‘রূপসাগরে মনের মানুষ’ সিরিয়ালের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ার অন্দরে কখন কোন বিষয় নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে তা বোঝা বেশ মুশকিল। কখনও তারকাদের বেফাঁস মন্তব্য উঠে আসে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। কখনও আবার কারও চেহারার গড়ন নিয়ে চলে বিপুল আলোচনা। কিছু দিন আগেই ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’ সিরিয়ালের নায়ক দেবায়ন ভট্টাচার্যের বাহ্যিক রূপ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। রুকমা রায়ের বিপরীতে এমন গড়নের নায়ক কী করে হতে পারে? তবে সিরিয়াল শুরু হওয়ার পর থেকে দর্শকের মনে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছেন নায়ক। এক দিকে সেটে সিনিয়র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভিড়। অন্য দিকে আনকোরা দেবায়ন। এই কয়েক দিনে কতটা মানিয়ে নিতে পারলেন? খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছল ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’ সিরিয়ালের সেটে।
বৃষ্টি পড়ছে। চারিদিকে জল জমেছে। দুপুরে দাসানি-২ স্টুডিয়োয় ঢুকতে প্রায় নাজেহাল অবস্থা। কিন্তু শিল্পীদের তো কলটাইমে আসতেই হবে। মেগা সিরিয়ালে প্রতি দিন এপিসোড শেষ করার চাপ থাকে ইউনিটের উপর। স্টুডিয়ো পাড়ায় ফ্লোরে ঢুকলেই সাধারণত মোবাইল ফোনটিকে সায়লেন্ট মোডে রাখতে হয়। তাতে পরিচালকের শট নিটে সমস্যা হয় না। মোবাইল বেজে উঠলে তো সাউন্ড রেকর্ডিস্টের সমস্যা হবে। তবে জলকাদা পেরিয়ে রুকমাদের সেটে ঢুকতেই শোনা গেল কান্নাকাটি এবং চেঁচামেচি! রূপ অর্থাৎ অভিনেতা দেবায়ন ভট্টাচার্য খুবই কান্নাকাটি করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে মা অর্থাৎ অঞ্জনা বসুরও চোখে জল। এ দিকে নায়িকা অন্নপূর্ণা অর্থাৎ রুকমা রায় চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আসলে মা এবং ছেলের আবেগপ্রবণ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন পরিচালক।
শটের পরেও দেবায়নকে দেখা গেল সেটের মধ্যে এক কোণে চেয়ারে বসে থাকতে। যাতে আবেগ ধরে রাখতে পারেন। অবশেষে অপেক্ষার পালা। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে সময় দিলেন অভিনেতা। মোবাইলের রেকর্ডার চালু হতেই দেবায়ন বললেন, “আসলে এমন একটা গভীর দৃশ্যের শুটিং চলছিল, তাই কথা বলতে পারছিলাম না।” হাওড়ার ছেলে দেবায়নের এটাই প্রথম কাজ। কিন্তু শুটিং ফ্লোরে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন তিনি। সমালোচনা প্রসঙ্গে বললেন, “প্রথমে একটু হলেও খারাপ লেগেছিল। ঠিক আছে, কেরিয়ারের গোড়াতেই এ রকম ঘটছে। তাই নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য অনেকটাই প্রস্তুত করে নিতে পেরেছি।’’ পাশাপাশি সেটে সিনিয়র অভিনেতারা তাঁকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করছে বলেই জানালেন দেবায়ন। অভিনেতার কথায়, ‘‘এখানে সবাই আমার থেকে অভিজ্ঞ। রুকমা, অঞ্জনাদি (বসু), অনিমেষদার (ভাদুড়ি) থেকে প্রতি দিন কিছু না কিছু শিখছি। আশা করছি আগামী দিনে আমাকেও দর্শকের ভাল লাগবে।”
এই সিরিয়ালের মাধ্যমেই প্রায় এক বছর পর পর্দায় ফিরেছেন অঞ্জনা। মাঝে দীর্ঘ দিন অসুস্থ ছিলেন। বড় অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রী বললেন, “এক বছর পর কাজে ফেরার উত্তেজনার তুলনায় চিন্তা বেশি ছিল। আবার কোনও সমস্যা হবে না তো। তবে আবার কাজে ফিরতে পেরে ভালই লাগছে।” খুব অল্প দিনেই ইউনিটের মধ্যে বন্ধুত্বের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা গেল, শটের ফাঁকে বিকেলবেলা ফ্লোরে জমাটি চায়ের আড্ডাও বসে। সেই আড্ডার মাঝেই রুকমা বললেন, “আমি তো এই টিমের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। আমাদের গল্পটা একটু অন্য ধরনের, খানিকটা ছকভাঙা। তাই ভাল লাগছে। সবাই একসঙ্গে বিকালে সময় পেলে আড্ডাও দিই। সব কিছু নিয়েই জমজমাট আমাদের ‘রূপসাগরে মনের মানুষ’-এর টিম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy