জননায়ক সোনু
করোনা-লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা। বিদেশে আটকে পড়া ভক্তকে উড়ানের টিকিট দিয়ে দেশে ফেরানো। দুঃস্থ পরিবারের বিকলাঙ্গ শিশুকে নতুন জীবন দান। কত মানুষের কত কল্যাণে যে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম, তা গুণে শেষ করা যাবে না। বলিউডের অভিনেতা হতে গিয়ে আমজনতার চোখে দেবদূত হয়ে গিয়েছেন সোনু সুদ। ৪৯ বছরের জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক সোনুর কাহিনি।
পঞ্জাবের মোগার এক কোণে বাবার কাপড়ের দোকান। কষ্টসৃষ্টে বেড়ে উঠছিলেন সোনু। সঞ্চয় ভাঙিয়ে ছেলেকে নাগপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা। তবে পড়া শেষ করে চাকরির চেষ্টার আগেই সোনু স্থির করেন অভিনয়ই হবে তাঁর পেশা। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। ১৯৯৬ সালে মুম্বই পাড়ি। শুরু হয়ে যায় তাঁর বলিউড সফর।
এ সময়েই সোনালির প্রেমে পড়েন সোনু। বিয়ে করে সংসার চালাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ উপার্জনের দরকার হয়ে পড়ে। শুরু হয় লড়াই। তিন বছর মুম্বইয়ের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার পর দক্ষিণী ছবিতে সুযোগ পান সোনু। তেলুগু ছবি ‘কল্লাজগার’ দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন। তারও ৩ বছর পর ‘শহীদ-ই-আজম’, অভিনেতার প্রথম বলিউড ছবি।
জনপ্রিয়তা এসেছে অবশ্য আরও দেরিতে। ‘যুবা’ (২০০৪) এবং ‘দবং’ (২০১০)-এর পরে সোনুকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন বহু ছবিতেই খলনায়কের ভূমিকায় তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক।
আর বাস্তব জীবনে? সেখানে তিনি সব সময়েই নায়কের ভূমিকায়। প্রিয় অভিনেতাকে দেবদূতের আসনে বসিয়ে ফেলেন ভক্তরা। মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনু বলেছিলেন, ‘‘এত মানুষের ভালবাসা পেয়ে বুঝতে পারি জীবনের প্রকৃত অর্থ কী। বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে সকলের মধ্যে নিজেকে বার বার খুঁজে পাব বলেই।’’
এ বছরও অভিনেতার জন্মদিনে শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে সকাল থেকে। মানুষ তাঁকে কতটা ভালবাসেন, তা শনিবারও বোঝা গিয়েছে। ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবিতে শেষ বার দেখা গিয়েছিল সোনুকে। আগামী দিনে তামিল ছবি ‘তামিলারাসন’-এ বিজয় অ্যান্টনির বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy