মধু-কবি অনুপম। বিদ্যাসাগরের ভূমিকায় অনির্বাণ।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত তখন বিদেশে। ব্যারিস্টারি পড়ার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই ডুব দিতেন অমিত্রাক্ষর ছন্দে। সেই সময় নিঃশব্দে তাঁকে রসদ জুগিয়ে যাচ্ছেন বাংলা ভাষার জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দেশে বসে সবার থেকে চেয়ে চিন্তে টাকা পাঠাতেন কবিকে। এই কথার অনেকটাই গোপন রেখেছিলেন দুই বন্ধু। সেই কথা বিদ্যাসাগরের দুশোতম জন্মদিনে এই প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলেন এখনকার দুই বন্ধু অনুপম রায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ‘মাইকেল-বিদ্যাসাগর সংবাদ’ গানটিতে। গান লিখে বেঁধেছেন অনুপম। বিদ্যাসাগরের ভূমিকায় অনির্বাণ। মধু-কবি অনুপম।
এই প্রথম অনুপমের সঙ্গে গাইতে শোনা গেল অনির্বাণকে। যদিও এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ ছবিতে ‘কিচ্ছু চাইনি আমি’ গেয়েছেন। মঞ্চাভিনেতা হওয়ার সুবাদে নাটকেও গাইতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
অনির্বাণ জানিয়েছেন, তিনটি চিঠি মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে। সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল মধুসূদনের থেকে। বিদ্যাসাগর পারেননি। তিনি ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন অর্থ সাহায্য করেছেন। বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরে কবি নিজের বাড়ি বিক্রি করে সেই ঋণ শোধ করেন। আজকের দিনে এই বন্ধুত্ব বিরল। তাই একে সামনে আনা।
আরও পড়ুন:কর্ণদের পার্টি নিয়ে তদন্ত নয়, জানাল এনসিবি
এক সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল? অনির্বাণ-অনুপম উচ্ছ্বসিত একে অন্যকে নিয়ে, ‘‘দীর্ঘ দিনের চেনাজানা আমাদের। এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সেই সম্পর্ক যেন গাঢ় হল।’’
অনুপম যোগ করলেন, লকডাউনের সময় বই পড়তে পড়তে বিদ্যাসাগরের জীবনী হাতে আসে তাঁর । সেটা পড়ার সময়েই এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করার কথা তাঁর মাথায় এসে । ' কথোপকথনের ভিত্তিতে প্রোজেক্টটি তৈরি , কাজেই তাঁর আরেকটি কণ্ঠের দরকার ছিল । তখনই অনির্বাণের কথা মাথায় আসে। তিনিও রাজি হয়ে যান । অনুপম প্রথম 'উমা' ছবির প্রচারের সময় অনির্বাণকে তাঁর 'আলস্য ' গানটি গুন গুন করতে শোনেন । পরে বোঝেন নতুন গান নিয়ে অনির্বাণও সমান আগ্রহী। গান নিয়ে কতটা সিরিয়াস । এই ভিডিয়ো ভাবনায় অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy