শিবানী দন্ডেকর ও ফারহান আখতার। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ ফারহান আখতার ও শিবানী দন্ডেকর। দীর্ঘ তিন বছর সম্পর্কে থেকে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের দু’দিন পরেই মনোবিদের কাছে ছুটতে হয় তারকা দম্পতিকে। কী এমন হয়েছিল তাঁদের? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেপথ্য ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন ফারহান ও শিবানী।
বাগ্দান পর্ব সারার পর থেকেই মনোবিদের কাছে যাওয়া শুরু করেন তাঁরা। শিবানী জানান, বাগ্দান সারার ছ’ মাস পর থেকেই তাঁরা ‘কাপল্স থেরাপি’ নেওয়া শুরু করেন মনোবিদের থেকে। তাঁর কথায়, “আমরা পরস্পরকে জোর করিনি। বিষয়টা বেশ আধুনিক মনে হয়েছিল। কোনও এক সোমবারে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। আর তার দু’দিন পরেই মনোবিদের সঙ্গে আমরা দেখা করি।”
সেই ঘটনা নিয়ে হাসতে হাসতে ফারহান-পত্নী বলেন, “আমাদের দেখে মনোবিদ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আরে তোমরা তো সদ্য বিয়ে করেছ। ২৪ ঘণ্টা আগেই তো তোমাদের বিয়ে হয়েছে।’”
শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার মতোই মনোবিদের কাছে যাওয়া প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন শিবানী। পেশায় গায়িকা তথা মডেল এই বিষয়ে বলেন, “বিষয়টা শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার মতোই। মন ভাল রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এমনও হয়েছে মনোবিদের কাছে গিয়ে কিছুই বলিনি। সকলে চুপচাপ বসে থেকেছি পরস্পরের দিকে তাকিয়ে। আবার এমনও হয়েছে, মনোবিদের কাছে গিয়ে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কথা শেষ হয়নি। সব রকমের অভিজ্ঞতাই হয়েছে।”
প্রতিটি দাম্পত্যে বিভিন্ন বিষয়ে কলহ লেগেই থাকে। ব্যতিক্রমী নন ফারহান ও শিবাণীও। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হলে কী করেন, তা-ও জানিয়েছেন শিবানী। তাঁর কথায়, “কোনও বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে আমরা মনোবিদের কাছে যাওয়ার অপেক্ষা করি। যদিও আমি চাই, তখনই বিষয়টাকে যে ভাবে হোক নিজেরা কথা বলে মিটিয়ে নিতে। কিন্তু ফারহান বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করে যাও। পরের দিন মনোবিদের কাছে গিয়ে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব।’”
উল্লেখ্য, আগামীতে ফারহানকে দেখা যাবে ‘১২০ বাহাদুর’ ছবিতে। এছাড়াও তিনি ‘ডন ৩’ ছবির পরিচালনা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy