(বাঁ দিকে) রাহুল মুখোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
রবিবার সারা দিন ধরে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির ব্যস্ততা। সকাল থেকে ফোনে অধরা স্বরূপ বিশ্বাস। সে সব সামলে রাতে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন ফেডারেশন সভাপতি। জানালেন, বিনোদন দুনিয়ার যে কোনও ব্যক্তি নিয়ম ভাঙলে শাস্তি অনিবার্য। নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী তিন মাস পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালনার কাজ করতে পারবেন না। একটু থেমে বললেন, “বাংলাদেশ থেকে আসার পরেই ওঁকে ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে মেল পাঠানো হয়েছিল। রাহুল নির্দিষ্ট সময়ে জবাব দেননি। দিলে এত দিনে শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যেত। পুজোর ছবিও বানাতে পারতেন।”
ফেডারেশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মাসখানেক আগে ও পার বাংলায় ‘গুপি শুট’ করেন ‘দিলখুশ’ ছবির পরিচালক। যা ফেডারেশনের নিয়মবিরুদ্ধ। কারণ, এতে গিল্ডের হাতেগোনা সদস্য থাকে। বাকিরা বাইরের। খবর জানাজানি হতেই ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (ডিএইআই)-এর সভাপতি সুব্রত সেন এবং সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় মেল করেন পরিচালককে। জানতে চান, কেন তিনি বাংলাদেশে। জবাব দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পরে রাহুল জানান, তিনি বেড়াতে গিয়েছেন। ফের তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিছক বেড়াবেন বলে তিনি এত দিন ধরে বাংলাদেশে? তখন রাহুলের যুক্তি, তিনি তাঁর আগামী ছবি ‘লহু’-র জন্য প্রাথমিক কথা বলতে ও পার বাংলায় গিয়েছেন। দেশে ফেরার পর তাঁকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সত্যি স্বীকার করেন ‘কিশমিশ’ ছবির পরিচালক। বলেন, ‘‘জেনেশুনে অন্যায় করেছেন তিনি। বাংলাদেশে ছবির শুটিং করছিলেন।’’ তার জেরেই এই শাস্তি।
এক জন পরিচালকের তিন মাসের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি। তাঁর শাস্তির কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি। ফেডারেশন কি আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারত না?
স্বরূপের কথায়, “কমবেশি ১৮০টি গিল্ডের সংগঠিত রূপ ফেডারেশন। প্রত্যেক গিল্ডে প্রধান রয়েছেন। তাঁরা যদি মনে করেন দলীয় সদস্য অন্যায় করেছেন, তাঁকে তাঁরা শাস্তি দেবেন, সে ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই।” আরও যুক্তি, রাহুল তাঁরও খুব কাছের। কিন্তু এই ঘনিষ্ঠতা পেশাজীবনে কখনওই ছায়া ফেলে না। তাই অন্যদের ক্ষেত্রে যা, রাহুলের ক্ষেত্রেও সেই একই শাস্তি প্রযোজ্য। তা ছাড়া, বিষয়টিতে আর আলোচনার রাস্তা খোলা নেই। ফেডারেশনের নিয়ম জানা সত্ত্বেও কেন অনেকেই সেই নিয়ম অগ্রাহ্য করছেন? ফেডারেশন সভাপতির দাবি, সকলের উপার্জনের কথা ভেবে, অভিনেত্রীদের শ্লীলতাহানি রুখতেই এই নিয়ম জারি হয়েছে। কোনও পরিচালক যদি কম খরচে ছবি বানাবেন বলে সেই নিয়মে ফাঁকি দেন, তা হলে ফেডারেশনের কিছু বলার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy