সলমন
প্র: এ বার তো আপনি প্রিকুয়েল নিয়ে আসছেন। চুলবুল পাণ্ডের কম বয়সের গল্প কি এটা?
উ: ‘দবং টু’ করার সময়েই মনে হয়েছিল, চুলবুল পাণ্ডের জন্ম কী ভাবে হয়েছিল, সেটা দর্শক জানতে পারলে হয়তো খুশি হবেন। দর্শক ফ্ল্যাশব্যাকে পুরো গল্পটা জানতে পারবেন। চুলবুলের চরিত্রটাই এমন যে, দর্শক ওর প্রেমে পড়ে যায়। অনেকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কী ধরনের চরিত্র করতে চাই? যেখানে আমি নিজেকে দেখতে পারি আর ভক্তেরা আমাকে দেখতে পছন্দ করেন, সেই ধরনের চরিত্রই আমার পছন্দ।
প্র: এর আগের দু’টি ছবি অভিনব কাশ্যপ আর আরবাজ় খান পরিচালনা করেছিলেন। ‘দবং থ্রি’র নির্দেশক প্রভু দেবা। আলাদা কোনও অভিজ্ঞতা হল?
উ: ওর সঙ্গে আমি আগেও ‘ওয়ান্টেড’-এ কাজ করেছি। আলাদা কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি। প্রভু সেই আগের মতো একই রকম ভাবে ‘ইয়েস স্যর’-‘নো স্যর’ বলে। নিজে দৃশ্যটা করে দেখায়, তার পর অভিনেতাকে করতে বলে। (হেসে) আর পছন্দ হোক বা না হোক, আবার বলবে, ‘ওয়ান মোর টেক স্যর’।
প্র: বিনোদ খন্নাকে ‘দবং’-এ আর দেখা যাবে না। ওঁকে মিস করেন?
উ: শুধু এই ছবির জন্যই নয়, ওঁকে আমি এমনিতেই খুব মিস করি। উনি আমাকে ভীষণ ভালবাসতেন। তবে এ বার ভিকে স্যরের ভাই প্রমোদ স্যরকে ছবিতে নিয়েছি। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও খুব ভাল।
প্র: আইটেম সং নিয়ে সম্প্রতি কিছু বিতর্ক হয়েছে। গানের কথা, পোশাক, নাচের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপনার ছবিতে বরাবরই আইটেম সং প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
উ: সবটাই নির্ভর করে গানটা কী ধরনের। ‘আইটেম’ নামটা কিন্তু আমাদের দেওয়া নয়। এ ছাড়া আইটেমকে আমরা খারাপ ভাবে কেনই বা নিচ্ছি? এ ভাবেও তো দেখতে পারি, যে ছবিতে এটা একটা বড় ইভেন্ট হিসেবে রয়েছে। আমি আমার গানের ভাষার বিষয়ে খুব সচেতন থাকি। তা সত্ত্বেও বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়ি। তা ছাড়া বাড়িতে আমার মা-বাবা দু’জনে হলেন সেন্সর বোর্ড আর সুপ্রিম কোর্ট। তাঁরা যদি ফিল্মকে ক্লিন চিট দিয়ে দেন, তা হলে আর কী চাই?
প্র: বক্স অফিসের রিপোর্ট নিয়ে সলমন খান চিন্তা করেন?
উ: ভগবান করেন কি না আমার সন্দেহ আছে (হেসে)! ভগবানের কাছে অন্য অনেক কিছু আছে চিন্তা করার মতো। আমি শুধুই ছবির কথা ভাবি। ‘দবং থ্রি’-এর গল্প এ বার আমি লিখেছি। তাই ক্রিটিকদের উপরে আমার পুরো ভরসা আছে। আমার ভক্তেরা আমাকে সুপারস্টার ভাবেন। আমার মাথায় এ সব থাকে না। আমি মনে করি, ভাল সময় চলছে, তাই ছবিও ব্যবসা করছে। এখনও পরিশ্রম করি। তবে যখন ছবি চলে না, তখন দশ গুণ বেশি পরিশ্রম করতে হয়। আগে সিনিয়রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ছিল। এখন জুনিয়রদের সঙ্গে, যেটা আরও কঠিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy