Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Celebrity Birthday

বিয়ের বন্ধনে আর জড়াতে চাই না, কাজই এখন আমার প্রেম: শ্রাবন্তী

তাঁর কাজের চেয়েও বেশি আলোচনা হয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। তবুও তিনি দমে যাওয়ার পাত্রী নন। চুপচাপ নিজের কাজ করে গেলেও কিছু আফসোস রয়েছে, জন্মদিনে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন শ্রাবন্তী।

Srabanti Chatterjee

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

সম্পিতা দাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ০৯:০৩
Share: Save:

রুবির কাছাকাছি বিলাসবহুল আবাসনে ৩৭ তলায় নায়িকার ফ্ল্যাট। সেখান থেকে প্রায় গোটা কলকাতা দৃশ্যমান। নীচের দিকে নয়, বরং তিনি চোখ রাখেন আকাশে। চাঁদের আলো তাঁকে বড্ড টানে। নায়িকার জন্মদিনের আগে সেই ফ্ল্যাটেই শুরু হল আড্ডা। সেই আড্ডায় রুপোলি পর্দার নায়িকা নন, কখনও ধরা পড়লেন বাড়ির মেয়ে, কখনও ঝিনুকের মা। এক অচেনা শ্রাবন্তীর মুখোমুখি আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রশ্ন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা, নায়িকাদের বয়স জিগ্যেস করা কি উচিত?

শ্রাবন্তী: (একগাল শ্রাবন্তীসুলভ প্রাণখোলা হাসি) ধন্যবাদ। বয়স নিয়ে আমার কোনও ছুতমার্গ নেই, এটা শুধুই একটা সংখ্যা আমার কাছে। আমার বয়স সবাই জানে। আসলে আমি লুকিয়ে রাখায় বিশ্বাসী নই। আমি কবে মা হয়েছি, কবে কাজ শুরু করেছি, সবটাই তো সকলের চোখের সামনে। আমি কত ভাল নিজেকে মেনটেন করতে পেরেছি, সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: ইদানীং কি সেই কারণেই শরীরচর্চার দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন?

শ্রাবন্তী: শরীরের দিকে একটু বাড়তি নজর দিচ্ছি তো বটেই। আসলে আমি খেতে খুব ভালবাসি। কিন্তু মাঝে লাগামছাড়া খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল। তাই ভাবলাম, নাহ্‌, এ বার শরীরের যত্ন নিতে হবে। কারণ, সামনে বেশ কিছু কাজ রয়েছে। এ ছাড়াও ফিটনেসটা আমাদের পেশায় খুব দরকার। তবে জ়িরো ফিগারে বিশ্বাসী নই। আমার ধারণা, আমাকে দেখতে খুব খারাপ লাগবে অতটা রোগা হলে। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বা অনুরাগীরাও আমাকে একটু গোলগাল দেখতেই ভালবাসেন।

প্রশ্ন: জন্মদিনে উপহার পেতে ভাল লাগে?

শ্রাবন্তী: ভীষণ.... ভাল লাগে। ফুল ছাড়া অন্য যে কোনও জিনিস। সেটা খুব ছোট কিছুও হতে পারে। ফুল গাছে দেখতেই ভাল লাগে। আমি কখনওই ফুলের তোড়া উপহার হিসাবে নিই না।

প্রশ্ন: কার উপহারের আশায় থাকেন প্রতি বছর?

শ্রাবন্তী: বাবা-মায়ের থেকে কিছু না কিছু ছিনিয়ে নেব। দিতেই হবে, এটা আমার অধিকার! দিদির থেকেও আশা করি। এ ছাড়া আমার ও ছেলের এক দিন আগে-পরে জন্মদিন। তাই দ্বিগুণ উদ্‌যাপন চলে।

Srabanti Chatterjee

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

প্রশ্ন: ১৩ তারিখটা অনেকেই ‘আনলাকি থারটিন’ হিসাবে দেখেন। এই নিয়ে আপনার কোনও খুঁতখুঁতানি রয়েছে?

শ্রাবন্তী: আমার কিন্তু মনে হয়, আমি ভীষণ সৌভাগ্যবতী। তাই এই সংখ্যাটা আমার কাছে ‘লাকিয়েস্ট থার্টিন’।

প্রশ্ন: অভিনেত্রীর হিসাবে দীর্ঘ কেরিয়ার। ফিরে দেখলে নিজেকে সত্যিই ‘লাকি’ মনে হয়?

শ্রাবন্তী: যাত্রাটা সহজ ছিল না। আমার মা-বাবার বিরাট অবদান রয়েছে আমার কেরিয়ারে। কত বড় বয়স পর্যন্ত বাবা সঙ্গে গিয়েছেন। বরাবর ভূতের ভয় ছিল। তাই ওঁরা প্রায়ই শিফ্‌টিং ডিউটি করতেন আমার জন্য। দিদির আত্মত্যাগ রয়েছে। আর যার কথা না বললেই নয়, সে হল আমার ছেলে। ওরও অনেক অবদান রয়েছে। ছোট্ট বাচ্চাকে রেখেই শুটিংয়ে যেতে হয়েছে। আসলে আমরা ভাই-বোনের মতো। দু’জনের বয়সের পার্থক্য মোটে ১৬ বছর (বলেই হাসি)।

প্রশ্ন: জীবনের প্রথম উপার্জন কত টাকা ছিল?

শ্রাবন্তী: সালটা ১৯৯৬। তখন আমি দিনে ২০০ টাকা পেতাম। একটা ছবি করেছিলাম। ১২ দিনের কাজ ছিল। আড়াই হাজারও পাইনি!

প্রশ্ন: আর এখন?

শ্রাবন্তী: (হেসে) সেটা সিক্রেট থাকুক। হ্যাঁ, ভাল আছি, এখন চালিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কারণ আমার পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য আমি। তাই একটু বুঝেশুনেই চলতে হয়।

প্রশ্ন: নায়িকা মানেই ব্র্যান্ডেড পোশাক, ব্যাগ, জুতোনায়িকাদের কি বুঝেশুনে চলা সম্ভব?

শ্রাবন্তী: আমি একটু বুঝেই খরচ করি। অনেক সময় সস্তার অনেক পোশাক পরি। তাই বলে গুচ্চি-প্রাডা নেই, এমনটা নয়। তবে আমি সেল থেকেও কেনাকেটা করি। শুধু কাপড়টা ভাল হলেই হল। তবে দরদাম করতে পারি না। আমার কষ্ট হয় দরদাম করে কিনতে।

প্রশ্ন: এই মুহূর্তে টলিউডের বিবাহিত নায়িকাদের স্বামীরা হয় পরিচালক-প্রযোজক কিংবা অভিনেতা। সিঙ্গেল নায়িকাদের কি অসুবিধা হয়?

শ্রাবন্তী: আসলে এটা তাঁদের ভাগ্য যে, তাঁদের এমন সংযোগ হয়েছে। তাঁরা বিয়ে করেছেন। আর এই সবার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। অনেক বছর ধরে কাজ করছি, লোকে আমার কাজ দেখছেন, চেনেন। তবে আমার মনে হয় প্রতিভাই শেষ কথা বলে। তাই সিঙ্গেল বলেই পরিস্থিতি কঠোর, এমন আমি বিশ্বাস করি না।

প্রশ্ন: একটা সময় দেব-শ্রাবন্তী জুটি অনেক হিট দিয়েছে। এখন দেব বড় প্রযোজক। কোনও ছবির প্রস্তাব আসেনি?

শ্রাবন্তী: হ্যাঁ, অনেক বারই কথা হয়েছে। কিন্তু এই বছরটা আমার ব্যস্ততার কারণে সময় বার করতে পারিনি। তবে আশা করছি, আগামী বছর দেব এবং আমি একসঙ্গে ছবি করতে পারব।

Srabanti Chatterjee

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

প্রশ্ন: এখন তো টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বলিউডে কাজ করছেন ইচ্ছে হয় না মুম্বইতে কাজ করার?

শ্রাবন্তী: অভিনেত্রী হিসাবে ইচ্ছে তো হয়। বেশ কয়েক বছর আগে বলিউড থেকে প্রস্তাব আসে। তবে কাজটা করা হয়নি। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা রয়েছে। আসলে টলিউডেই এত ব্যস্ত থাকি যে, সে ভাবে ভেবে দেখার সুযোগ হয়নি।

প্রশ্ন: কিন্তু অভিনেত্রী হিসাবে টলিউড কি আপনাকে যথাযথ ব্যবহার করতে পেরেছে?

শ্রাবন্তী: অনেক ধরনের চরিত্রই করছি। তবে আমার খিদে প্রচুর। আসলে আমি একটু ছকভাঙা চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। ‘ড্রিম গার্ল’ ছবিতে যেমন আয়ুষ্মান খুরানা নারীচরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমি তো এমনিতেই ছেলেদের মতো কথা বলতে পারি (উদাহরণস্বরূপ সঙ্গে সঙ্গে করে দেখিয়ে দিলেন)। এমন কোনও চরিত্র যদি পাই যাতে দর্শক আমায় ভাবতেই পারেন না, তা হলে দারুণ হবে!

প্রশ্ন: বলিউডে অনুরাগ বসু, সুজয় ঘোষ, সুজিত সরকারের মতো বহু পরিচালক রয়েছেন। কখনও চেষ্টা করেছেন?

শ্রাবন্তী: ওঁরা আমাকে চেনেন, আলাপও রয়েছে। যদি কখনও তাঁরা কোনও চরিত্র আমার জন্য মানানসই বলে মনে করেন, নিশ্চয়ই সুযোগ দেবেন।

প্রশ্ন: এখন সিনেমা বদলাচ্ছে, দর্শকের রুচি পাল্টাচ্ছে। নিজেকে কি সেই মতো বদলাচ্ছেন?

শ্রাবন্তী: আমি নিজেকে জলের মতো ভাবি। যে পাত্রে রাখা হবে, সেই আকার ধারণ করব। আর সবচেয়ে বড় কথা, অভিনয়টা ভালবাসি। মন থেকে কিছু ভালবাসলে সেটা ভাল হতে বাধ্য।

Srabanti Chatterjee

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

প্রশ্ন: প্রায় ২৫ বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। এতগুলো বছরে বন্ধুর সংখ্যা বাড়ল না কি শত্রুর?

শ্রাবন্তী: যতই আমার সঙ্গে নেতিবাচক ঘটনা ঘটুক, আমি মানুষটাই খুব পজ়েটিভ। আমি বুঝতে পারি না, কে আমার শত্রু। সকলেই আসলে আমার সামনে অন্তত ভাল ব্যবহার করে। হয়তো সেই কারণেই বুঝি না। তবে, আমার স্কুলের বন্ধুদের একটা গ্রুপ আছে। সেটা আমার একান্ত আপন। ইন্ডাস্ট্রির কেউ নেই সেখানে। ইন্ডাস্ট্রির কেউই ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নয়।

প্রশ্ন: একটা সময় তনুশ্রী-নুসরতের সঙ্গে আপনার খুব সখ্য ছিল। এখন কি শুভশ্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বেড়েছে?

শ্রাবন্তী: আমার সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক। শুভশ্রী আর আমি একসঙ্গে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ করছি। নিয়মিত দেখা হচ্ছে বলে প্রায়ই কোনও না কোনও প্ল্যান হয়। এখন আমাদের সঙ্গে মৌনীও (রায়) রয়েছে। ভীষণ মিষ্টি মেয়ে। এ ছাড়াও শুভ এখন অন্তঃসত্ত্বা। খুব ভাল একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। নুসরত-মিমির সঙ্গেও কিন্তু ভাল সম্পর্ক। পুজোর সময় পার্টি করি। মাঝেমাঝে দেখা হয় আমাদের।

প্রশ্ন: সম্প্রতি জীতু কমল এবং পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে।

শ্রাবন্তী: আমি বুঝতে পারি না এগুলো কারা রটায়! কোনও পুরুষের সঙ্গে ছবি তুললেই নাকি প্রেম হয়ে যায়! যে হেতু আমার অতীতের সম্পর্কগুলোতে সমস্যা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কেউ আমার বিচার করতে পারেন না। শুভ্রজিৎদার সঙ্গে ‘দেবী চৌধুরাণী’র মতো এত বড় ছবি করছি বলে অনেকের মনে হতে পারে, পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে কাজ পেয়েছি। সেটা একদম ভুল ধারণা। আমি তো সদ্য এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসিনি! শুভ্রজিৎদা নিশ্চয়ই কোনও স্পার্ক দেখতে পেয়েছে বলেই এই প্রস্তাব দিয়েছে। আমি কিন্তু বরাবরই এই ধরনের পিরিয়ড ছবি করার কথা ‘ম্যানিফেস্ট’ করতাম।

প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বোধহয় সকলের বাড়তি কৌতূহল...।

শ্রাবন্তী: তার মানে আমি সকলের থেকে আলাদা। আমার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে, তাই আলোচনা হয়। আমি যদি সাধারণ মেয়ের মতো অফিস করতাম, সংসার করতাম, তা হলে তো আলোচনা হত না। তবে আমি ফেসবুকে এ সব দেখে হাসাহাসি করি।

প্রশ্ন: কিন্তু ফেসবুকেই যখন দেখেন, জীতুর ঘর ভাঙার জন্য আপনার দিকে আঙুল উঠছে, তখন কী মনে হয়?

শ্রাবন্তী: খুব খারাপ লাগে যখন এগুলো শুনি। ওঁর ব্যক্তিগত জীবনে কী হচ্ছে, না হচ্ছে আমার দেখার বিষয় নয়। আর জীতুকে ২০১২ সাল থেকে চিনি। যে হেতু এখন ওঁর সঙ্গে কাজ করছি, তাই আমার নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা খবর ছড়ালে হাজারটা খবর শুরু হয়। আমার মনে হয়, সাইবার ক্রাইমের বিষয়টা দেখা উচিত। আমার কুষ্ঠিতে আছে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়া! আসলে ভগবান কিছু দেয় যখন, কিছু নিয়েও নেয়।

প্রশ্ন: সব সময় এত সমালোচনা, কটাক্ষ সামলান কী করে?

শ্রাবন্তী: আগে খুব কষ্ট হত। ভাবতাম, আমার জীবনে খারাপ কিছু ঘটেছে বলেই আমি ‘সফ্‌ট টার্গেট’! এখন কিছু যায়-আসে না! সমাজমাধ্যমে নেতিবাচক খবর লোকে বেশি দেখে। আমি কাজ করব, নিজের কর্মফল পাব, ব্যস!

প্রশ্ন: মন ভাঙলে শ্রাবন্তীর ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র কী?

শ্রাবন্তী: একা এসেছ, একাই যেতে হবে। নিজেকে ভালবাসো। যাঁরা শর্তহীন ভাবে ভালবাসেন, তাঁদের সেই ভালবাসা ফিরিয়ে দাও। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভ নেই। তাই আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেওয়া একেবারেই অমূলক। জীবনে এগিয়ে যাওয়াটা লক্ষ্য হওয়া উচিত।

Srabanti Chatterjee

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি:সংগৃহীত।

প্রশ্ন: জীবনে অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন। নিজেকে শক্ত রাখেন কী ভাবে?

শ্রাবন্তী: লড়াকু মনোভাবটা পরিবারে রয়েছে। বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন, দাদু স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তাই মনের জোরটা বেশি। যা-ই হোক না কেন এগিয়ে যাব। আমার হৃদয়টা নরম। আমাকে ‘ইমোশনাল ফুল’ বলা যেতেই পারে। শিল্পীরা আবেগপ্রবণ হয়, তবে আমি একটু বেশি। লোকে আমাকে সারদা মা বলে। এত দয়া, তাই জন্য। কিন্তু যা-ই হয়ে যাক, আমাকে শক্ত থাকতে হবে। কারণ আমি ‘সিঙ্গেল মাদার’। অনেক দায়িত্ব আছে। আমার পরিবারের ‘ছেলে’ আমি।

প্রশ্ন: আপনার ছেলে এখন সদ্য যৌবনে পা রেখেছেন। দুশ্চিন্তা হয়?

শ্রাবন্তী: ছেলের আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। ও বলে, আমি নাকি ১৬-তেই আটকে রয়েছি! ছেলেরা মাকে ভয় পায়, আমি ছেলেকে ভয় পাই! আমি পার্টি করলে শাসনও করে। ও অনেক পরিণত।

প্রশ্ন: ছেলে ও তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ঘুরতে যান আপনি। সেই নিয়ে নানা কথা শুনতে হয় কি?

শ্রাবন্তী: কুছ তো লোগ কহেঙ্গে! আমার জীবন একটাই, আমি তো ভুল কিছু করছি না। যাঁরা আমাকে নিয়ে এ সব কথা বলছেন, আমি বিপদে পড়লে তাঁরা কি বাঁচতে আসবেন? কিন্তু সামনে পেলে এঁরাই আবার সেল্‌ফি তুলতে চাইবেন। বলবেন, ‘‘শ্রাবন্তী, তোমার ভীষণ বড় ফ্যান!’’

প্রশ্ন: ঝিনুকের কলেজ জীবন শুরু হবে। ওঁর বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ আছে?

শ্রাবন্তী: ছোটবেলা থেকেই ওঁর পুরো দায়িত্ব আমি সামলেছি। কখনওই কো-প্যারেন্টিং করিনি আমরা। তাই ওঁর সঙ্গে ওঁর বাবার যোগাযোগ থাকলেও জানি না, নাক গলাই না এই বিষয়ে।

প্রশ্ন: অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর জীবন না কি মায়ের কর্তব্য, কোনটা বেশি কঠিন?

শ্রাবন্তী: দুটোতেই ভারসাম্য বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি তো মা হওয়ার পর নায়িকা হয়েছি। তখন থেকেই আমার যুদ্ধ শুরু। এখন কোনও কিছুই কঠিন মনে হয় না।

প্রশ্ন: এই ফ্ল্যাটে কত বছর হল? এখানে সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি কোনটা?

শ্রাবন্তী: পাঁচ বছর হল এই ফ্ল্যাটে আছি। আমার শোয়ার বিছানায় যখন পূর্ণিমার চাঁদের আলো পড়ে, সেটা আমার দারুণ লাগে। আমি অপেক্ষায় থাকি পূর্ণিমার রাতগুলোর। আসলে আমি ‘সেলেনোফিল’ (চাঁদপ্রেমী)। ওই সময় বিছানায় শুয়ে শুয়ে গান শুনি। ‘বড়ে আচ্ছে লগতে হ্যায়’ গানটা সব থেকে বেশি শোনা হয়। আমার ‘শুধু তোমারই জন্য’ ছবির গানগুলো শুনি।

প্রশ্ন: শ্রাবন্তীর মনের রাস্তা কোনটা?

শ্রাবন্তী: ভালবাসতে হবে মন থেকে। ‘ফেক’ লোকজন নিতে পারি না। আগে বুঝতে পারতাম না। এখন নিমেষে ধরে ফেলি।

প্রশ্ন: শ্রাবন্তী কি বিয়ে করে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান?

শ্রাবন্তী: এখনও বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। বন্ধুবান্ধব আছে। আমি আর প্রেমে পড়তে বা বিয়ে করতে চাই না। কাজই আমার প্রেম।

অন্য বিষয়গুলি:

Celebrity Birthday Celebrity Interview Srabanti Chatterjee Tollywood Actress Interview
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy