দেবিনা-গুরমিত
‘রামায়ণ’ ধারাবাহিকের রাম-সীতা এলেন শহরে। ঝুপড়ি চায়ের দোকানে ধোঁয়া ওঠা চা, হলুদ ট্যাক্সি ভর্তি শহুরে রাস্তা— শ্বশুরবাড়ির শহরের আমেজ উপভোগ করছেন গুরমিত চৌধরি। তাঁর সঙ্গ নিয়েছেন স্ত্রী দেবীনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০৫ সালে প্রথম বার গুরমিতকে দেখেছিলেন দেবিনা। একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মুম্বই গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গুরমিতও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার পর থেকে বন্ধুত্ব। প্রথমে কলকাতা এবং মুম্বইয়ের মধ্যে যোগ স্থাপন। দেবিনা মুম্বইয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে শারীরিক দূরত্ব কমে যায়। আরও কাছে আসেন দুই শিল্পী। তার পর ‘রামায়ণ’-এ অভিনয় করার পর তাঁদের প্রেম এবং বন্ধুত্ব নিয়ে মাতামাতি শুরু হয় দর্শকদের মধ্যে। তাঁদের রসায়নে আজও যেন একই রকমের রোমাঞ্চ রয়েছে। সে কথা তাঁদের ছবি, ভিডিয়ো দেখে স্পষ্ট হয়ে যায়।
দুই শহরের মধ্যে প্রেমের সেই গল্প তুলে ধরলেন গুরমিত। সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে নতুন ছবি এবং ভিডিয়ো দিলেন তিনি। বঙ্গতনয়া এবং তাঁর স্বামী এই মুহূর্তে কলকাতায়। বাড়ি আসার আনন্দে দেবিনা একটি ভিডিয়ো দিয়ে লিখলেন, ‘ঐতিহ্যশালী বাড়ি এবং হলুদ ট্যাক্সির মাটিতে আমি। এটাই আমার বাড়ি।’ দেবিনার সঙ্গে ছবি দিয়ে গুরমিত লিখেছেন, ‘ওর জন্যেই কলকাতা আরও মূল্যবান।’ আরও একটি ছবির অ্যালবাম পোস্ট করেছেন গুরমিত। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঝুপড়ি চায়ের দোকানে মজা করে চা ঢালছেন তিনি। লিখেছেন, ‘কলকাতার রাস্তার চায়ের গন্ধ নিচ্ছি। আমি চা ভালবাসি না। কিন্তু এই চা দেখে নিজেকে আটকাতে পারলাম না।’ তার পরেই চা বিক্রেতা পিন্টুর সঙ্গে আলাপ করানোর ভঙ্গিতে গুরমিত লিখলেন, ‘গোলপার্কে রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে পিন্টু আমাকে অপূর্ব চা খাওয়ালেন।’
গত জামাইষষ্ঠীতে দেবিনার বাড়িতে ভুরিভোজ করেছেন গুরমিত। মা আনন্দে পেটপুজো করার ভিডিয়ো দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘আজ সেই দিন, যে দিন আমি খাই, খাই আর খাই। কী উৎসব বলুন দেখি?’ ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, দেবিনার মা তাঁর জামাইয়ের সামনে একটি বড় পিতলের থালা রেখেছেন। সেটিকে ঘিরে রয়েছে ৯টি পিতলের বাটি। আম, ডিম, পোলাও, ভাজা, লুচি, মাংস, মাছ, পায়েস, আরও কত কী! গুরমিতের শাশুড়ি শাঁখ বাজাচ্ছেন। পরিবারের অন্যেরা উলুধ্বনি দিচ্ছেন। বাঙালি পাঞ্জাবি পরে রয়েছেন গুরমিত। তিনি অন্য কোনও একটি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে এই অনুষ্ঠানের নিয়ম বোঝাচ্ছেন। তার পরে শাশুড়ির হাত থেকে প্রথম গ্রাস মুখে তুলে নিচ্ছেন। ভিডিয়োর নেপথ্যে চলছে একটি বাংলা গান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy