‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’
১৯৯০ নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হন শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত। সেই ঘটনাপ্রবাহকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। কিন্তু সেই ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিষিদ্ধ করা হল সিঙ্গাপুরে। অভিযোগ, ছবিতে একটি সম্প্রদায়ের মানুষের একপাক্ষিক গল্প বলা হয়েছে।
ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, সংস্কৃতি মন্ত্রক, কমিউনিটি অ্যান্ড ইউথ এবং দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে লেখা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে কোনও চলচ্চিত্র দেখাতে গেলে যে সব বিভাগে ছবিটিকে রাখা হয়, এই ছবিটিকে তার কোনওটিতেই ফেলা যাচ্ছে না।
সিঙ্গাপুর সরকারের দাবি, এই ছবিতে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষের একপাক্ষিক গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তা ছাড়া তাদের অভিযোগ, ছবির বিষয়বস্তু খুবই ‘উস্কানিমূলক’। প্রশাসনের আশঙ্কা, এই ধরনের ছবি দেখে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সমস্যা বাড়তে পারে, ঐক্যের অভাব ঘটতে পারে। বহু-ধর্মীয় সমাজে সামাজিক সংহতি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যাহত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মত তাঁদের।
Dear fopdoodle, gnashnab @ShashiTharoor,
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) May 10, 2022
FYI, Singapore is most regressive censor in the world. It even banned The Last Temptations of Jesus Christ (ask your madam)
Even a romantic film called #TheLeelaHotelFiles will be banned.
Pl stop making fun of Kashmiri Hindu Genocide. https://t.co/QIxFjJW86U pic.twitter.com/kzodpI1CtL
ছবিতে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার, পল্লবী যোশী প্রমুখ। বিভিন্ন কারণে সেই ছবি ঘিরে ভারতে বারবার বিতর্কও দানা বেঁধেছে। এ বার এই বিতর্ক সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে গেল।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এই ঘটনা নিয়ে টুইট-যুদ্ধ বেধেছে কেরলের সাংসদ শশী তারুর এবং ছবির পরিচালকের মধ্যে। সিঙ্গাপুরের এই সিদ্ধান্তের খবরটি শেয়ার করে শশী লিখেছেন, ‘ভারতের শাসকদল যে ছবির প্রচার করেছে, সেই ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে নিষিদ্ধ করল সিঙ্গাপুর।’ শশীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে টুইট করেছেন বিবেকও। শশীকে ‘বোকা’ এবং ‘সব বিষয়ে অভিযোগ করেন’ বলে উল্লেখ করেন পরিচালক। তাঁর দাবি, সিঙ্গাপুরে নানা ধরনের ছবিই নিষিদ্ধ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy