Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘জীবনে কোনও দিন ক্রিকেট খেলিনি’

পরপর স্পোর্টসম্যানের চরিত্রে তাহির রাজ ভাসিন। পরপর স্পোর্টসম্যানের চরিত্রে তাহির রাজ ভাসিন।

তাহির

তাহির

সায়নী ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

প্র: ‘ছিছোরে’র সাফল্য কতটা উপভোগ করছেন?

উ: দিল্লিতে আমার কলেজ জীবনের ছিছোরেদের সঙ্গে ছবিটা দেখতে গিয়ে বুঝলাম, ডেরেককে (তাহিরের চরিত্র) কতটা ভালবেসেছেন দর্শক। স্কুল-কলেজে একেবারেই খেলাধুলো করতাম না। তাই আমাকে খুব খাটতে হয়েছিল। রিলে রেসের দৃশ্যে আমার সঙ্গে যারা দৌড়েছিল, সকলেই জাতীয় স্তরের প্লেয়ার।

প্র: ডেরেক যে টিমের লিডার, সেই টিমের সদস্য সুশান্ত সিংহ রাজপুত, ছবির হিরো। ফোকাস ওঁর উপরে থাকবে বলে চিন্তা হত?

উ: পরিচালক শুরুতেই একটা কথা বলে দিয়েছিলেন যে, এই ছবিতে কেউ হিরোর বন্ধু নয়, বন্ধুত্বটাই এখানে হিরো। কথাটা আমরা প্রত্যেকে মাথায় রেখেছিলাম।

প্র: সারা ছবিতে তো আপনি হার্বাল সিগারেট খেয়েছেন!

উ: প্রথমে সত্যিকারের সিগারেট দিয়েই শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমি নন-স্মোকার বলে ক্যামেরার সামনে একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য লাগছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত ওরা বেসিল আর গ্রিন টি দিয়ে সিগারেট বানিয়ে আমাকে বাঁচায়!

প্র: আপনার বাবা-ঠাকুরদা দু’জনেই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সে ছিলেন। আপনি অভিনয়ে এলেন কী ভাবে?

উ: বাবার বদলির চাকরি ছিল বলে অনেক শহরে থেকেছি। ছোট থেকেই ফ্যান্সি ড্রেস কম্পিটিশন, নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। ১৪ বছর বয়স থেকে থিয়েটার করি। কলেজের পরে বাড়িতে বলেছিলাম, অভিনয়টাই করতে চাই। পরিবারও সাপোর্ট করেছিল।

প্র: নেগেটিভ চরিত্র দিয়ে শুরু করেছিলেন। এখন আবার বিপরীতধর্মী চরিত্র করছেন...

উ: আমি সব সময়ে দেখি পরিচালক কে আর গল্পটা কী। ‘মর্দানি’ কিংবা ‘ফোর্স টু’র মতো ছবি করার পরেও তো ‘মান্টো’তে শ্যাম চড্ডার চরিত্রের জন্য আমাকে ভেবেছিলেন নন্দিতা দাশ। এখন আবার স্পোর্টসম্যানের চরিত্র পাচ্ছি পরপর।

প্র: ‘৮৩’তে সুনীল গাওস্করের চরিত্রে কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

উ: কোনও দিন ক্রিকেট খেলিনি, তাই গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছিল। বলবিন্দর সিংহ সান্ধুকে কোচ হিসেবে পেয়েছি। উনি ১৯৮৩’র ওয়র্ল্ড কাপ টিমেও ছিলেন। ছ’মাস ধরে ট্রেনিং নিয়েছি। খুবই চাপ ছিল, কিন্তু পুরো বিষয়টা আমার কাছে গর্বের।

প্র: লর্ডসে সুনীল গাওস্কর কী টিপ্‌স দিলেন আপনাকে?

উ: উনি আমাকে বলেছিলেন, ‘প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, দেশের হয়ে ওপেন করতে নামলে আমার বডি ল্যাঙ্গোয়েজটাই পাল্টে যেত। ওই আত্মবিশ্বাসই আমাকে অনেকটা এগিয়ে রাখত।’ কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করেছি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE