‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য। -নিজস্ব চিত্র।
সৌজন্যর গানে মুগ্ধ গুনগুন, সাতপাকে বাঁধা পড়ে প্রেম শুরু?
সৌজন্যকে আর ‘ক্রেজি’ বলে ডাকতে পারছে গুনগুন। মুখও বাঁকাতে পারছে না! বরং মুখোপাধ্যায় পরিবারের ছোট বৌয়ের চোখে কেমনযেন ঘোর লেগেছে। বাসর রাতে সৌজন্যর গলায় কিশোর কুমারের সুপারহিট গান ‘এক আজনবি হাসিনা সে’ শোনার পর থেকেই এই বদল। অবশেষে সৌজন্যর প্রেমে পড়ল গুনগুন?
অস্বাভাবিক কী? কঠিন মুখ করে থাকা এই বিজ্ঞানীও যে এ রকম অসাধারণ রোম্যান্টিক গান গাইতে পারে, গুনগুনের ধারণার বাইরে ছিল। তাই সবার সঙ্গে হাততালি দিতে দিতে খেয়াল পর্যন্ত করেনি, সবার তালি থেমে যাওয়ার পরেও সে অভিনন্দন জানিয়েই চলেছে তার ‘ক্রেজি’কে!
আরও পড়ুন: হয়নি কনকাঞ্জলি, শ্বশুরবাড়িতে রওনা দিলেন দেবলীনা, কেঁদে ফেললেন দেবাশিস কুমার
বড় জা ডাকতেই হুঁশ ফেরে তার। সঙ্গে সঙ্গে লজ্জায় রাঙা গুনগুন। বাসর রাতে শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে মিলে সে যে কতখানি বেসুরো গান গেয়েছে সেটাও যেন একটু একটু উপলব্ধি করতে পারছে এ বার। অর্থাৎ, এক রাশ মুগ্ধতা নিয়েই শ্বশুরঘর করতে চলেছে গুনগুন।
বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানে একের পর এক কাণ্ড করে ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহা যেন একুশের ট্রেন্ড সেটার। তৃণার যদিও দাবি, দাপুটে অভিনেতাদের সঙ্গ পেলে আপনা থেকেই অভিনয় খুলে যায়। তাঁর আগের ধারাবাহিকগুলোর রেটিং শুরু হয়েছিল ৩, ৪ দিয়ে। সেখানে স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ শুরুই করেছে ৭, ৮ নম্বর দিয়ে।
সামনেই নিজের বিয়ে। সেখানেও কি ‘গুনগুন’-এর মতো করেই তিনি ছুটে আসবেন ‘বর’ নীল ভট্টাচার্যকে দেখতে? বরযাত্রীদের সঙ্গে নেচেগেয়ে বিয়ের মণ্ডপে নিয়ে আসবেন তাঁকে? গুনগুনের মতোই মনখোলা উত্তর এল, ‘‘এমনটাই হওয়া উচিত। যার বিয়ে সে আগে নিজের বর দেখবে না!’’
তার পরেই নীচু গলায় আফসোস, সেটে যেটা পেরেছেন বাড়িতে সেটা হবে না। মা-বাবা কি তাঁকে অনুমতি দেবেন ছুট্টে গিয়ে বর দেখতে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy