‘এক্কা দোক্কা’ সিরিয়ালের রাধিকা, অঙ্কিতা, অনির্বাণরা ক্যামেরা বন্ধ হলে কী করেন? —ফাইল চিত্র।
চারদিক ফুল দিয়ে সাজানো। সানাই বাজছে। বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ে। মজুমদার বাড়িতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। অঙ্কিতা আর সৌম্যদীপের বিয়ে তা নিয়ে সাজ সাজ রব। পোখরাজ আর রাধিকার গল্প এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। ‘এক্কা দোক্কা’-র গল্পে এসেছেন ডাক্তার অনির্বাণ গুহ। যে চরিত্রে দর্শক দেখছেন প্রতীক সেনকে। এরই মধ্যে রাধিকার মা হওয়ার খবর নিয়ে অনেক রকমের কথাও উঠেছে পরিবারে। আপাতত সকলের জীবন এক গোলকধাঁধায় জড়িয়ে গিয়েছে। এক দিকে রাধিকা, পোখরাজ, অনির্বাণ আর অন্য দিকে অঙ্কিতা এবং সৌম্যদীপ। ক্যামেরার সামনের গল্পটা সকলের জানা। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে তাঁদের জীবন ঠিক কেমন? খোঁজ নিতে আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছল ‘এক্কা দোক্কা’-র সেটে।
কপালে চন্দন, লালা বেনারসি, সঙ্গে মানানসই সাদা ব্লাউজ় আর ওড়না। দু’দিন আগেই ১২ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন অঙ্কিতা ওরফে অপরাজিতা ঘোষ দাস। তবে নিজের বিয়ের সময়ে এত নিয়ম পালন করেননি। অপরাজিতা বললেন, “আমরা এক যুগ কাটিয়ে ফেললাম। তবে আমার বিয়ের সময়ে আমরা এত নিয়ম পালন করিনি। একদম সাধারণ ছিল। বেশি সাজগোজ করিনি। খালি এটাই ভেবেছিলাম, আগামী দিনগুলো আমরা একসঙ্গে কাটাব। তবে অঙ্কিতা চরিত্রে অভিনয় করতে দারুণ লাগছে। আমি নিজে তো এমনটা নই। আর তা ছাড়া আমি নিজে একদম সাজতে ভালবাসি না। আমার মা তো সারা ক্ষণ বকাবকি করেন আমি সাজি না বলে।”
অন্য দিকে, রাধিকার জীবনে নানা সমস্যা লেগে থাকলেও সোনামণি কিন্তু বাস্তব জীবনে বেশ খুশি। নিজের ভবিষ্যতের পরিকল্পানাও কষে নিয়েছেন। খুব বেশি দিন কাজ করতে চান না। একটা বয়সের পর সারা পৃথিবী দেখতে চান। তবে ‘মোহর’ চরিত্রটিতে অভিনয় করে যে পরিমাণ চর্চা হয়েছিল, ‘রাধিকা’ হয়তো ততটা প্রভাব ফেলতে পারেননি দর্শকমনে। তবে এ কথা মানতে নারাজ সোনামণি। অভিনেত্রী বললেন, “আমার মনে হয়, যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। টিআরপি তালিকার নিরিখে হয়তো এই সিরিয়াল মোহরের মতো নয়, কিন্তু দর্শক সমান ভাবে রাধিকা-পোখরাজকে নিয়ে আগ্রহী।আমাদের নিয়ে ভালই তো আলোচনা হয়।” ইতিমধ্যে তাঁর অভিনীত একটি সিরিজ়ও মুক্তি পেয়েছে। বড় পর্দায় এখনও হাতেখড়ি হয়নি তাঁর সে ভাবে। সোনামণি বলেন, “আমি চেষ্টা করছি। আগামী দিনে ভাল চিত্রনাট্য পেলে নিশ্চয়ই কাজ করব। তবে খুব বেশি দিন কাজ করতে চাই না। ৪০ বছর অবধি কাজ করব। তার পর অবসর নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে আমার।” তবে মোহর আর শঙ্খ জুটিকে ফের পর্দায় দেখে উত্তেজিত দর্শক। সমান ভাবে উত্তেজিত তাঁরাও। পর্দার সামনে একে অপরের সঙ্গে যত মতবিরোধই থাকুক না কেন, ক্যামেরা বন্ধ হলেই তাঁরা হয়ে ওঠেন হাসিখুশি পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy