Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

‘আমি কি কোনও দিন রোগা ছিলাম?’

কয়েক বছর হল, আমি নিজের ফিগার নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। তার পর থেকে আই ফিল সেক্সি অল দা টাইম

বিদ্যা

বিদ্যা

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫৭
Share: Save:

প্র: ‘মিশন মঙ্গল’-এ অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম?

উ: ইট ওয়াজ় আ মিশন ইটসেল্ফ (হেসে)! ‘বেগমজান’-এর পরে ফের এত অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলাম। ওখানে পটভূমি অন্য ছিল। এই ছবিতে মহিলারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কারও মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা নেই। আমরা সেটে একে অপরকে দেখে কমপ্লিমেন্ট দিতাম। ব্যক্তিগত ভাবে পরস্পরকে চিনতাম, তা নয়। কিন্তু কাজের মধ্য দিয়ে সবাইকে চিনেছি। অক্ষয়ের সঙ্গে ১২ বছর পরে কাজ করলাম। ওর সঙ্গে সম্পর্কটা বদলায়নি। অক্ষয় বলত, ‘তোমার মতো বদমাইশ আর দু’টি নেই।’ হেসে ওকে জবাব দিয়েছিলাম, ‘শিখেছি কার কাছ থেকে?’ অক্ষয়ের বাড়ি থেকে সেটে রোজ দারুণ খাবার আসত সকলের জন্য।

প্র: কথায় বলে, চল্লিশে জীবন শুরু হয়। এই বয়সে এসে জীবনকে কী ভাবে দেখছেন?

উ: টেল মি অ্যাবাউট ইট। জীবন আগের চেয়ে অনেক বেশি উপভোগ করছি এখন। বয়স ও অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, নিজের উপরে যেন ভরসা না হারাই। যত বেশি নিজের খুঁত মেনে নিতে পারব, পরিস্থিতির সঙ্গেও তত বেশি করে মানিয়ে নিতে পারব।

প্র: মিড লাইফ ক্রাইসিস সম্পর্কে আপনার কী ধারণা?

উ: সে তো ছেলেদের হয়। আমাদের প্রত্যেক মাসে ক্রাইসিস আসে (হেসে)। মেয়েদের মিড লাইফ ক্রাইসিস শুরু হয় মেনোপজ়ের সময় থেকে। তবে এখন সকলে খোলাখুলি কথা বলেন। কয়েক বছর আগেও বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। আমার এক মাসি ছিলেন, তাঁর মেনোপজ়ের সময়ে ওই বিষয়ে কথাবার্তা হয়নি। তিনি বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

প্র: আপনার মা হওয়া নিয়ে অনেক রটনা শোনা যায়...

উ: যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের নেহাতই বোকা বলব। আমি কি কোনও দিন রোগা ছিলাম? একটু পেট দেখা গেলেই সকলে ভাবেন, আমি প্রেগন্যান্ট। সে ভাবে দেখলে আমি সারা জীবনই প্রেগন্যান্ট।

প্র: নায়িকাদের জ়িরো ফিগার বা মেদহীন শরীরের উপরে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কেন?

উ: এই ধারণা তো বরাবরের। পুরুষদের অল্পবয়সি মেয়ে পছন্দ। আগে ৩৫ বছর বয়সে দু’তিনটে বাচ্চার মা হয়ে সংসারে ব্যস্ত হয়ে যেতেন বেশির ভাগ মহিলা। এখন মেয়েরা পড়াশোনাই করে কত দিন ধরে। তার পরে দেরিতে বিয়ে, বাচ্চাও প্ল্যান করে সুবিধেমতো। কেউ কেউ বাচ্চা চায়ও না। কয়েক বছর হল, নিজের ফিগার নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। তার পর থেকে আই ফিল সেক্সি অল দা টাইম।

প্র: আপনার মনে হয়, বিবাহিত অভিনেত্রীদের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির ধারণা বদলেছে?

উ: না বদলালে আমি বদলে দেব। গত দশ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাকেন্দ্রিক ছবিতে কাজ করছি। কিছু ছবি চলেছে, কিছু চলেনি। ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ডও বদলেছে। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিজের কাজ িনয়ে আগ্রহটা যেন বজায় থাকে।

প্র: ছবি সফল হওয়া বা ব্যর্থতার চাপ অনুভব করেন?

উ: ‘কহানি’ যখন হিট করেছিল, তখন আমাকে ওয়ান-উওম্যান ইন্ডাস্ট্রি বলা হত। তখন চাপ ছিল। ছবি ফ্লপ হওয়ার পর থেকে চাপ নিই না। কিন্তু দু’বছর ধরে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ছবি হিট বা ফ্লপের ক্রেডিট আর ডিসক্রেডিট আমি নিতে পারি না। আমি ছবির একটা অংশ। একা কেউ ছবি বানাতেও পারে না, ক্রেডিটও নিতে পারে না।

প্র: শোনা যাচ্ছিল, জয়ললিতার বায়োপিক করছেন...

উ: আমি খুব খুশি যে, জয়ললিতার বায়োপিক কঙ্গনা রানাউত করছেন। ব্যস, এখানেই ফুলস্টপ (হেসে)। সেপ্টেম্বর থেকে শকুন্তলা দেবীর বায়োপিকের প্রস্তুতি শুরু করব। নার্ভাস লাগছে। ইন্দিরা গাঁধীর বায়োপিকের জন্য একটি বইয়ের স্বত্ব নিয়েছি। সেই ওয়েব সিরিজ় তৈরি হতে সময় লাগবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Actress Cinema Vidya Balan Interview
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy