ছবিতে কারসাজির জন্য সমালোচনার শিকার গৌরী খান, পাশে দাঁড়ালেন অনুরাগীরা। ছবি: সংগৃহীত।
ছবিতে কারসাজি করা হয়েছে বলে সমালোচনার মুখে গৌরী খান। সৌন্দর্য বাড়াতে রূপটানের পাশাপাশি শাহরুখ-পত্নী নাকি ফোটোশপের সাহায্যও নিয়েছেন, এহেন দাবি উঠেছে নেট দুনিয়ায়। সমাজমাধ্যমে কম্পিউটারে সম্পাদনা করা ছবি পোস্ট করেন গৌরী। তার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বলিউড প্রযোজক ও অন্দরসজ্জা শিল্পী। কিন্তু এই বিতর্কে গৌরীর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুরাগীরা। তাঁদের দাবি, সুন্দর দেখানোর জন্য নিজেদের ছবিতে প্রত্যেকেই কম-বেশি কারসাজি করেন। সমালোচকদের উদ্দেশে অনুরাগীদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘তিনি তারকা বলে ফোটোশপ করলেই দোষ?’’
‘সৌন্দর্য’-এর ধারণা নিয়ে চিরকালই দ্বন্দ্বের জায়গা তৈরি করেছে বলিউড। শুধু বলিউড নয়, গ্ল্যামার জগতে বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে এসেছে নিখুঁত সৌন্দর্য। প্রচারের আলোয় থাকতে বিশেষ ধরনের শারীরিক গঠন, চোখে-মুখে রূপটান, সঙ্গে তাক লাগিয়ে দেওয়া সাজসজ্জার গুরুত্ব ও আবেদন অনস্বীকার্য। তবে, সৌন্দর্যের এই মাপকাঠির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই হোঁচট খান তারকারাও। ঝলমলে জীবনযাপন সত্ত্বেও সব সময় নিখুঁত ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে গিয়ে খামতির মুখে পড়েন তারকারাও। শাহরুখ-পত্নী গৌরী খানও তার ব্যতিক্রম নন। সম্প্রতি দুবাইয়ের এক অনুষ্ঠানে মেয়ে সুহানা খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মায়ানগরীর অন্যতম নামজাদা অন্দরসজ্জা শিল্পী। লাল গালিচায় দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন তিনি। সেগুলোর মধ্যেই একটি ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন গৌরী। ঘটনাচক্রে সেই অনুষ্ঠানে গৌরীর আসল ছবি খুঁজে পান নেটাগরিকরা। দেখা যায়, সেই ছবি ও গৌরী পোস্ট করা ছবির মধ্যে বিস্তর ফারাক। আসল ছবিতে গৌরীর ত্বকে বেশ কিছু জায়গায় ভাঁজ লক্ষ্য করা যায়। গৌরীর পোস্ট করার ছবিতে তা উধাও। এমনকি, বদলে গিয়েছে তাঁর ত্বকের রংও। পরিবর্তন হয়েছে তাঁর মুখের আকৃতিতেও। গৌরীর পোস্ট করা ছবি থেকে স্পষ্ট, আসল ছবির উপর অনেক কারসাজি করে তবেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। তার পরেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
তবে, সমালোচনার মাঝে শাহরুখ-পত্নীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু নেটাগরিক। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমরা যারা তারকা নই, তারা সুন্দর দেখানোর জন্য একটু-আধটু ফোটোশপ করেই থাকি। ওঁরা তো তারকা, ওঁদের উপর সব সময় নিজেকে সুন্দর দেখানোর চাপ থাকে। সব সময় ক্যামেরা ওঁদের দিকে তাক করে থাকে। চাপের মুখে পড়ে যদি ওঁরা কারসাজি করে থাকেন, তাতে দোষ কোথায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy