‘উত্তমকুমার’ গৌরব রায়চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক।
সাকুল্যে মিনিট ১৫ পর্দায় ছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে অনেকেই উত্তমকুমারের আদল খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’ ছবিতে এই ভূমিকায় কে অভিনয় করেছেন? মাথা ঘামাননি কেউ। কারণ, দর্শক মজে জীবন্ত ‘মৃণাল সেন’ চঞ্চল চৌধুরীতে। হঠাৎ সেই রহস্যভেদ! খবর প্রকাশ্যে এনেছেন সেই অভিনেতাই। ছবির জন্য দুটো সাজে ছবি তুলতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে আসতেই নড়ে বসেছেন নেটাগরিকেরা। আরে, এ যে ধারাবাহিক ‘পুবের ময়না’র নায়ক গৌরব রায়চৌধুরী!
আপনাকে কি এখন সকলে ‘উত্তমকুমার’ বলে ডাকছেন? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে হাসি গৌরবের। ধারাবাহিকের শটের মাঝে কথা। বললেন, “লোকে এতটাই চমকে গিয়েছেন যে প্রথমে সকলে স্তব্ধ। তার পরেই বন্যার মতো মন্তব্য আছড়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রত্যেকের একটাই কথা, বোঝার কোনও উপায় নেই! এতটাই মানিয়ে গিয়েছে।” অভিনেতা এর সম্পূ্র্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন রূপটানশিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুকে। জানিয়েছেন, তাঁকে সাজাতে বেশি ক্ষণ সময়ও নেননি। আধ ঘণ্টার মধ্যে রূপটানশিল্পী তৈরি করে দিতেন। তবে লুক টেস্টে তাঁকে দেখে নাকি বিস্মিত হয়েছিলেন খোদ পরিচালকও।
একই অবস্থা গৌরবেরও। একবার ধুতি-শার্ট আর একবার সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবির লুক। দু’বার সেজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে তিনি মুগ্ধ! বললেন, “ঠাকুমার কোলে বসে উত্তমকুমারের ছবি দেখে বড় হয়েছি। কোনও দিন ওঁর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাব, ভাবতে পারিনি।” এই আবেগের বশেই এই ছবির জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেননি গৌরব। জানিয়েছেন, সৃজিত তাঁর স্বপ্নপূরণ করেছেন। বাঙালির ‘আবেগ’কে ধারণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। এই আবেগেই সোমনাথও গৌরবের রূপটান কারও হাতে ছাড়েননি। নিজেই করতেন। বিপরীতে চঞ্চল চৌধুরী। গৌরব নিজেকে ‘উত্তমকুমার’ভেবে অনায়াসে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে গিয়েছেন।
বিপরীতে সত্যিকারের সুচিত্রা সেন যদি থাকতেন? কিংবা শ্রীমা ভট্টাচার্য? ঝটিতি জবাব এ বার, “দুষ্টু প্রশ্ন! আমার শট রেডি। আর কোনও কথা নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy