নারী বিদ্বেষমূলক ছবি করতে চান না পাওলি দাম। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘কাবেরী’ ওয়েব সিরিজ়। মুখ্য চরিত্রে পাওলি দাম। গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিরিজ়। তবে অভিনেত্রী কখনও লিঙ্গবৈষম্যের মধ্যে বড় হননি। তাই ‘কাবেরী’ চরিত্রটি আত্মস্থ করতে তাঁর অসুবিধা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বিশদে কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন: গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলেও অধিকাংশ মহিলা সন্তানের কথা ভেবে সেই ক্ষতিকারক বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে চান না। কী ভাবে দেখেন?
পাওলি: পুরুষতান্ত্রিকতা আমাদের মজ্জায় এমন ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে, মনে হয় পুরুষই তো, রাগের মাথায় করে ফেলেছে। আমারই তো সংসার। সমাজ আমাদের সে ভাবেই শিখিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের উপরেও আমরা অনেক কিছু চাপিয়ে দিই নিজেদের অজান্তে। ‘কাবেরী’ চরিত্রটি আত্মস্থ করতে আমার খুব অসুবিধা হয়েছিল। আমি কোনও দিন লিঙ্গবৈষম্যের মধ্যে বড় হইনি। বাড়ি তো বাদই দিলাম, আমার আশেপাশেও কাউকে দেখিনি। গৃহিণী দেখেছি। আমার মা-ও গৃহিণী, কিন্তু স্পষ্ট মতামত রাখেন সব সময়। বাড়ির অন্দরে কোনও ধরনের বৈষম্য জায়গাই পাবে না!
প্রশ্ন: সিরিজ়ে দেখা যাচ্ছে স্ত্রীকে অত্যাচার করা হচ্ছে তার পর তাঁকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এটাও কিন্তু বাস্তবের একটা বহুল প্রচলিত নমুনা…
পাওলি: এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। আমি আগে ভাবতাম শিক্ষিত হলেই এই সব থেকে বেরিয়ে আসা সহজ। কিন্তু আসলে তা হয় না। ‘কাবেরী দত্ত’ অঙ্কের শিক্ষিকা, কিন্তু বাড়িতে তিনি অবদমিত, অত্যাচারিত। আমি চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পরে ভেবেছিলাম, আমি ‘কাবেরী’ নই। কিন্তু চারিদিকে কত ‘কাবেরী’ রয়েছেন যাঁরা আওয়াজ তুলতে পারেন না।
বাড়ির পরিবেশের উপর নির্ভর করে সন্তানের মানসিক গঠন কেমন হবে। ছোটবেলা থেকে যদি সন্তান এই ধরনের আচার-আচরণ দেখে বড় হয়, সে-ও একই অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে কড়া আইন জারি করা প্রয়োজন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। অর্থনৈতিক ভেদাভেদ, সামাজিক ভেদাভেদ, শিক্ষার ভেদাভেদ রয়েছে। সময় লাগুক, কিন্তু উত্তরণ ঘটুক।
প্রশ্ন: টলিউডের অন্দরে হেমা কমিটির আদলে কমিটি তৈরি…
পাওলি: হ্যাঁ, আমি তো পিটিশনে সই করেছিলাম। আমি নিজে সরাসরি ঘটনার সম্মুখীন হইনি বলে পাশে দাঁড়াব না? এটা কখনও হয়! আমি নিজে মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়ের পাশে দাঁড়াব না? এই যে মেয়েরা মেয়েদের পাশে দাঁড়ায় না, এটাও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিখিয়ে দেওয়া। যে অভিনেত্রী আওয়াজ তুলেছে, সে আমাকে বলেছিল, “জানো তো, অভিযোগ জানানোর পরে অনেকে আমাকে বলেছে আমাকে আর কেউ শুটিংয়ে ডাকবে না।” সব কিছুতেই ক্ষমতার অপব্যবহার!
প্রশ্ন: মহিলাদের পোশাক নিয়ে অনেক মহিলাই কটাক্ষ করেন…
পাওলি: সেটা তো তাঁদের জীবনবোধ, তাঁদের জীবনদর্শন। আমার মানসিকতা, সাজপোশাক উনিশ শতকের সঙ্গে মিলবে না। আমি তো আমার পরিবেশ থেকেই শিখব। জন্মের পর মা-বাবার শেখানো বিষয় আত্মস্থ করি। জীবনে চলার পথে বন্ধুবান্ধবের থেকে কিছু শিখি, আর জীবনযাপনের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু দর্শন তৈরি হয়।
প্রশ্ন: আরজি কর-কাণ্ডে যে তারকারা পথে নামলেন, হেমা কমিটি নিয়ে যাঁরা কথা বললেন তাঁরা ট্রোলের মুখে পড়েছেন। পুরো টলিপাড়ায় উদ্বেগ…
পাওলি: এটা একেবারেই কাম্য নয়। কণ্ঠস্বর মেলাতে হবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। এই যে নেতিবাচক আলোচনাগুলো হল, তাতে আমরা এক ধাপ হলেও পিছিয়ে গেলাম। এর ফলে আমাদের অনেক চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে, কী বলব না বলব, কতটা বলব। কেন এত ভেবে, হিসেব কষে কথা বলতে হবে আমাদের? এই সময় আমাদের একটু দৃঢ়তা বজায় রাখতে হবে। আমি বুঝতে পারছি কোন জায়গা থেকে মানুষের রাগ, দুঃখ আসছে, কিন্তু আমাদের সকলের পাশে থাকা উচিত। আমি আমার কাজও করব, প্রতিবাদও করব। কাজ বন্ধ করতে পারি না, সকলের তো সংসার আছে। পেশা ও আন্দোলন পাশাপাশি চলুক। পেটে অন্ন না থাকলে গলা থেকে আওয়াজ বেরোবে না।
প্রশ্ন: সৌরভ ও শৌভিকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
পাওলি: ওঁদের সঙ্গে প্রথম কাজ আমার। সৌরভের অভিনয় আগে না দেখলেও ওঁর পরিচালনা দেখেছি। ওঁর অভিনয় করা উচিত, তবে বেশি পরিচালনার কাজ করুন। ভাল কবিতা বলেন। শৌভিকের সঙ্গেও কাজ করে ভাল লাগল। আমি যে ধরনের পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তিনিও সে রকমই। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আমি এত প্রশ্ন করেছি ওঁকে! অন্য কেউ হলে প্রথম দিনই চলে যেতেন। উনি বলেছিলেন, “পাওলিদি, এটা তুমি নও। তোমার মধ্যে দৃপ্ত ভাব আছে, কিন্তু এখানে নিজের দুর্বলতা দেখাতে হবে।”
অন্য একটি কাজের জন্য ওজন বাড়িয়েছিলাম। সেই কাজটা না হয়ে ‘কাবেরী’ হল, ভালই হল। ওই ভারী চেহারাটা এই চরিত্রের জন্য জরুরি।
প্রশ্ন: ওটিটিতে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ…
পাওলি: আমি তো অনেক আগেই ওটিটিতে কাজ করেছি। দর্শক ভুলে যান। ভাবেন ‘কালী’ হিন্দি ওয়েব সিরিজ়। আসলে সেই সময় ওটিটি নতুন এসেছে। মানুষ জানতেন না কী ভাবে ডাউনলোড বা সাবস্ক্রাইব করতে হয়। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেসও করতেন কী ভাবে সিরিজ়টি বাংলা ভাষায় দেখতে পাবেন। বেশির ভাগ মানুষ হিন্দি ডাব দেখেছে।
প্রশ্ন: প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি দেখার প্রবণতা কমছে?
পাওলি: সে রকম বিষয় রাখতে হবে ছবিতে। ছবির বিষয়বস্তু ঠিকঠাক হলে, ছবি নিশ্চয় চলবে। সহজ-সরল গল্প থেকে আমরা কেমন যেন দূরে সরে গিয়ে জটিল বিষয় রাখছি। ভাল লেখা হচ্ছে না আমাদের। সেই কারণে গত এক বছরে প্রচুর চিত্রনাট্য শুনেই না করে দিয়েছি আমি। নারী বিদ্বেষমূলক ছবি বা প্রচারমূলক ছবি করতে পারব না আমি।
প্রশ্ন: প্রচারমূলক ছবি যেমন?
পাওলি: যেমন ‘বস্তার’ করিনি আমি। একবগ্গা কাউকে নেতিবাচক দেখানো শিল্পের কাজ নয়। শিল্পের কাজ হল সবটা এক জায়গায় এনে দর্শকের সামনে তুলে ধরা। শিল্পী হিসাবে আমারও তো একটা দায়িত্ব আছে।
প্রশ্ন: আপনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রচ্ছন্ন ছিলেন…
পাওলি: আমি একটু সময় নিচ্ছিলাম। নিজের মধ্যে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আর কী! আমার মনে হচ্ছিল আমার জন্য উপযুক্ত বিষয় পাচ্ছিলাম না। চিত্রনাট্যও পছন্দ হচ্ছিল না। তা ছাড়া ওই যে বললাম একটা ছবির জন্য ওজন বাড়িয়েছিলাম। ফলে প্রকাশ্যে আসতে পারছিলাম না, যাতে চরিত্রের লুক দর্শকের সামনে চলে না আসে। এই যে সম্প্রতি ‘পাহাড়গঞ্জ’ শেষ করব, সেটা নিয়েও এক বছর ধরে যুদ্ধ চলছিল।
প্রশ্ন: নায়িকারা চুলোচুলি করেন, ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এই ধারণা বহু দিনের। কিন্তু সম্প্রতি এটাই দেখা যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, কোনও ব্যক্তি মতামত রাখলে তা যদি পছন্দ না হয়, তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। যেমন শ্রীলেখা মিত্র বা কাঞ্চন মল্লিক…
পাওলি: কিন্তু তা বলে বলব না, সেটা তো হয় না। তিনিও তো সমাজমাধ্যমেই মন্তব্য করেছিলেন। তাই তাঁকে সমাজমাধ্যমেই উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি যে কাঞ্চনদাকে চিনতাম, তিনি জীবনে লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। দলীয় রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি, তার অনেক দিক রয়েছে। আমি বুঝি সেটা। কিন্তু ওই যে সময়ের দাবি। কিছু সময় সব কিছু ছেড়ে তুমি মানুষ হিসাবে কেমন তা প্রকাশ করতে হয়। যে কোনও রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে এটা।
প্রশ্ন: সব কিছুর রাজনীতিকরণ হচ্ছে ক্রমশ। ইন্ডাস্ট্রিও তা-ই। আপনি ভারসাম্য রাখেন কী ভাবে?
পাওলি: দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক শিল্পীরা রাজনীতি করেন। তবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এই ট্রেন্ড ছিল না। সে ক্ষেত্রে অসুবিধা একটু হয়েছে। কারণ যে সব শিল্পীরা রাজনীতির ময়দানে যোগ দিয়েছেন তাঁরা শিল্পীসত্তার বাইরে বেরিয়ে রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন। দুটো সত্তা তো ভিন্ন রাখতে হবে।
প্রশ্ন: এ সবের মাঝে নিজের পেশাকে অক্ষত রাখেন কী ভাবে
পাওলি: বর্তমানে ছবির মান নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। ইঁদুরদৌড়ের প্রতিযোগিতা করে এর পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। এর জন্য সৃষ্টিশীল মনের প্রয়োজন। এর অভাব ঘটছে। আমি কোনও দিনই কাউকে তোয়াজ করে চলতে পারব না। সকলে জানেন আমি অ্যাকটিভিস্ট নই। আমার বার্তা, বক্তব্য, আমার রাগ, অভিমান, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিশোধ সবই আমার শিল্পের মধ্যে ফুটিয়ে তুলব। আমি এমন চরিত্রে অভিনয় করব যা হয়তো মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রশ্ন: অনেকের আর্থিক নিরাপত্তা থাকে তাই তাঁরা পর পর ছবির সুযোগ ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেই সুবিধা না থাকায় কেউ অর্থের জন্য সব ছবি করে, আপনার স্বামী ব্যবসায়ী...
পাওলি: দাঁড়ান! আমি কী ভাবে চলি, কলকাতা ইন্ডাস্ট্রি ও মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে কী ভাবে নিজের জায়গা ধরে রাখি, আমার মা-বাবার জন্য আমি কী করেছি না করেছি তা কিন্তু কাউকে বলতে যাব না। বলা ভাল, বলার প্রয়োজন বোধ করি না। আমি বহু বছর ধরে গুণগতমান সম্পন্ন কাজ করেছি। এখনও তা-ই করছি। আর আমি আমার আর্থিক সঞ্চয়ের দিক ভাল ভাবে সামলে নিতে পারি। আমি একেবারেই আমার স্বামী অর্জুনের ওপর নির্ভরশীল নই। অন্য দিকে যেমন-তেমন করে ছবিও করতে হয় না।
শুনুন আমি খুব সাধারণ পরিবার থেকে এসেছি। চাহিদা খুব কম। আমি কখনও ভাবিনি, মার্সিডিজ় গাড়ি কিনতে পারব। ‘মহানায়ক’-এর পরে আমি মার্সিডিজ় কিনেছি। সেই গাড়ি এখনও আছে। আমি কিন্তু গাড়ি বদলাইনি। যাঁদের দু’বছর অন্তর অন্তর গাড়ি বদলাতে হয়, তাঁদের বিষয় ভিন্ন। ব্র্যান্ডেড ব্যাগ আমারও আছে কিন্তু আমি জানি কোথায় সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। আমার ব্র্যান্ড আমার সিনেমা। আমি আমার সব শখ পূরণ করেছি, তবে নিজের রোজগারের টাকায়। আমি রসায়নের ছাত্রী। অভিনেত্রী না হয়ে আমি যদি রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করতাম তা হলে অনেক বেশি রোজগার করতাম। হয়তো বিদেশে থাকতাম এখন।আমি খুব বেশি শপিং করতে ভালবাসি না। কিছু ভাল ছবি দেখতে চাই, ভাল গল্পের বই পড়তে চাই, ভাল পেন্টিং দেখতে চাই। বিদেশে গেলেও আমি কত বড় জায়গায় থাকি বা খাওয়াদাওয়া করি, তার থেকেও বেশি মিউজ়িয়াম দেখতে আগ্রহী আমি।
প্রশ্ন: বিলাসিতার একটুও ছোঁয়া নেই পাওলির জীবনে?
পাওলি: না। আমি এমনকি প্রয়োজন না হলে ফোনও খুব একটা বদলাই না। ছয় মাস অন্তর নতুন দামি ফোন বা আইপ্যাড চাই না আমার। বড় গাড়ি, বড় জায়গা, বড় বাড়ির চাহিদা নেই আমার। আমি সুতির শাড়ি পরতে ভালবাসি। জিনিসের মূল্য বড় কথা নয় আমার কাছে। আমি জিনিসপত্র সহজে ফেলেও দিতে পারি না। দেড় বছর আগে শিকাগোয় যে জলের বোতল কিনেছিলাম, সেই জলের বোতল আমি সঙ্গে করে এনেছি, এখনও ব্যবহার করি বাড়িতে। বোতলের অবস্থা দেখুন, দেহ রাখবে যে কোনও দিন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আমার ভাল লাগে। মুম্বইয়ে গেলে অটোয় চড়ে ঘুরি। আমি তো চাইলেই আমার গাড়িটা নিয়ে যেতে পারি। স্কুল, কলেজে হাতখরচ বাঁচানোর জন্য ট্রামে চড়ে যাতায়াত করতাম।
প্রশ্ন: অভিনয় জীবন আর অর্জুন দেবের সঙ্গে সংসার। দু’দিক সামাল দিতে পারেন সহজে?
পাওলি: আমি বিয়ের সময় ওকে বলেছিলাম, আমার প্রথম ভালবাসা সিনেমা আর ওর প্রথম ভালবাসা গল্ফ। আমাকে অর্জুন বলেছিল, “আমি কোনও আসবাবকে বিয়ে করতে চাই না।” আমার মা বরাবর বলে এসেছেন, নিজের আর্থিক নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করে তবেই কোনও মেয়ের বিয়ে করা উচিত। আমি তো অনেক পরে বিয়ে করেছি। অর্জুন তো আমার থেকে ছোট বয়সে। কোথাও ঘুরতে গিয়ে মনে হয়েছে, ওর হয়তো এই জিনিসটা পছন্দ। আমি কিন্তু ওকে কিনে দিতে পেরেছি। বাংলা ছবি করে আমি কত টাকা পাই? বাংলা ছবি কাকে কতটা দিয়েছে? কিন্তু আমি তো ওর মধ্যেই সবটা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। যাঁরা জানবেন, তাঁরা জানবেন। যাঁরা আঙুল তোলার তাঁরা আঙুল তুলবেন! অন্য কারও জায়গায় না দাঁড়িয়ে কারও বিচার করা উচিত নয়। কারণ তুমি জানো না, সে কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না। বিচ্ছিন্নতা, স্বল্প জীবনযাপনে বিশ্বাসী আমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy