ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ গুন্ডেচাদের বিরুদ্ধে। ছবি সংগৃহীত
ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি— একাধিক অভিযোগ উঠল গুন্ডেচাদের বিরুদ্ধে। রমাকান্ত, অখিলেশ, উমাকান্ত— ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ৩ ভাইয়ের সুখ্যাতি রয়েছে দেশে বিদেশে। মধ্যপ্রদেশে তাঁদের সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক মহিলা তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। প্রয়াত শিল্পী রমাকান্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তাঁরই এক শিষ্যা। পাশাপাশি অন্য ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
‘ধ্রুপদী সংস্থান’ প্রতিষ্ঠানের ৫ শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছিল এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার দাবি, রমাকান্ত গুন্ডেচা তাঁর গাড়ির পিছনের সিটে বসে হেনস্থা করেন তাঁকে। জামা খোলার চেষ্টা করেন। প্রতিবাদ করার পরেও তাঁকে চুম্বন করেন রমাকান্ত। ফের তার ৩ মাস পরে এক দিন সেই মহিলাকে ধর্ষণও করেন তিনি।
অখিলেশ ও উমাকান্ত গুন্ডেচার সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তাঁরা অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন তাঁদের শিক্ষার্থীদের। এমনকি জোর করে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
একে একে প্রত্যেকেই মুখ খোলেন নেটমাধ্যমে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে টানা ৩ মাস তদন্ত চলেছে। কিন্তু অখিলেশ ও উমাকান্ত সোজাসুজি অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন। তাঁদের যুক্তি, প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁদের ৩ ভাইয়ের ভাবমূ্র্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মারা যান রমাকান্ত। তিনি ও উমাকান্ত, ২ জনেই ২০১২ সালে পদ্মশ্রী পান। ৩ ভাই মিলেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ধ্রুপদী সংস্থান’। দেশ-বিদেশ থেকে সেখানে সঙ্গীতে তালিম নিতে আসেন শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসার পরে শুভা মুদগলের মতো আরও তারকা সঙ্গীতশিল্পীরা গুন্ডেচাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ২০২০ সালে ‘তানসেন সমারোহ’ অনুষ্ঠান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অখিলেশ গুন্ডেচাকে। অভিযোগকারিণীদের দাবি, তদন্ত বন্ধ করে গুন্ডেচাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হোক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের ইচ্ছে মতো কাজ এগয়নি। তাঁদের দাবি, সঙ্গীতের পবিত্রতা নষ্ট করছেন গুন্ডেচারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy