যি মেয়ে। ভূতে অবিশ্বাসী। ভূতুড়ে বাড়ির খোঁজ পেলেই দৌড়েছে সেখানে ভূত দেখতে! অবশেষে শ্বশুরবাড়িতে এসে সন্ধান পায় ভূত ‘পান্না’র। প্রথমে প্রচণ্ড শত্রুতা। তার পর হোম ডেলিভারির পার্টনার বানাতেই ভারী ভাব ভূত আর মানুষের। অন্বেষা ছাড়াও মেগায় দেখা গিয়েছে দিব্যজ্যোতি দত্ত, তুলিকা বসু।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই এক ঘরে কাপল মাসাজ নিলেন গৌরব-শ্রীমা! কোথায়?
একটি ধারাবাহিক শেষ হলে আবার হাতে আসবে নতুন কাজ। কিন্তু প্রেমের কী হবে? যার হাজার খোঁজ করেও কেউ কোনও খবরই পাচ্ছেন না! সহজ জবাব মিলল অন্বেষার থেকে, ‘‘মজবুত শিরদাঁড়ার মানুষের খোঁজ আমিও নিজেও এখনও পাইনি। যে সবার আগে ভাল বন্ধু হবে। ভালয় মন্দয় পাশে থাকবে।’’
ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কাউকে সঙ্গী বাছবেন না ভিতরের? বললেন, “সেটা ঠিক করিনি। তবে মনের মানুষ পেলেই বলব, ‘লক কর দিয়া যায়ে’!!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy