থ্রিলারধর্মী উপন্যাস থেকে তৈরি সৃজিতের প্রথম রহস্য সিরিজ।
রবীন্দ্রনাথ মুশকান জুবেরির রেস্তোরাঁয় কখনও খেতে আসেননি। কিন্তু তাঁর গান বোধহয় রেস্তোরাঁ মালকিনের বিশেষ পছন্দ। তেমনটাই আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ ওরফে ‘রেক্কা’। খবর, যেখানে নানা স্বাদের ১২টি রবীন্দ্রসঙ্গীত নাকি ব্যবহৃত হয়েছে। যার একটি শুক্রবার নেটমাধ্যমে প্রথম প্রকাশ করলেন খোদ পরিচালক। রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজের সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে জয় সরকার।
থ্রিলারে বরাবর মাস্টারপিস সৃজিত। বাংলাদেশের লেখক মহম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলারধর্মী উপন্যাস থেকে তৈরি তাঁর প্রথম রহস্য সিরিজ। সিরিজের পরতে পরতে রোমাঞ্চ। ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ বাংলাদেশের সুন্দরপুরের এক রেস্তোরাঁর নাম। মুশকান জুবেরি তার মালকিন। যাঁর হাতের সুস্বাদু খাবার রেস্তোরাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কিন্তু রহস্য এখানেই যে, এই রেস্তোরাঁয় খেতে এসে অনেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।
একই ভাবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনারও একাধিক বৈশিষ্ট্য। যার মধ্যে অন্যতম, তাঁর ছবিতে গানের ব্যবহার। পরিচালকের সৌজন্যে রহস্যেও তাই রবীন্দ্র-ছোঁয়া। দৃশ্যপট বলছে, এক দিকে নেপথ্যে বেজেছে জয়তী চক্রবর্তীর গাওয়া ‘আমি চঞ্চল হে আমি সুদূরের পিয়াসী’ গানটি। অন্য দিকে, ধ্বংসলীলায় মেতেছেন ‘মুশকান’ ওরফে আজমারি হক বাঁধন। তাঁর বাড়ি জুড়ে দাউ দাউ আগুন। যেন সুদূরের ডাকে সাড়া দেবেন বলেই নিজের হাতে নিজের নির্দিষ্ট সীমানা মুছতে ব্যস্ত তিনি।
গানের দৃশ্য জুড়ে এ ভাবেই রহস্যের ঘনঘটা। কেন নিজের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন মুশকান জুবেরি? তদন্তকারী অফিসার ‘নিরুপম চন্দ’ ওরফে রাহুল বসু সেই সময় মুশকানের আমন্ত্রণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কি বিধ্বংসী আগুনের গ্রাস থেকে নিস্তার পেয়েছিলেন? পুলিশ অফিসার ‘তপন শিকদার’ ওরফে অনির্বাণ চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও কি শেষরক্ষা করতে পেরেছিলেন?
পরিচালকের মুন্সিয়ানায় দর্শক-শ্রোতার মনে ইতিমধ্যেই মাত্র একটি রবীন্দ্রগান জাগিয়ে দিয়েছে এতগুলি প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy